জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি ও বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দিন বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আজ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বিরোধী দল ও মতকে দমনপীড়নের মাধ্যমে সরকার দেশের রাজনীতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেকে দিচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে আগামী নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ তিনশো আসনে প্রার্থী দিবে ইনশা আল্লাহ।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে মহানগর ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিলে অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের জনগন আর কোনো তামাশার নির্বাচন দেখতে চায় না। আগামী নির্বাচনের আগে কারানির্যাতিত সকল মজলুম আলেমদেরকে মুক্তি দিতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
মহানগর ছাত্র জমিয়তের আহবায়ক লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুশাহিদ খালপারী, মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, জেলা জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী।
জমিয়ত সভাপতি আরও বলেন, ‘ইংরেজ ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন হচ্ছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। ছাত্র জমিয়ত এরই অঙ্গসংগঠন। এর রয়েছে অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের জন্য সবাইকে এই সংগঠনের পতাকা ছায়াতলে সমবেত হওয়ার আহবান জানান।
সিলেট মহানগর ছাত্র জমিয়তের সদস্য সচিব জাহিদ আহমদ ও আবু হানিফ সাদির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, দেশকে ক্ষুধা-ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত গড়ার কথা বলে আজ তারাই দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয় আর বিদেশ টাকা পাচার করে। অথচ তারা বেমালুম ভুলে যায় দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হলে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। তাই যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ছাত্র জমিয়ত কর্মীদের ব্যক্তি গঠনে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যক্তি গঠনে মনযোগী একজন ছাত্র জমিয়ত কর্মী আগামী দিনের একজন আদর্শ নেতা।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এখলাছুর রহমান রিয়াদ। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইংল্যান্ড জমিয়তের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম কামালী, সিলেট মহানগর জমিয়তের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নাল আবেদীন, সিলেট জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক কাসেমী, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নূর আহমদ কাসেমী, জমিয়ত নেতা মাওলানা আতিকুর রহমান, মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আহমদুল হক উমামা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমদ সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হুসাইন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক লুকমান হাকিম, জেলা যুব জমিয়তের সভাপতি জফির উদ্দিন, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদ, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বাহরুল আমিন, মহানগর ছাত্র জমিয়তের যুগ্ম আহবায়ক আবুল খয়ের, মহানগর যুব জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিম দিলদার, মহানগর ছাত্র জমিয়তের সাবেক সভাপতি বাহা উদ্দিন বাহার, ছাত্রনেতা আব্দুল হাই আল হাদী।
মহানগর জমিয়তের প্রচার সম্পাদক শামীম আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মাওলানা আতিকুর রহমান নগরী, সৈয়দ উবায়দুর রহমান, রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ’র চেয়ারম্যান জমিয়ত নেতা মাওলানা শামছুল ইসলাম, মাওলানা হুমায়ুন কবির বাবর, কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা সাব্বির আহমদ, যুবনেতা মাওলানা আসাদ আহমদ, আফজাল হোসেন, আবু সুফিয়ান, মহানগর ছাত্র জমিয়তের আহবায়ক কমিটির সদস্য জামিল আহমদ, নুরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসাইন রুমন, হাবিবুর রহমান, মীর আইনুল হক, আবুল হাসান কানাইঘাটী, মাহবুবুল হক প্রমুখ।