ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১

৩শ বঃ কিলোমিটার এলাকায় ১৮৫ ইটভাটা : অবৈধই ৮৮ টি

  • এম. ও. গনি
  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৫৮৫ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর অদূরে ধামরাই উপজেলা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে বহু ইটভাটা। ৩০৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইটভাটার সংখ্যা ১৮৫টি। যার ৮৮টিই অবৈধ। এসব বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলোর বেশিরভাগেরই মালিক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে ফসলি জমি ও বসতবাড়ির কাছেই ইটভাটা পরিচালনা করছেন সাভারের আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুসারে, এ স্থানটিতে ইটভাটা স্থাপনের কোনও সুযোগ নেই।

এছাড়া এ ইটভাটার নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এরপরও কয়েক বছর ধরেই এ ভাটায় ইট বানানো হচ্ছে। ভাটার দায়িত্বে থাকা কিয়ামুদ্দিন জানান, ২০১৮ সালে ভাটাটির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে ভাটা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অনুমতির জন্য যাওয়া হলেও কোনও বৈধ অনুমতি মেলেনি।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, ইটভাটাগুলো চলছে ইট প্রস্তুতের নানা আয়োজন। কয়েকটি ইটভাটায় ইট পুড়িয়ে সেগুলো বের করা হচ্ছে। আবার কিছু কিছু ভাটার কাঁচা ইট সারিবদ্ধভাবে সাজানো হচ্ছে পোড়ানোর জন্য।

অনুসন্ধান বলছে, উপজেলাজুড়ে থাকা বেশিরভাগ অবৈধ ইটভাটার মালিক জনপ্রতিনিধিরা। এর মধ্যে কুল্লা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমানের রয়েছে মেসার্স এম.এল.ই ব্রিকস, নান্নার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেনের মেসার্স লাকি ব্রিকস, সোমভাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলামের মেসার্স আমেনা ও মেসার্স আইরিন ব্রিকস, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হোসেনের মেসার্স এফটুএফ ব্রিকস। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এসকল ভাটার বৈধ কাগজপত্র নেই।

তবে সরেজমিনে ইট ভাটাগুলোতে গিয়ে ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম চলমান দেখা যায়। ২০২২ সালের শেষ কয়েকমাস ও এ বছরের শুরুর দিকে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ভাটার চিমনি গুড়িয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় মেসার্স সান ব্রিকস নতুন করে চিমনি বানিয়ে ইট প্রস্তুত করছেন। নান্নার ইউনিয়নে চিমনি ভেঙে দেওয়া একতা ব্রিকস নতুন করে চিমনি বানিয়ে ইটভাটার নাম পরিবর্তন করে মেসার্স লামিয়া ব্রিকস-৫ নামে ইট বানাচ্ছেন।

সান ব্রিকসের ম্যানেজার মো. রুবেল বলেন, ‘চিমনি ভেঙে দিছিলো। আবার আমরা নতুন করে চিমনি বানিয়ে ইট বানাচ্ছি।’ মেসার্স লামিয়া ব্রিকস-৫ এর ম্যানেজার সজল মিয়া বলেন, ‘চিমনি ভাঙার পর আবার চিমনি বানিয়ে কাজ করছি। ভাঙার সময় ভাটার মালিক আরেকজন ছিলো পরে আমরা কিনেছি।’

ধামরাই উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, অনুমোদন না পাওয়া, প্রশাসনের অভিযান, কয়লা ও মাটির দামবৃদ্ধিসহ নানা কারণে ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ধামরাইয়ে ১৬০-১৬৫টি ইটভাটা চালু আছে। যাদের কোনও কাগজপত্র নেই। সেই ইটভাটা বন্ধ হলে আমাদের কিছু করার থাকে না।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা করায় তাপ, ধোঁয়া ও ছাইয়ের প্রভাবে আশপাশের ফসলি জমি ও আবাসিক এলাকাগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া এসব ভাটা ইট প্রস্তুতে মাটি সংগ্রহ করছে আশপাশের কৃষি জমি থেকে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ইটভাটাগুলোর কারণে ভাটার আশপাশের জনসাধারণ সবসময়ই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন। ভাটা থেকে নির্গত ‘সু²’ বস্তুকণা ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে মিশে গিয়ে শরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে চলে যায়।

এছাড়া ইটভাটার ধুলাবালি আশপাশের গাছপালা ও ফসলের ওপর পড়লে পুরো আস্তরণ তৈরি হয়। এতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এরমধ্য দিয়ে জীববৈচিত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষি জমির উপরিভাগের ৬-১০ ইঞ্চি মাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির গুণগতমান কমে যাওয়ার ফসলের উৎপাদন কমে যায়।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, অবৈধ ইটভাটায় আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এ মৌসুমে (নভেম্বর থেকে বর্তমান) ৩৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে জরিমানা আদায় হয়েছে ৭৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

এছাড়া, ২০২২ সালে ইটভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দায়ী ভাটামালিকদের কাছ থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ

৩শ বঃ কিলোমিটার এলাকায় ১৮৫ ইটভাটা : অবৈধই ৮৮ টি

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর অদূরে ধামরাই উপজেলা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে বহু ইটভাটা। ৩০৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইটভাটার সংখ্যা ১৮৫টি। যার ৮৮টিই অবৈধ। এসব বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলোর বেশিরভাগেরই মালিক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে ফসলি জমি ও বসতবাড়ির কাছেই ইটভাটা পরিচালনা করছেন সাভারের আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুসারে, এ স্থানটিতে ইটভাটা স্থাপনের কোনও সুযোগ নেই।

এছাড়া এ ইটভাটার নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এরপরও কয়েক বছর ধরেই এ ভাটায় ইট বানানো হচ্ছে। ভাটার দায়িত্বে থাকা কিয়ামুদ্দিন জানান, ২০১৮ সালে ভাটাটির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে ভাটা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অনুমতির জন্য যাওয়া হলেও কোনও বৈধ অনুমতি মেলেনি।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, ইটভাটাগুলো চলছে ইট প্রস্তুতের নানা আয়োজন। কয়েকটি ইটভাটায় ইট পুড়িয়ে সেগুলো বের করা হচ্ছে। আবার কিছু কিছু ভাটার কাঁচা ইট সারিবদ্ধভাবে সাজানো হচ্ছে পোড়ানোর জন্য।

অনুসন্ধান বলছে, উপজেলাজুড়ে থাকা বেশিরভাগ অবৈধ ইটভাটার মালিক জনপ্রতিনিধিরা। এর মধ্যে কুল্লা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমানের রয়েছে মেসার্স এম.এল.ই ব্রিকস, নান্নার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেনের মেসার্স লাকি ব্রিকস, সোমভাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলামের মেসার্স আমেনা ও মেসার্স আইরিন ব্রিকস, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হোসেনের মেসার্স এফটুএফ ব্রিকস। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এসকল ভাটার বৈধ কাগজপত্র নেই।

তবে সরেজমিনে ইট ভাটাগুলোতে গিয়ে ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম চলমান দেখা যায়। ২০২২ সালের শেষ কয়েকমাস ও এ বছরের শুরুর দিকে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ভাটার চিমনি গুড়িয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় মেসার্স সান ব্রিকস নতুন করে চিমনি বানিয়ে ইট প্রস্তুত করছেন। নান্নার ইউনিয়নে চিমনি ভেঙে দেওয়া একতা ব্রিকস নতুন করে চিমনি বানিয়ে ইটভাটার নাম পরিবর্তন করে মেসার্স লামিয়া ব্রিকস-৫ নামে ইট বানাচ্ছেন।

সান ব্রিকসের ম্যানেজার মো. রুবেল বলেন, ‘চিমনি ভেঙে দিছিলো। আবার আমরা নতুন করে চিমনি বানিয়ে ইট বানাচ্ছি।’ মেসার্স লামিয়া ব্রিকস-৫ এর ম্যানেজার সজল মিয়া বলেন, ‘চিমনি ভাঙার পর আবার চিমনি বানিয়ে কাজ করছি। ভাঙার সময় ভাটার মালিক আরেকজন ছিলো পরে আমরা কিনেছি।’

ধামরাই উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, অনুমোদন না পাওয়া, প্রশাসনের অভিযান, কয়লা ও মাটির দামবৃদ্ধিসহ নানা কারণে ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ধামরাইয়ে ১৬০-১৬৫টি ইটভাটা চালু আছে। যাদের কোনও কাগজপত্র নেই। সেই ইটভাটা বন্ধ হলে আমাদের কিছু করার থাকে না।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা করায় তাপ, ধোঁয়া ও ছাইয়ের প্রভাবে আশপাশের ফসলি জমি ও আবাসিক এলাকাগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া এসব ভাটা ইট প্রস্তুতে মাটি সংগ্রহ করছে আশপাশের কৃষি জমি থেকে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ইটভাটাগুলোর কারণে ভাটার আশপাশের জনসাধারণ সবসময়ই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন। ভাটা থেকে নির্গত ‘সু²’ বস্তুকণা ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে মিশে গিয়ে শরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে চলে যায়।

এছাড়া ইটভাটার ধুলাবালি আশপাশের গাছপালা ও ফসলের ওপর পড়লে পুরো আস্তরণ তৈরি হয়। এতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এরমধ্য দিয়ে জীববৈচিত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষি জমির উপরিভাগের ৬-১০ ইঞ্চি মাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির গুণগতমান কমে যাওয়ার ফসলের উৎপাদন কমে যায়।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, অবৈধ ইটভাটায় আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এ মৌসুমে (নভেম্বর থেকে বর্তমান) ৩৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে জরিমানা আদায় হয়েছে ৭৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

এছাড়া, ২০২২ সালে ইটভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দায়ী ভাটামালিকদের কাছ থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।