রাজধানীর শ্যামলী শপিং সেন্টার ও শ্যামলী হল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সংঘবন্ধ মলমপার্টি/অজ্ঞানপার্টি চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে গোয়েন্দা- পুলিশ মিরপুরের শ্যামলী শপিং সেন্টার ও শ্যামলী হল এলাকায় পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মোঃ মজিবুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মোঃ হারুন অর রশিদ, জয়নাল, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ হারিছ, মোঃ আরব আলী ও ইদ্রিস মুন্সি। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের চেতনানাশক ট্যাবলেট ও পানীয়, ঝাঁঝালো পদার্থ মিশ্রিত ভ্যাসলিন উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার সকালে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।
ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে গোয়েন্দা- তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিম শ্যামলী শপিং সেন্টার ও শ্যামলী হল এলাকায় পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে সংঘবন্ধ মলমপার্টি/অজ্ঞানপার্টি চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল এবং ধরণ উল্লেখ করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এরা মূলত যাত্রী বেশে বিভিন্ন গণপরিবহনে উঠে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনালসহ জনসমাগম স্থলে ভিড়ের মধ্যে নিরীহ যাত্রী বা পথচারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে তাদেরকে বিস্কুট, কলা, কেক, পানি, ডাব বা অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর আমন্ত্রণ জানায়।
সুযোগ বুঝে এ চক্রের সদস্যরা ওই সব খাদ্যদ্রব্যে সাথে অজ্ঞান করার ঔষধ মিশিয়ে নিরিহ যাত্রী ও পথচারীদের অজ্ঞান করে তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ, ল্যাপটপসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে তাদেরকে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে কৌশলে কেটে পড়ে।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এর আগেও তারা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হয়েছিল এবং তাদের নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ গোলাম সবুর’ র নির্দেশনায় মোহাম্মদপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আনিচ উদ্দীনের নেতৃত্বে এ অভিযানটি পরিচালিত হয়।