র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং তারিখ ভোরে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন গন্ডামারা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ০৭ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার পূর্বলাচ গ্রামের সিরাজ মিয়া এর ছেলে মোঃ রাজন (৩২)। এসময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পৃথক আরেকটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং সকালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন গন্ডামারা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলোঃ ১। কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার গোমারবাড়ি গ্রামের হাজী আব্দুল খালেক এর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩০) এবং ২। একই থানার বৈদ্দেরখিল গ্রামের এমতাজ আলী এর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৩)। এসময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
পৃথক আরেকটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং সকালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন পূর্ব লাকসাম এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ০৬ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলোঃ ১। বগুড়া জেলার শেরপুর থানার আশ্রমখাগা গ্রামের জগদীশ চন্দ্র শীল এর ছেলে শ্রী সুকুমার চন্দ্র শীল (৪৯); এবং ২। কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার বাঙ্গড্ডা গ্রামের আব্দুস সোবহান এর ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বগুড়া, লক্ষীপুর, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।