চলচ্চিত্র জীবনের কথা বলে, সমাজের কথা বলে। সমাজ চিত্রের প্রতিচ্ছবি যারা চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে ধরেন, গল্প বলেন তাদের থাকে নান্দনিক চিন্তা-চেতনা। চলচ্চিত্রের পর্দায় গল্প বলা অতিসহজ কর্ম না হলেও, গল্প বলার যে আন্তরিকতা, সেই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছেন- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল একজন পরিচালক ও প্রযোজক হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তার গল্প বলার ধরন ভিন্ন এবার তিনি একটি ভিন্ন গল্পের চলচ্চিত্র নির্মান করছেন।
বাঙালির স্বাধীনতার গল্প, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প, সমাজ জীবনের গল্প ‘যাপিত জীবন’ চলচ্চিত্র হাবিবুল ইসলাম হাবিব তুলে ধরবেন ৪৭-এর দেশ ভাগ ও ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট।
মু্িক্তযুদ্ধ বাঙালি জাতির অহংকার। ছবি সম্পর্কে হাবিব বলেন- ‘মুক্তিযুদ্ধের ছবি যদি মনমত না হয়-তাহলে কেন মানুষ আগ্রহ দেখাবে? এই ছবিটা মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম, ঐতিহাসিক সময়ের গল্প। যুদ্ধের ছবি দর্শক লুফে নেয় না, দেখে না এতে দিমত পোষন করছি। ওরা ১১ জন, বাঘা বাঙালি, আলোর মিছিলের মত ছবি খুব বেশি হয় না। বড় পরিসরে হয় না।
একটা সময়ের গল্প, ঐ সময়টাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। লেখিকা সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত যাপিত জীবন। এর সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা এবং প্রযোজনায় হাবিবুল ইসলাম হাবিব। ছবির চিত্রগ্রহনে-এস আই লেলিন, একজন নতুন গীতিকারের চারটি গান আছে।
ছবির অভিনয় শিল্পীরা হলেনঃ আফজাল হোসেন, রোকেয়া প্রাচী, আসনা হাবিব ভাবনা, মৌসুমী হামিদ, রওনক হাসান, ইমতিয়াজ রশন, জয়ন্ত চট্যোপাধ্যায়, ডলি জহুর, আবুল কালাম আজাদ, মিলি মুন্সি, প্রণব ঘোষ, কাজী হায়াৎ, গাজী রাকায়েত ও আরো অনেকে। রাজবাড়ীর বিভিন্ন লোকেশনে ছবির প্রথম লটের কাজ হয়েছে। ছবির সুটিং চলমান, পাশাপাশি সম্পাদনার কাজও চলছে। কিছুদিনের মধ্যে ছবির বাকী অংশের কাজের সুটিং সম্পন্ন হবে।
পরিচালক হাবিব বলেন-নির্মান শেষে চলতি বছরের যে কোন সময় ছবি “যাপিত জীবন” দেশবাসির অবলোকনের জন্য দেশের সকল প্রেক্ষাগৃহে শুভমুক্তি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে, এই পরিচালকের প্রথম ছবি “রাত্রির যাত্রী” মুক্তি পায়। ছবিটির কেন্দ্রিয় চরিত্রে মৌসুমী ও মিলন অভিনয় করেছিলেন। ছবি সংগ্রহঃ মোস্তাফিজ মিন্টু।