ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল টঙ্গীতে ফের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ উন্নয়নের সফলতা ও উপহার বিতরণ মিঠাপুকুরে কুবিতে পাহাড়ে অস্থিরতা ও মব জাস্টিসের বিরদ্ধে মানববন্ধন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের শ্বশুর ইন্তেকাল সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

উদ্ধার অভিযান নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে সাধারণ তুর্কিদের মধ্যে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েকশ বাড়ি ধসে পড়ে। কম্পনের দু’দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও এখনো শত শত মানুষ আটকা পড়ে আছেন সেসব ভবনের নিচে। সাধারণ তুর্কিদের অভিযোগ, ধীরগতিতে উদ্ধার অভিযান চালানোয় অনেকে এখন ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকা পড়ে মারা যাচ্ছেন। আর এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষের দানা বাঁধছে।

বার্তাসংস্থা এএফপি বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানতেপের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এখানে কোনো উদ্ধারকারী আসেননি। তারা আসেন সোমবার সন্ধ্যার পর। রাত নেমে আসায় কয়েক ঘণ্টা পর আবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন উদ্ধারকারীরা।

চেলাল দানিজ নামে গাজিয়ানতাপের ৬১ বছর বয়সী এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ পরে হস্তক্ষেপ করে।’

দানিজের ভাই ও ভাতিজারা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।

তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে আদায় করা আমাদের ট্যাক্স কোথায় গেল?’

তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর ‘ভূমিকম্প ট্যাক্স’ আরোপ করে সরকার। বলা হয়েছিল, এমন বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটলে সেই ট্যাক্সের অর্থ খরচ করে উদ্ধার কাজ চালানো হবে।

বর্তমানে এ ট্যাক্স বাবদ তোলা ৮৪ বিলিয়ন তার্কিস লিরা (৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) সরকারি কোষাগারে জমা আছে। এ অর্থ খরচ করে দুর্যোগ প্রতিরোধী কার্যক্রম এবং জরুরি পরিষেবার অবকাঠামো নির্মাণের কথা ছিল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

উদ্ধার অভিযান নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে সাধারণ তুর্কিদের মধ্যে

আপডেট সময় ১২:৫১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েকশ বাড়ি ধসে পড়ে। কম্পনের দু’দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও এখনো শত শত মানুষ আটকা পড়ে আছেন সেসব ভবনের নিচে। সাধারণ তুর্কিদের অভিযোগ, ধীরগতিতে উদ্ধার অভিযান চালানোয় অনেকে এখন ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকা পড়ে মারা যাচ্ছেন। আর এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষের দানা বাঁধছে।

বার্তাসংস্থা এএফপি বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানতেপের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এখানে কোনো উদ্ধারকারী আসেননি। তারা আসেন সোমবার সন্ধ্যার পর। রাত নেমে আসায় কয়েক ঘণ্টা পর আবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন উদ্ধারকারীরা।

চেলাল দানিজ নামে গাজিয়ানতাপের ৬১ বছর বয়সী এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ পরে হস্তক্ষেপ করে।’

দানিজের ভাই ও ভাতিজারা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।

তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে আদায় করা আমাদের ট্যাক্স কোথায় গেল?’

তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর ‘ভূমিকম্প ট্যাক্স’ আরোপ করে সরকার। বলা হয়েছিল, এমন বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটলে সেই ট্যাক্সের অর্থ খরচ করে উদ্ধার কাজ চালানো হবে।

বর্তমানে এ ট্যাক্স বাবদ তোলা ৮৪ বিলিয়ন তার্কিস লিরা (৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) সরকারি কোষাগারে জমা আছে। এ অর্থ খরচ করে দুর্যোগ প্রতিরোধী কার্যক্রম এবং জরুরি পরিষেবার অবকাঠামো নির্মাণের কথা ছিল।