ঢাকা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মঠবাড়িয়ায় সরকারি ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া পিকআপ গাড়ি বিক্রির অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ভর্তুকি মূল্যে ১টি পিকআপ গাড়ি নিয়ে অধিক মূল্যে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কুদ্দুস খান নামে এক কৃষকের বিরুদ্ধে। তিনি সাপলেজা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক খানের পুত্র এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক। বর্তমানে পিকআপ গাড়িটি স্থানীয়ভাবে জিম্মায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন বাজেটের আওতায় কৃষিবান্ধব সরকারের উপকূলীয় এলাকায় ভর্তুকি মূল্যে পিকআপ গাড়ি বিতরণ করা হয়। এতে সাপলেজা এএসএসআরবিপি কৃষক ক্লাব কৃষিপন্য ও বাজার সংযোগ স্থাপন প্রকল্পে ১টি পিকআপ গাড়ি পায়।

কিন্তু কৃষকদের সুবিধার জন্য গাড়িটি ব্যবহার না করে কৃষক ক্লাবের সভাপতি কুদ্দুস মাষ্টার ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পিকআপটি নিজের নামে কাগজ তৈরি করে বিক্রি করে দেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায় পিকআপটির নির্ধারিত মূল্য ৯,৮০০০০/ (নয় লক্ষ আশি হাজার টাকা) কিন্তু সরকার ৫০% হিসাবে ৪,৯০০০০/ (চার লক্ষ নব্বই হাজার টাকা ) ক্রান্তিকালীন কৃষকদের সুবিধার্থে ভর্তুকি দিয়ে গাড়ি টি প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস খান জানান, পাথরঘাটা বাসস্ট্যান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মেম্বারের পুত্র সামসুদ্দোহা প্রিন্সকে পিক-আপ গাড়িটি ভাড়ায় চালানোর জন্য দেই। এজন্য একটি চুক্তিও করি। এ সময় আমার কাছ থেকে গাড়িটির মূল কাগজপত্র সে নিয়ে নেয়। এখন সে গাড়িটি নিজের বলে দাবি করে। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে ভর্তুকি মূল্যে নেওয়া এ গাড়িটি আসলে আমি বিক্রি করিনি।

এ বিষয় শামসুদ্দোহা প্রিন্সের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গাড়ি ক্রয় করেছি আমার কাছে গাড়ি ক্রয়ের চুক্তিপত্র আছে। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন এই গাড়িটি সরকার ৫০% ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের সুবিধার জন্য কৃষক গ্রুপের নামে দেওয়া হয়েছে। যাহা দুই বছরের পূর্বে কেহ বিক্রি করতে পারবেনা। এবং এই গাড়ির কাগজ গ্রুপের নামেই করতে হবে, যদি কেহ ব্যক্তির নামে কাগজ করে তাহা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি।

এ ব্যাপারে তারা অভিযোগ পেয়ে কোনো আইনে পদক্ষেপ নিবে কিনা জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা বলেন তদন্ত সাপেক্ষে যদি এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্য ই প্রজেক্ট কর্মকর্তা দের জানিয়ে গাড়িটি জব্দ করা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মঠবাড়িয়ায় সরকারি ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া পিকআপ গাড়ি বিক্রির অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ভর্তুকি মূল্যে ১টি পিকআপ গাড়ি নিয়ে অধিক মূল্যে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কুদ্দুস খান নামে এক কৃষকের বিরুদ্ধে। তিনি সাপলেজা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক খানের পুত্র এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক। বর্তমানে পিকআপ গাড়িটি স্থানীয়ভাবে জিম্মায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন বাজেটের আওতায় কৃষিবান্ধব সরকারের উপকূলীয় এলাকায় ভর্তুকি মূল্যে পিকআপ গাড়ি বিতরণ করা হয়। এতে সাপলেজা এএসএসআরবিপি কৃষক ক্লাব কৃষিপন্য ও বাজার সংযোগ স্থাপন প্রকল্পে ১টি পিকআপ গাড়ি পায়।

কিন্তু কৃষকদের সুবিধার জন্য গাড়িটি ব্যবহার না করে কৃষক ক্লাবের সভাপতি কুদ্দুস মাষ্টার ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পিকআপটি নিজের নামে কাগজ তৈরি করে বিক্রি করে দেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায় পিকআপটির নির্ধারিত মূল্য ৯,৮০০০০/ (নয় লক্ষ আশি হাজার টাকা) কিন্তু সরকার ৫০% হিসাবে ৪,৯০০০০/ (চার লক্ষ নব্বই হাজার টাকা ) ক্রান্তিকালীন কৃষকদের সুবিধার্থে ভর্তুকি দিয়ে গাড়ি টি প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস খান জানান, পাথরঘাটা বাসস্ট্যান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মেম্বারের পুত্র সামসুদ্দোহা প্রিন্সকে পিক-আপ গাড়িটি ভাড়ায় চালানোর জন্য দেই। এজন্য একটি চুক্তিও করি। এ সময় আমার কাছ থেকে গাড়িটির মূল কাগজপত্র সে নিয়ে নেয়। এখন সে গাড়িটি নিজের বলে দাবি করে। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে ভর্তুকি মূল্যে নেওয়া এ গাড়িটি আসলে আমি বিক্রি করিনি।

এ বিষয় শামসুদ্দোহা প্রিন্সের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গাড়ি ক্রয় করেছি আমার কাছে গাড়ি ক্রয়ের চুক্তিপত্র আছে। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন এই গাড়িটি সরকার ৫০% ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের সুবিধার জন্য কৃষক গ্রুপের নামে দেওয়া হয়েছে। যাহা দুই বছরের পূর্বে কেহ বিক্রি করতে পারবেনা। এবং এই গাড়ির কাগজ গ্রুপের নামেই করতে হবে, যদি কেহ ব্যক্তির নামে কাগজ করে তাহা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি।

এ ব্যাপারে তারা অভিযোগ পেয়ে কোনো আইনে পদক্ষেপ নিবে কিনা জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা বলেন তদন্ত সাপেক্ষে যদি এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্য ই প্রজেক্ট কর্মকর্তা দের জানিয়ে গাড়িটি জব্দ করা হবে।