জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এর ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবিবার সন্ধা ৭ :৩০ঘটিকার সময় রায়পাড়াস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি রত্নাংকুর দাস জহরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুলের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন:-কবি ও লেখক সেীরভ ভূষন দে,ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সুখেন্দু তালুকদার মিন্টু,যুগ্ম আহ্বায়ক আমির উদ্দিন,গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক দিপ্তি রানী,স-মিল শ্রমিক সংঘ জেলা কমিটির সভাপতি সিরাজ মিয়া, হকার্স শ্রমিক সংঘের সভাপতি আব্দুল হাই,এনডিএফ সদর উপজেলা কমিটির সদস্য জামিল আক্তার, জাতীয় ছাত্রদল সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য অমিত রায়, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাকলী দাস প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও দালালদের স্বার্থরক্ষাকারী নয়াউপনিবেশিক বাংলাদেশে কখনই গণতন্ত্র ছিল না। দেশ পরিচালিত হয় সাম্রাজ্যবাদী নীতি-নির্দেশে। নির্বাচনের ফলাফলও নির্ধারিত হয় তাদের পরিকল্পনায়। এবারের নির্বাচনে বিষয়টি উলঙ্গভাবে সামনে আসছে। যে কারণে পুনরায় ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকারের ক্ষমতার উৎস এবং বৈধতার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী দেশ, তাদের সংস্থা আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে দালাল ভারত।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে গালভরা বুলি আওড়াচ্ছে তা মূলত সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজির সর্বোচ্চ মুনাফার লক্ষ্যে সড়ক, রেল, নৌপথসহ অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ আর সর্বোচ্চ লুটপাট। গার্মেন্ট সেক্টরসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) ইত্যাদি নামে সস্তা শ্রম শক্তি লুটপাটের লক্ষ্যে গড়ে উঠবে বিশাল বিশাল কয়েদখানা। যেটার ওপর নির্ভর করে শেখ হাসিনা বেকারত্ব নিরসনের স্লোগান দিচ্ছে। একইসাথে স্বৈরতন্ত্রকে তীব্র করতে হত্যা, খুন, গুম, হামলা-মামলা, আইন করে বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, সরকারের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী মামলা দিয়ে হয়রানী করাসহ নানাভাবে রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে চলেছে।
অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ পরিকল্পনায় দেশকে সম্পৃক্ত করতে গোপনে ও প্রকাশ্যে নানা চুক্তি করে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে চায় সরকার। সাম্রাজ্যবাদীদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। ক্ষমতা বহির্ভূত অন্যান্য দালাল রাজনৈতিক দলগুলো প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করে জনগণের স্বার্থকে আড়াল করে নিছক ক্ষমতার প্রশ্নে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে।
দেশের বর্তমান অবস্থায় প্রয়োজন সকল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য এবং স্বৈরাচার ও স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সমস্যা-সংকট নিয়ে লাগাতার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া।