ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মেয়ের মা বাবা বিয়েতে রাজি ছিলনা, পাঁচ বছরে ও থামেনি নির্যাতন

নাইটগার্ড নজরুল ইসলামের মেয়ে নাছিমা আক্তার (২০) স্বামী মো :রাসেল মিয়ার (২৬) সাথে ২০১৮ সালের ৬ জুন বিয়ে হয় তাদের। নাছিমার ১০ম শ্রেণীতে শিক্ষারত জীবনে রাসেলের আগমন ঘটে। প্রেমের প্রস্তাবে খুনসুটির পরেই ভালোলাগা পর্ব আরম্ভ হয়। অনেক চরাই উতরাই পেরিয়ে পারিবারিক মেলবন্ধনে বিয়ে হয় তাদের।

অনুতাপের বিষয় তারা বাসর রাত থেকেই দাম্পত্য জীবনে সুখি নয় বেধরক নির্যাতনের শিকার বলেই দাবি নাছিমা আক্তারের । বর্তমান তাদের একটি পূত্র সন্তান রয়েছে বয়স ৩ বছর।

নাছিমা বেগমের অভিযোগ রাসেল আমাকে পছন্দ করেই আমাকে আমার শিক্ষা জীবনে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি বহুবার তাকে ফিরিয়ে দেই। চলার পথে আমার বান্ধবিদের খাতিরে তার কথায় সাড়া দিতাম এমন ভাবে চলতে চলতেই আমাদের সম্পর্ক হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আমার পরিবারকে আমরা মানিয়ে নিতে ব্যার্থ হই। আমার বাবা মা কোন ভাবেই তাকে মনে নিবে না। আমার পরিবার অন্যত্র আমার বিয়ে ঠিক করে। তার পর থেকে রাসেল আমার পরিবারের লোকজনকে কাকতি মিনতি করে স্থানীয় লোকজন কে দিয়ে ও খবর দেয়। আমার পছন্দ থাকাতে অনেক চরাই উতরাই পেরিয়ে আমার পরিবার কে রাসেল হুমকি দেয় হলুদের স্টেজ থেকে তুলে নেওয়ার।

পরে আমার পরিবার যেই বড় পক্ষ দেখতে আসে তাদেরকে সমন্ধ করতে অস্বীকার করে এবং রাসেলের সাথে বিয়ে হয়। বাসর রাতে আমাকে শারিরীক ও মানুষিক ভাবে নির্মম নির্যাতন করে। আমার অপকর্মের ফল আমি নিজে নিজেই ভোগকরি আমার বাবা মা কে জানাইনি ।আমি যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি তার দূর্নাম আমার মা বাবা কে বলতে পারবোনা। আমি প্রতিনিয়তই তার এমন নিষ্ঠুর আচরন মুখবুঝে একাকিত্ব সহ্য করি। কারন একটাই কেন আগে আমার মা বাবা মেনে নিলেন না।

আমার পরিবার আমার বিয়ের পর রাসেল কে কম যত্ন আত্নি করে নাই। আমার স্বামী সন্তান সবার সব প্রয়োজনে ধারে লাভে শুধে আপ্যায়নে কমতি রাখেনি। শুধু তার মন পাওয়ার জন্য আমি বাবার একটি মেয়ে। আমার কোন আবদার অপূর্ণ রাখেনি আমার মা বাবা। শুধু আমার স্বামীর ভালোবাসা এনে দিতে ব্যার্থ। য়ার জন্য আমি নিজে দ্বায়ী বলেই স্বীকার করি। আমার বাবা মায়ের কথা শুনলে আমার জীবনে ভালোবাসা কাল হয়ে দারাতোনা। বিয়ের পর কয়েক দফা টাকা নিয়ে দিছি আমার পরিবারের কাছ থেকে ব্যবসা করার জন্য চাকুরির সুপারিশের জন্য। এখন পদায়নের জন্য টাকার দাবি তার।

ভেবেছিলাম আমার সন্তান হলে হয়তো সে আমাকে মারধর বন্ধ করে দিবে। আমার সন্তানের তিন বছর দুই মাস তবুও সে তার চরিত্র বদলায়নি। আমি নিঃসন্দেহে বলবো সে একজন নরপিচাশ। আমার হাত পা গলা বেধে আমাকে বেদম মারধর করে। আমার মাঝায় এলোপাতাড়ি লাথি ও মুড়া দেয় যার ফলে এখনো আমার হারে বেথা অনুভব করি। সেদিনের নির্যাতনে আমি অসুস্থ হয়ে পরি।

আমার মা আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে আমার খোজ করলে আামার স্বামীর নির্মম নির্যাতনে আমি অসুস্থতার কথা বলে দেয় আমার ছেলে। এবিষয়ে আমার মা এবং রাসেলের কথাকাটা কাটি হলে আমাকে সে এককাপরে ঘর থেকে নির্যাতন করে বের করে দেয়। আমি নিরুপায়। আমি আইনের কাছে ন্যায় বিচার চাই। আমার সন্তানকে ফেরত চাই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মেয়ের মা বাবা বিয়েতে রাজি ছিলনা, পাঁচ বছরে ও থামেনি নির্যাতন

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নাইটগার্ড নজরুল ইসলামের মেয়ে নাছিমা আক্তার (২০) স্বামী মো :রাসেল মিয়ার (২৬) সাথে ২০১৮ সালের ৬ জুন বিয়ে হয় তাদের। নাছিমার ১০ম শ্রেণীতে শিক্ষারত জীবনে রাসেলের আগমন ঘটে। প্রেমের প্রস্তাবে খুনসুটির পরেই ভালোলাগা পর্ব আরম্ভ হয়। অনেক চরাই উতরাই পেরিয়ে পারিবারিক মেলবন্ধনে বিয়ে হয় তাদের।

অনুতাপের বিষয় তারা বাসর রাত থেকেই দাম্পত্য জীবনে সুখি নয় বেধরক নির্যাতনের শিকার বলেই দাবি নাছিমা আক্তারের । বর্তমান তাদের একটি পূত্র সন্তান রয়েছে বয়স ৩ বছর।

নাছিমা বেগমের অভিযোগ রাসেল আমাকে পছন্দ করেই আমাকে আমার শিক্ষা জীবনে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি বহুবার তাকে ফিরিয়ে দেই। চলার পথে আমার বান্ধবিদের খাতিরে তার কথায় সাড়া দিতাম এমন ভাবে চলতে চলতেই আমাদের সম্পর্ক হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আমার পরিবারকে আমরা মানিয়ে নিতে ব্যার্থ হই। আমার বাবা মা কোন ভাবেই তাকে মনে নিবে না। আমার পরিবার অন্যত্র আমার বিয়ে ঠিক করে। তার পর থেকে রাসেল আমার পরিবারের লোকজনকে কাকতি মিনতি করে স্থানীয় লোকজন কে দিয়ে ও খবর দেয়। আমার পছন্দ থাকাতে অনেক চরাই উতরাই পেরিয়ে আমার পরিবার কে রাসেল হুমকি দেয় হলুদের স্টেজ থেকে তুলে নেওয়ার।

পরে আমার পরিবার যেই বড় পক্ষ দেখতে আসে তাদেরকে সমন্ধ করতে অস্বীকার করে এবং রাসেলের সাথে বিয়ে হয়। বাসর রাতে আমাকে শারিরীক ও মানুষিক ভাবে নির্মম নির্যাতন করে। আমার অপকর্মের ফল আমি নিজে নিজেই ভোগকরি আমার বাবা মা কে জানাইনি ।আমি যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি তার দূর্নাম আমার মা বাবা কে বলতে পারবোনা। আমি প্রতিনিয়তই তার এমন নিষ্ঠুর আচরন মুখবুঝে একাকিত্ব সহ্য করি। কারন একটাই কেন আগে আমার মা বাবা মেনে নিলেন না।

আমার পরিবার আমার বিয়ের পর রাসেল কে কম যত্ন আত্নি করে নাই। আমার স্বামী সন্তান সবার সব প্রয়োজনে ধারে লাভে শুধে আপ্যায়নে কমতি রাখেনি। শুধু তার মন পাওয়ার জন্য আমি বাবার একটি মেয়ে। আমার কোন আবদার অপূর্ণ রাখেনি আমার মা বাবা। শুধু আমার স্বামীর ভালোবাসা এনে দিতে ব্যার্থ। য়ার জন্য আমি নিজে দ্বায়ী বলেই স্বীকার করি। আমার বাবা মায়ের কথা শুনলে আমার জীবনে ভালোবাসা কাল হয়ে দারাতোনা। বিয়ের পর কয়েক দফা টাকা নিয়ে দিছি আমার পরিবারের কাছ থেকে ব্যবসা করার জন্য চাকুরির সুপারিশের জন্য। এখন পদায়নের জন্য টাকার দাবি তার।

ভেবেছিলাম আমার সন্তান হলে হয়তো সে আমাকে মারধর বন্ধ করে দিবে। আমার সন্তানের তিন বছর দুই মাস তবুও সে তার চরিত্র বদলায়নি। আমি নিঃসন্দেহে বলবো সে একজন নরপিচাশ। আমার হাত পা গলা বেধে আমাকে বেদম মারধর করে। আমার মাঝায় এলোপাতাড়ি লাথি ও মুড়া দেয় যার ফলে এখনো আমার হারে বেথা অনুভব করি। সেদিনের নির্যাতনে আমি অসুস্থ হয়ে পরি।

আমার মা আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে আমার খোজ করলে আামার স্বামীর নির্মম নির্যাতনে আমি অসুস্থতার কথা বলে দেয় আমার ছেলে। এবিষয়ে আমার মা এবং রাসেলের কথাকাটা কাটি হলে আমাকে সে এককাপরে ঘর থেকে নির্যাতন করে বের করে দেয়। আমি নিরুপায়। আমি আইনের কাছে ন্যায় বিচার চাই। আমার সন্তানকে ফেরত চাই।