ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবি ইসলামি আন্দোলনের

চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির  আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

লিখিত বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পাঠ্যসূচির অধিকাংশ অধ্যায়ে আদিম সভ্যতা, হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের শাসন ইতিহাস এবং নগরায়ণের কথা বলা হয়েছে এবং শেষের অধ্যায়ে অল্প পরিসরে সুলতানি আমলের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। বাংলায় প্রায় ৬০০ বছরের মুসলিম শাসনকে আগেকার মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য, সেন, পাল আমল এবং পরের ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

ইসলামি আন্দোলনের এ আমির বলেন, স্বদেশী আন্দোলন এবং ক্ষুদিরাম, সূর্য সেনদের সশস্ত্র আন্দোলনের কথা এসেছে। বাংলার ইসলামি আন্দোলনের একমাত্র উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে নবম-দশম শ্রেণির “ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” বইতে। সেখানেও বৈষম্যটা স্পষ্ট। ফকির বিদ্রোহ, তিতুমীরের আন্দোলন, খিলাফত আন্দোলন এক এক পৃষ্ঠা করেও আলোচনা পায়নি। ক্ষমতাসীন সরকারে সমালোচনা করে রেজাউল করিম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাঠ্যপুস্তকের বিকৃতি ঘটানো ও ইতিহাস থেকে মুসলমানদের মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, এ বই সংশোধন না বরং বাতিল করতে হবে। সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ওলামাদের সমন্বয়ে নতুন করে বই লিখতে হবে। একই সঙ্গে এ বই রচনার সঙ্গে জড়িতদের ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য মাও. সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাও. গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবি ইসলামি আন্দোলনের

আপডেট সময় ০৫:১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির  আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

লিখিত বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পাঠ্যসূচির অধিকাংশ অধ্যায়ে আদিম সভ্যতা, হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের শাসন ইতিহাস এবং নগরায়ণের কথা বলা হয়েছে এবং শেষের অধ্যায়ে অল্প পরিসরে সুলতানি আমলের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। বাংলায় প্রায় ৬০০ বছরের মুসলিম শাসনকে আগেকার মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য, সেন, পাল আমল এবং পরের ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

ইসলামি আন্দোলনের এ আমির বলেন, স্বদেশী আন্দোলন এবং ক্ষুদিরাম, সূর্য সেনদের সশস্ত্র আন্দোলনের কথা এসেছে। বাংলার ইসলামি আন্দোলনের একমাত্র উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে নবম-দশম শ্রেণির “ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” বইতে। সেখানেও বৈষম্যটা স্পষ্ট। ফকির বিদ্রোহ, তিতুমীরের আন্দোলন, খিলাফত আন্দোলন এক এক পৃষ্ঠা করেও আলোচনা পায়নি। ক্ষমতাসীন সরকারে সমালোচনা করে রেজাউল করিম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাঠ্যপুস্তকের বিকৃতি ঘটানো ও ইতিহাস থেকে মুসলমানদের মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, এ বই সংশোধন না বরং বাতিল করতে হবে। সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ওলামাদের সমন্বয়ে নতুন করে বই লিখতে হবে। একই সঙ্গে এ বই রচনার সঙ্গে জড়িতদের ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য মাও. সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাও. গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।