৪৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪ শ’ জনকে আসামি করে মামলা :গ্রেফতার-১০ রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর সেলিম উদ্দিন ভুঁইয়া ও সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমসহ ৪৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪ শ’ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
কাফরুল থানার এসআই শ্যামল কুমার হালদার বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জামায়াতের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ। তবে, তাৎক্ষণিক ভাবে আটককৃতদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। আজ বুধবার গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার আদালতে পাঠিয়েছে কাফরুল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর ১০ গোল চত্বর এলাকা থেকে শেওরাপাড়া পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার প্রাক্কালে পুলিশের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ডিএমপির কাফরুল থানার (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান জামায়াতের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কাফরুল থানার এসআই শ্যামল কুমার হালদার বাদি হয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের নামে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ৪৬ জন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত শিবির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও তিন-চারশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, ডিএমপির কাফরুল থানার (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর ১০ গোল চত্বর এলাকা থেকে শেওরাপাড়া পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত। সেখানে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় দলটির নেতাকর্মীদের হামলায় কাফরুল থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। তাদের নাম তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।
তিনি জানান, যানচলাচল বিঘ্ন ঘটিয়ে জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের নামে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছিল। এ মামলার ঘটনায় জামায়াতের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর সেলিম উদ্দিন ভুইয়া ও সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমসহ ৪৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪ শ’ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে, কয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। এ হামলায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।