মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে সৃষ্ট অস্থিরতার বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন সহায়তা করবে। ‘তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে’ বলেও জানান তিনি। এর আগে গত সপ্তাহে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই ব্রিফিংয়ে চীনের প্রতিনিধি না আসায় সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চীনের রাষ্ট্রদূতকে পৃথকভাবে ডেকে পাঠানো হয়।
বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. খোরশেদ আলম জানান, গত ব্রিফিংয়ে চীনের প্রতিনিধি অনুপস্থিত ছিলেন। সে কারণে আজ তাকে অবহিত করা হয়েছে। আগের ব্রিফিংয়ে চীনের প্রতিনিধি কেন আসেননি জানতে চাইলে খোরশেদ আলম বলেন, ‘তাদের অবশ্যই কারণ ছিল। আমরা বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছে এর ব্যাখ্যা চাই না।’ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে চীন আগে থেকে ছিল এবং এটি যাতে আরও ত্বরান্বিত হয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বেইজিং বাংলাদেশকে সহায়তা করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের জানিয়েছেন সহায়তা করবে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে তারা সহায়তা করবে।’ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করা জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, ‘আগে চীন একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। আমরা তাদের বলেছি—তারা যেন আবার উদ্যোগ নেয়।’
রাখাইনে যুদ্ধ হচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের যে জায়গায় প্রত্যাবাসন করা হবে, সেখানে যুদ্ধ নেই বলে তিনি জানান। এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে সৃষ্ট সমস্যার বিষয়টি বলা হয়েছে এবং এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’