ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

অবশেষে ৭২ ঘন্টা পর উদ্ধার হলো অস্ত্র বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শুক্রবার থেকে ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এসময় বাড়ি থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাত থেকে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেচির বাজারের দিঘলবাক গ্রামের মৃত আব্দুস সমিরের ছেলে আখলাকুর রহমানের বাড়িটি ঘিরে রাখে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রবিবার সকালে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ টিম এসে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে একটি রিভলভার, একটি ল্যাপটপ, ৯টি মোবাইল ফোন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও পাউডার, দুইটি ওয়াকিটকি সাদৃশ্য বস্তু ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। দিনভর অভিযান শেষে বিকেল সোয়া ৫ টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব উদ্ধারের তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও মিডিয়া) রিপন কুমার মোদক। উদ্ধার পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ জানুয়ারি জগন্নাথপুর থানার এএসআই মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিক নন-এফআইআর মামলা নং-১১৪/২০২২ ও ৩৭৬/২০২২ এর আসামি আফজাল হোসেনকে (৩৫) আদালতের ইস্যুকৃত সমন জারি করতে আসামির বাড়িতে গেলে আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন আসামির বসতঘরের কয়েকটি কক্ষে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সাদা পাউডার ও যন্ত্রপাতি দেখতে পান ওই পুলিশ সদস্য। আফজাল হোসেন এর বিরুদ্ধে পাড়া প্রতিবেশী ও একই বাড়ীর চাচাতো ভাইদের অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।আফজাল হোসেন এর চলাফেরা, চালচলন অন্যরকম এবং সন্দেহজনক বলে তারা জানান। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর অভিযান পরিচালনা করে এসব বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

অবশেষে ৭২ ঘন্টা পর উদ্ধার হলো অস্ত্র বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম

আপডেট সময় ১২:২১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শুক্রবার থেকে ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এসময় বাড়ি থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাত থেকে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেচির বাজারের দিঘলবাক গ্রামের মৃত আব্দুস সমিরের ছেলে আখলাকুর রহমানের বাড়িটি ঘিরে রাখে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রবিবার সকালে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ টিম এসে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে একটি রিভলভার, একটি ল্যাপটপ, ৯টি মোবাইল ফোন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও পাউডার, দুইটি ওয়াকিটকি সাদৃশ্য বস্তু ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। দিনভর অভিযান শেষে বিকেল সোয়া ৫ টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব উদ্ধারের তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও মিডিয়া) রিপন কুমার মোদক। উদ্ধার পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ জানুয়ারি জগন্নাথপুর থানার এএসআই মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিক নন-এফআইআর মামলা নং-১১৪/২০২২ ও ৩৭৬/২০২২ এর আসামি আফজাল হোসেনকে (৩৫) আদালতের ইস্যুকৃত সমন জারি করতে আসামির বাড়িতে গেলে আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন আসামির বসতঘরের কয়েকটি কক্ষে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সাদা পাউডার ও যন্ত্রপাতি দেখতে পান ওই পুলিশ সদস্য। আফজাল হোসেন এর বিরুদ্ধে পাড়া প্রতিবেশী ও একই বাড়ীর চাচাতো ভাইদের অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।আফজাল হোসেন এর চলাফেরা, চালচলন অন্যরকম এবং সন্দেহজনক বলে তারা জানান। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর অভিযান পরিচালনা করে এসব বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।