ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গণপূর্তের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ছয় প্রকল্প বাতিল দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বোতলজাতকরণের দায়ে ৩ জনকে সাজা প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে আলোচনা সভা বোরহানউদ্দিনে উত্তর-টবগী রাস্তার মাথা জামে মসজিদের সভাপতি বাচ্চু পন্ডিত- সম্পাদক- আলম ফরাজি তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই ট্রাকে অভিনব কায়দায় লুকানো ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩ মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুম, বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু। দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ড. ইউনূস নাম-পরিচয় গোপন করেও রক্ষা হলোনা বিএনপি নেতা চুন্নুর! মুরাদনগরে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ:প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ

প্রস্তুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিকভাবে লাগবে ৮০ মেগাওয়াট

চলতি বছর দেশের পরিবহন খাতে যুক্ত হচ্ছে মেট্রোরেল। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে নতুন এ গণপরিবহন। চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেলে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হবে বিদ্যুৎ। ফসিল ফুয়েলের কোনো ব্যবহার না থাকায় মেট্রোরেল হবে পরিবেশবান্ধব। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলে প্রতিদিন ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। প্রাথমিকভাবে এমআরটি-৬ লাইনের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলে প্রয়োজন পড়বে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা সরাসরি জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ করা হবে। পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) মূল তত্ত্বাবধানে ডেসকো, ডিপিডিসি সমন্বিতভাবে মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করবে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মেট্রোরেলকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে

dhakapost

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উত্তরা ডিপো এবং মতিঝিল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাব-স্টেশন থাকবে। মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) মানিকনগর গ্রিড সাব-স্টেশন থেকে ১৩২ কেভির দুটি পৃথক সার্কিট, উত্তরা রিসিভিং সাব-স্টেশনে পিজিসিবির টঙ্গী গ্রিড সাব-স্টেশন হতে ১৩২ কেভির একটি সার্কিট এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) উত্তরা গ্রিড সাব-স্টেশন থেকে ১৩২ কেভির একটি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। উভয় রিসিভিং সাব-স্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত ট্রান্সফর্মার থাকবে। এছাড়া পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ডেসকোর ৩৩ কেভি সাব-স্টেশন থেকে শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকবে। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

dhakapost

কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মেট্রোরেলকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে।

মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সর্বশেষ অগ্রগতির তথ্যে জানা যায়, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম সরবরাহ ও নির্মাণকাজ প্যাকেজের সার্বিক বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। প্যাকেজের আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের রেল লাইন, ওভারহেড ক্যাটানারি সিস্টেম, সিগনালিং সিস্টেম,অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন ইকুইপমেন্ট স্থাপন করে টেস্টিং সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এএফসি সার্ভারের সঙ্গে ডিটিসিএ’র ক্লিয়ারিং হাউজ সার্ভারের ইন্টিগ্রেশন টেস্ট শেষ পর্যায়ে রয়েছে

উল্লেখ্য, ইএসএস মূলত ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম। যা মেট্রো ট্রেনের রিজেনারেটিভ ব্র্যাকিং এনার্জি দ্বারা নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে। এমআরটি লাইন-৬ বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল পরিচালনায় ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ওসিএস) ১৫০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহৃত হবে। মেট্রোরেলে প্যান্টোগ্রাফের সাহায্যে ওসিএস থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাবে।

dhakapost

মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সর্বশেষ অগ্রগতির তথ্যে জানা যায়, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম সরবরাহ ও নির্মাণকাজ প্যাকেজের সার্বিক বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। প্যাকেজের আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের রেল লাইন, ওভারহেড ক্যাটানারি সিস্টেম, সিগনালিং সিস্টেম,অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন ইকুইপমেন্ট স্থাপন করে টেস্টিং সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এএফসি সার্ভারের সঙ্গে ডিটিসিএ’র ক্লিয়ারিং হাউজ সার্ভারের ইন্টিগ্রেশন টেস্ট শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনের ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং ১৩২ কেভি ক্যাবল লেইং স্থাপন হয়েছে। ১৯.৮৯ কিলোমিটার ওভারহেড ক্যাটানারি সিস্টেমের ওয়্যারিংয়ের মধ্যে ১৩.৭৩ কিলোমিটারের ওয়্যারিং সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করছে।

‘মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা গ্রিড লাইনের ছয়টি সোর্স থেকে আলাদাভাবে বিদ্যুৎ নিচ্ছি। কাজেই যদি কোনো কারণে সবগুলো গ্রিড ফেল করে, তাহলে মেট্রোরেল পরিচালনায় কিছুটা অসুবিধা হবে। তখন আমাদের যে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা আছে সেটি দিয়ে আমরা ট্রেনটিকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসব। যদি সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে ভিন্ন একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।‘

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান বলেন, মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সার্বিক দিক ভেবেই নকশা করা হয়েছে। জাতীয় গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। গ্রিড ফেইলের মতো যদি কোনো ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে কোনো ঘাটতি নেই।

সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে মেট্রোরেল চলতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুৎ যে পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে, তার মাধ্যমে মেট্রোরেল চলাচলের উপযোগী না। সোলার পাওয়ারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাও সম্ভব নয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গণপূর্তের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ছয় প্রকল্প বাতিল

প্রস্তুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিকভাবে লাগবে ৮০ মেগাওয়াট

আপডেট সময় ০৩:০৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

চলতি বছর দেশের পরিবহন খাতে যুক্ত হচ্ছে মেট্রোরেল। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে নতুন এ গণপরিবহন। চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেলে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হবে বিদ্যুৎ। ফসিল ফুয়েলের কোনো ব্যবহার না থাকায় মেট্রোরেল হবে পরিবেশবান্ধব। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলে প্রতিদিন ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। প্রাথমিকভাবে এমআরটি-৬ লাইনের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলে প্রয়োজন পড়বে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা সরাসরি জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ করা হবে। পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) মূল তত্ত্বাবধানে ডেসকো, ডিপিডিসি সমন্বিতভাবে মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করবে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মেট্রোরেলকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে

dhakapost

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উত্তরা ডিপো এবং মতিঝিল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাব-স্টেশন থাকবে। মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) মানিকনগর গ্রিড সাব-স্টেশন থেকে ১৩২ কেভির দুটি পৃথক সার্কিট, উত্তরা রিসিভিং সাব-স্টেশনে পিজিসিবির টঙ্গী গ্রিড সাব-স্টেশন হতে ১৩২ কেভির একটি সার্কিট এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) উত্তরা গ্রিড সাব-স্টেশন থেকে ১৩২ কেভির একটি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। উভয় রিসিভিং সাব-স্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত ট্রান্সফর্মার থাকবে। এছাড়া পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ডেসকোর ৩৩ কেভি সাব-স্টেশন থেকে শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকবে। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

dhakapost

কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মেট্রোরেলকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে।

মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সর্বশেষ অগ্রগতির তথ্যে জানা যায়, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম সরবরাহ ও নির্মাণকাজ প্যাকেজের সার্বিক বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। প্যাকেজের আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের রেল লাইন, ওভারহেড ক্যাটানারি সিস্টেম, সিগনালিং সিস্টেম,অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন ইকুইপমেন্ট স্থাপন করে টেস্টিং সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এএফসি সার্ভারের সঙ্গে ডিটিসিএ’র ক্লিয়ারিং হাউজ সার্ভারের ইন্টিগ্রেশন টেস্ট শেষ পর্যায়ে রয়েছে

উল্লেখ্য, ইএসএস মূলত ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম। যা মেট্রো ট্রেনের রিজেনারেটিভ ব্র্যাকিং এনার্জি দ্বারা নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে। এমআরটি লাইন-৬ বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল পরিচালনায় ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ওসিএস) ১৫০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহৃত হবে। মেট্রোরেলে প্যান্টোগ্রাফের সাহায্যে ওসিএস থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাবে।

dhakapost

মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সর্বশেষ অগ্রগতির তথ্যে জানা যায়, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম সরবরাহ ও নির্মাণকাজ প্যাকেজের সার্বিক বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। প্যাকেজের আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের রেল লাইন, ওভারহেড ক্যাটানারি সিস্টেম, সিগনালিং সিস্টেম,অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন ইকুইপমেন্ট স্থাপন করে টেস্টিং সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এএফসি সার্ভারের সঙ্গে ডিটিসিএ’র ক্লিয়ারিং হাউজ সার্ভারের ইন্টিগ্রেশন টেস্ট শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনের ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং ১৩২ কেভি ক্যাবল লেইং স্থাপন হয়েছে। ১৯.৮৯ কিলোমিটার ওভারহেড ক্যাটানারি সিস্টেমের ওয়্যারিংয়ের মধ্যে ১৩.৭৩ কিলোমিটারের ওয়্যারিং সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করছে।

‘মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা গ্রিড লাইনের ছয়টি সোর্স থেকে আলাদাভাবে বিদ্যুৎ নিচ্ছি। কাজেই যদি কোনো কারণে সবগুলো গ্রিড ফেল করে, তাহলে মেট্রোরেল পরিচালনায় কিছুটা অসুবিধা হবে। তখন আমাদের যে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা আছে সেটি দিয়ে আমরা ট্রেনটিকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসব। যদি সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে ভিন্ন একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।‘

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান বলেন, মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সার্বিক দিক ভেবেই নকশা করা হয়েছে। জাতীয় গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। গ্রিড ফেইলের মতো যদি কোনো ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে কোনো ঘাটতি নেই।

সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে মেট্রোরেল চলতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুৎ যে পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে, তার মাধ্যমে মেট্রোরেল চলাচলের উপযোগী না। সোলার পাওয়ারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাও সম্ভব নয়।