ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গণপূর্তের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ছয় প্রকল্প বাতিল দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বোতলজাতকরণের দায়ে ৩ জনকে সাজা প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে আলোচনা সভা বোরহানউদ্দিনে উত্তর-টবগী রাস্তার মাথা জামে মসজিদের সভাপতি বাচ্চু পন্ডিত- সম্পাদক- আলম ফরাজি তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই ট্রাকে অভিনব কায়দায় লুকানো ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩ মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুম, বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু। দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ড. ইউনূস নাম-পরিচয় গোপন করেও রক্ষা হলোনা বিএনপি নেতা চুন্নুর! মুরাদনগরে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ:প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ

ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৯৬ সালে একটা নির্বাচন হয়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারও ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না, এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি।

তিনি বলেন, তখন গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, আন্দোলন হয়েছিল। খালেদা জিয়া সেই ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল,  আর ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। বাংলার জনগণ তাকে বাধ্য করেছিল। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১২ জুন যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম, বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছিলাম, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করেছিলাম, পুল, ব্রিজ, রাস্তা-ঘাট, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুসহ অনেক কাজ করে বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০০১ এ আমরা সরকারে আসতে পারিনি।

dhakapost

‘কেন পারিনি, এটা অনেকবার বলেছি, আর বলতে চাই না কিন্তু বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে নষ্ট হবে না, কারো হাতে তুলে দেবো না- আমার এই প্রতিজ্ঞাই ছিল। হয়তো সে কারণেই আমরা আবার আসতে পারিনি। তাতে আমার কোনও আফসোস নেই। কিন্তু ২০০১ এ যারা ক্ষমতায় এসেছিল হত্যা, খুন, জঙ্গিবাদ, লুটপাট, দুর্নীতি, বিদ্যুত না দিয়ে এর পরিবর্তে খাম্বা -এরকম অনেক খেলাই এদেশের মানুষ দেখেছে।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আর এক বছর পরই যেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তাই এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়া নতুন কমিটিকে নির্বাচনী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সে জন্য এবারের সম্মেলনের ভিন্ন মাত্রার গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লষকরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গণপূর্তের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ছয় প্রকল্প বাতিল

ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না

আপডেট সময় ০৩:০৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৯৬ সালে একটা নির্বাচন হয়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারও ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না, এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি।

তিনি বলেন, তখন গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, আন্দোলন হয়েছিল। খালেদা জিয়া সেই ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল,  আর ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। বাংলার জনগণ তাকে বাধ্য করেছিল। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১২ জুন যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম, বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছিলাম, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করেছিলাম, পুল, ব্রিজ, রাস্তা-ঘাট, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুসহ অনেক কাজ করে বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০০১ এ আমরা সরকারে আসতে পারিনি।

dhakapost

‘কেন পারিনি, এটা অনেকবার বলেছি, আর বলতে চাই না কিন্তু বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে নষ্ট হবে না, কারো হাতে তুলে দেবো না- আমার এই প্রতিজ্ঞাই ছিল। হয়তো সে কারণেই আমরা আবার আসতে পারিনি। তাতে আমার কোনও আফসোস নেই। কিন্তু ২০০১ এ যারা ক্ষমতায় এসেছিল হত্যা, খুন, জঙ্গিবাদ, লুটপাট, দুর্নীতি, বিদ্যুত না দিয়ে এর পরিবর্তে খাম্বা -এরকম অনেক খেলাই এদেশের মানুষ দেখেছে।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আর এক বছর পরই যেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তাই এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়া নতুন কমিটিকে নির্বাচনী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সে জন্য এবারের সম্মেলনের ভিন্ন মাত্রার গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লষকরা।