ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিনে অনীহা নজর ছিল আমদানিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম সদরঘাট থানা’র উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত এমন গরম আর কতদিন ? কোরআন পড়ে বাড়ি ফেরা হলো না চার শিশুর দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, বড় হুজুর গ্রেফতার রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গণপূর্তের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ছয় প্রকল্প বাতিল দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বোতলজাতকরণের দায়ে ৩ জনকে সাজা প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে আলোচনা সভা বোরহানউদ্দিনে উত্তর-টবগী রাস্তার মাথা জামে মসজিদের সভাপতি বাচ্চু পন্ডিত- সম্পাদক- আলম ফরাজি তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

কিছু রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের কথা ভাবছে জাপান

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তার দেশে কিছু রোহিঙ্গাকে জাপানে পুনর্বাসনের কথা ভাবছে। নিপীড়ন এড়াতে মিয়ানমার থেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার যখন কমানোর চেষ্টা বরছে ঢাকা, তখন তিনি এ কথা জানালেন। খবর বাসসের।  

বিদায়ী এই রাষ্ট্রদূত বাসসকে আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের অনুরোধ পেয়েছে। এখানে ইউএনএইচসিআরও আমাদের রোহিঙ্গাদের জাপানে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করার পরামর্শ দিচ্ছে।

ইতো আরও বলেন, আনুমানিক ৩০০ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যেই টোকিও থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে একটি শহরে বাস করছে। কিন্তু সাধারণ নীতি অনুসারে জাপান বিদেশি শরণার্থীদের বিষয়ে কিছুটা সতর্ক ছিল, যদিও তার দেশ যখন এই ধরনের আশ্রয় দেয় তখন এর পূর্ব-নজিরও ছিল। সুতরাং, সেখানে (জাপানে) রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একটি বেস রয়েছে, তবে এই মুহূর্তে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে বলেছিলেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানকে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার বোঝা ভাগাভাগি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকার অনুরোধের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে প্রতীকীভাবে ২৪ রোহিঙ্গাকে নিয়ে গেছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা জানি প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার (একমাত্র) সমাধান এবং মিয়ানমারই একমাত্র দেশ যেটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে এ সমাধান দিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, টোকিও ‘গভীরভাবে আশা করছে’ মিয়ানমার-বাংলাদেশের আলোচনা প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে জাপান বাংলাদেশ সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, তবে তারা  এক্ষেত্রে ‘মধ্যস্থতা’ শব্দটি ব্যবহার করতে আগ্রহী।

ইতো বলেছেন, আমাদের এখনও প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব, আমরা জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর প্রতি আমাদের তহবিল অব্যাহত রাখব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিনে অনীহা নজর ছিল আমদানিতে

কিছু রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের কথা ভাবছে জাপান

আপডেট সময় ১১:৪৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তার দেশে কিছু রোহিঙ্গাকে জাপানে পুনর্বাসনের কথা ভাবছে। নিপীড়ন এড়াতে মিয়ানমার থেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার যখন কমানোর চেষ্টা বরছে ঢাকা, তখন তিনি এ কথা জানালেন। খবর বাসসের।  

বিদায়ী এই রাষ্ট্রদূত বাসসকে আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের অনুরোধ পেয়েছে। এখানে ইউএনএইচসিআরও আমাদের রোহিঙ্গাদের জাপানে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করার পরামর্শ দিচ্ছে।

ইতো আরও বলেন, আনুমানিক ৩০০ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যেই টোকিও থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে একটি শহরে বাস করছে। কিন্তু সাধারণ নীতি অনুসারে জাপান বিদেশি শরণার্থীদের বিষয়ে কিছুটা সতর্ক ছিল, যদিও তার দেশ যখন এই ধরনের আশ্রয় দেয় তখন এর পূর্ব-নজিরও ছিল। সুতরাং, সেখানে (জাপানে) রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একটি বেস রয়েছে, তবে এই মুহূর্তে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে বলেছিলেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানকে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার বোঝা ভাগাভাগি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকার অনুরোধের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে প্রতীকীভাবে ২৪ রোহিঙ্গাকে নিয়ে গেছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা জানি প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার (একমাত্র) সমাধান এবং মিয়ানমারই একমাত্র দেশ যেটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে এ সমাধান দিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, টোকিও ‘গভীরভাবে আশা করছে’ মিয়ানমার-বাংলাদেশের আলোচনা প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে জাপান বাংলাদেশ সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, তবে তারা  এক্ষেত্রে ‘মধ্যস্থতা’ শব্দটি ব্যবহার করতে আগ্রহী।

ইতো বলেছেন, আমাদের এখনও প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব, আমরা জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর প্রতি আমাদের তহবিল অব্যাহত রাখব।