ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

চলছে হোটেল যমুনার রমরমা দেহ ব্যাবসা ও মাদক সেবন

শেওড়াপাড়া বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের উত্তর প্বার্শে বাটা ও ভাইব্রেন্ট শোরুম এর পাশে হোটেল যমুনায় দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক দেহ ব্যবসা। আর এই হোটেলে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামঞ্চাল থেকে আগত যাত্রী ও মোটর শ্রমিকদের আনাগোনাই বেশি। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। হোটেলে এই ব্যবসার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলটির ম্যানেজার। অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলে জানা যায়।

আতঙ্কের মধ্যেও থেমে নেই মিরপুর ঢাকা ১২১৬, শেওড়া পাড়া বাস স্ট্যান্ড, অগ্রণী ব্যাংকের উত্তর পাশে বাটা ও ভাই ব্রেন্ট শো-রুমের পাশে ৫ম তলায় অবস্থিত হোটেল যমুনা আবাসিকের রমরমা বানিজ্য। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই আবাসিক হোটেলে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা ও মাদক বানিজ্য। সারা দেশে প্রশাসন ব্যাস্ততম সময় পার করছে। ঠিক সেই সুযোগে নিরবে চলে জমজমাট পতিতা ব্যাবসা। কিন্তু সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের মত এই আবাসিক হোটেল রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়।

আবার ভ্রাম্যমান দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। তাদের কাছে কোনো কিছুইরই ভয় নাই । গত শুক্রবার এমনই একটি চিত্র ধরা পড়ে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি প্রতিবেদকের কাছে।

হাঠৎ একটি যুবক আসে। প্রথমে পাশে দাড়ায়। তার মিনিট খানেক পড়ে বলে ভাই কাউকে খুজতে আসেন নাকি? তখন প্রতিবেদক বললেন হ্যা এখানে একটা হোটেল আছে না? যুবকটি বলেন হ্যা ভাই আছে। তবে আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে। এখন সব কচি মাল। রেট একটু বেশি। চেহারাও পরির মত। বিভিন্ন বয়সের আছে। আসেন ভাই ভিতরে ঢুকে দেখলেই প্রান জুড়ে যাবে আপনার। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই মিরপুরে এই হোটেলে প্রতিদিনই চলে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা ও মাদক সেবন।

এইসব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর ছোট বড় মিলে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। তবে এই হোটেলের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি। এই আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। কাফরুল থানা পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে আবাসিক হোটেল যমুনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হোটেল যমুনা এর মালিক মামুন ও মেনেজার আরিফ একটি সংঘবদ্ধ দল হয়ে ও বিভিন্ন দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আখড়া।

দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহে গেলে, প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তারপর হোটেল যমুনা এর মালিকপক্ষের একজন এসে প্রতিবেদক এর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর হোটেলে গেলে তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা যায় হোটেল যমুনা-এ প্রবেশের পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আবাসিকের কর্মীদের জানিয়ে দেয়।

এই বিষয়ে কারফুল থানার ওসি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

চলছে হোটেল যমুনার রমরমা দেহ ব্যাবসা ও মাদক সেবন

আপডেট সময় ১২:১২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

শেওড়াপাড়া বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের উত্তর প্বার্শে বাটা ও ভাইব্রেন্ট শোরুম এর পাশে হোটেল যমুনায় দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক দেহ ব্যবসা। আর এই হোটেলে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামঞ্চাল থেকে আগত যাত্রী ও মোটর শ্রমিকদের আনাগোনাই বেশি। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। হোটেলে এই ব্যবসার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলটির ম্যানেজার। অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলে জানা যায়।

আতঙ্কের মধ্যেও থেমে নেই মিরপুর ঢাকা ১২১৬, শেওড়া পাড়া বাস স্ট্যান্ড, অগ্রণী ব্যাংকের উত্তর পাশে বাটা ও ভাই ব্রেন্ট শো-রুমের পাশে ৫ম তলায় অবস্থিত হোটেল যমুনা আবাসিকের রমরমা বানিজ্য। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই আবাসিক হোটেলে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা ও মাদক বানিজ্য। সারা দেশে প্রশাসন ব্যাস্ততম সময় পার করছে। ঠিক সেই সুযোগে নিরবে চলে জমজমাট পতিতা ব্যাবসা। কিন্তু সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের মত এই আবাসিক হোটেল রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়।

আবার ভ্রাম্যমান দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। তাদের কাছে কোনো কিছুইরই ভয় নাই । গত শুক্রবার এমনই একটি চিত্র ধরা পড়ে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি প্রতিবেদকের কাছে।

হাঠৎ একটি যুবক আসে। প্রথমে পাশে দাড়ায়। তার মিনিট খানেক পড়ে বলে ভাই কাউকে খুজতে আসেন নাকি? তখন প্রতিবেদক বললেন হ্যা এখানে একটা হোটেল আছে না? যুবকটি বলেন হ্যা ভাই আছে। তবে আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে। এখন সব কচি মাল। রেট একটু বেশি। চেহারাও পরির মত। বিভিন্ন বয়সের আছে। আসেন ভাই ভিতরে ঢুকে দেখলেই প্রান জুড়ে যাবে আপনার। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই মিরপুরে এই হোটেলে প্রতিদিনই চলে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা ও মাদক সেবন।

এইসব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর ছোট বড় মিলে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। তবে এই হোটেলের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি। এই আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। কাফরুল থানা পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে আবাসিক হোটেল যমুনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হোটেল যমুনা এর মালিক মামুন ও মেনেজার আরিফ একটি সংঘবদ্ধ দল হয়ে ও বিভিন্ন দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আখড়া।

দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহে গেলে, প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তারপর হোটেল যমুনা এর মালিকপক্ষের একজন এসে প্রতিবেদক এর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর হোটেলে গেলে তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা যায় হোটেল যমুনা-এ প্রবেশের পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আবাসিকের কর্মীদের জানিয়ে দেয়।

এই বিষয়ে কারফুল থানার ওসি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।