ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বোরহানউদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন সমন্বয়‌কের বাড়ির দেয়া‌লে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ লিখে হুমকি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫ ১৬ বছরের জেদ, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই চুল কাটবেন সাবু! পর্যটক সীমিত করলেও নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসেন্টমার্টিনে জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে নিজের মনে করে ব্যবহার করেছেন:রংপুরে জামাতের আমীর মঠবাড়িয়ায় আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রচারে একসঙ্গে ইউনেসকো-সিসিমপুর

শিশুদের কাছে বাংলাদেশে ইউনেসকোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে একসঙ্গে কাজ করবে ইউনেসকো এবং সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তথা সিসিমপুর। নতুন এই উদ্যোগের আওতায় তথ্য এবং বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের কাছে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যকে আরো বেশি পরিচিত করতে কাজ করবে সিসিমপুর। শিশুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে দিয়ে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের ওপর তৈরি করা হবে এডুটেইনমেন্ট ভিডিও। পাশাপাশি শিশুদের জন্য থাকবে কিছু অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমও।

এ উপলক্ষে ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ইউনেসকোর ঢাকা কার্যালয়ে ইউনেসকো এবং সিসিমপুরের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইউনেসকো বাংলাদেশের অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং সিসিমপুরের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ইউনেসকো-সিসিমপুর নতুন এই উদ্যোগ সম্পর্কে ইউনেসকো বাংলাদেশের প্রধান সুজান ভাইজ বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের ৫০তম বার্ষিকীতে সিসিমপুরের সঙ্গে এই যৌথ কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে হালুম, টুকটুকি, ইকরি এবং শিকুর সঙ্গে আমাদের একটি বর্ণিল এবং ফলপ্রসূ যাত্রার সূচনা হলো। আমি বিশ্বাস করি, এই কার্যক্রম বাংলাদেশের শিশুদের কাছে দেশটির তিন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানকে আরো ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তুলবে।

সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ইউনেসকোর এই বিশ্ব ঐতিহ্য আমাদের জন্য গর্বের। কিন্তু শুধু শিশুরাই নয়, আমাদের দেশের এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই ঠিকঠাক জানি না। অথচ এই বিষয়ে সবারই জানা দরকার। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শিশু এবং নতুন প্রজন্মের তরুণদের কাছে ইউনেসকোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্যকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে চাই।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এবং ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ

তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রচারে একসঙ্গে ইউনেসকো-সিসিমপুর

আপডেট সময় ১১:৩০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

শিশুদের কাছে বাংলাদেশে ইউনেসকোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে একসঙ্গে কাজ করবে ইউনেসকো এবং সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তথা সিসিমপুর। নতুন এই উদ্যোগের আওতায় তথ্য এবং বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের কাছে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যকে আরো বেশি পরিচিত করতে কাজ করবে সিসিমপুর। শিশুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে দিয়ে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের ওপর তৈরি করা হবে এডুটেইনমেন্ট ভিডিও। পাশাপাশি শিশুদের জন্য থাকবে কিছু অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমও।

এ উপলক্ষে ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ইউনেসকোর ঢাকা কার্যালয়ে ইউনেসকো এবং সিসিমপুরের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইউনেসকো বাংলাদেশের অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং সিসিমপুরের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ইউনেসকো-সিসিমপুর নতুন এই উদ্যোগ সম্পর্কে ইউনেসকো বাংলাদেশের প্রধান সুজান ভাইজ বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের ৫০তম বার্ষিকীতে সিসিমপুরের সঙ্গে এই যৌথ কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে হালুম, টুকটুকি, ইকরি এবং শিকুর সঙ্গে আমাদের একটি বর্ণিল এবং ফলপ্রসূ যাত্রার সূচনা হলো। আমি বিশ্বাস করি, এই কার্যক্রম বাংলাদেশের শিশুদের কাছে দেশটির তিন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানকে আরো ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তুলবে।

সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ইউনেসকোর এই বিশ্ব ঐতিহ্য আমাদের জন্য গর্বের। কিন্তু শুধু শিশুরাই নয়, আমাদের দেশের এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই ঠিকঠাক জানি না। অথচ এই বিষয়ে সবারই জানা দরকার। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শিশু এবং নতুন প্রজন্মের তরুণদের কাছে ইউনেসকোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্যকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে চাই।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এবং ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।