ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

চাইলেই শর্টকোড নম্বর পাওয়া যাবে না, কিন্তু কেন?

পাঁচ ডিজিটের টেলিফোন নম্বর শর্টকোড হিসেবে পরিচিত। প্রচলিত টেলিফোন নম্বরের পরিবর্তে কম ডিজিট-সম্পন্ন হওয়ায় শর্টকোডের ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের প্রয়োজনে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে আবেদন করে এই নম্বর পেয়ে থাকে। এখন এই প্রক্রিয়ায় লাগাম টানতে যাচ্ছে বিটিআরসি।

এখন চাইলেই আর শর্টকোড পাওয়া যাবে না। আবেদন প্রাপ্তির মধ্যে অধিকতর যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে শর্টকোড বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কিছু শর্তারোপ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিটিআরসি মনে করে, বর্তমানে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন খাতে লক্ষাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে শর্টকোড বরাদ্দ করা সম্ভব নয়, যৌক্তিকও নয়। শর্টকোড একটি সীমিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ। ফলে এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে আরও  শর্তারোপ করা জরুরি।

এই বিষয়টি কমিশনের ২৬৭তম বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস ও স্পেক্ট্রাম বিভাগ) মতামত নিয়ে কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে আরও যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে— শর্টকোডের মাধ্যমে আইভিআর-ভিত্তিক কল সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে চার্জিং সিস্টেম ও সেবা প্রদানের ব্যাপ্তি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সন্তোষজনক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শর্টকোড বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। শর্টকোড একটি সীমিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ, ফলে এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে একই মালিকানাধীন একাধিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শর্টকোড বরাদ্দ নিরুৎসাহিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে উপযুক্ততা যাচাই সাপেক্ষে একাধিক শর্টকোড বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা সীমিত রাষ্ট্রীয় একটি সম্পদ। ফলে সেটা মাথায় রেখেই বরাদ্দ দেওয়া হবে। তাই শর্টকোড বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম থেকে সরে আসতে হচ্ছে।’ তিনি জানান, যে হারে আবেদন আসছে, তাতে করে এটাও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। সে কারণে ভবিষ্যতের ভাবনা ভেবেই এ ধরনের শর্ত দেওয়া হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

চাইলেই শর্টকোড নম্বর পাওয়া যাবে না, কিন্তু কেন?

আপডেট সময় ০৪:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

পাঁচ ডিজিটের টেলিফোন নম্বর শর্টকোড হিসেবে পরিচিত। প্রচলিত টেলিফোন নম্বরের পরিবর্তে কম ডিজিট-সম্পন্ন হওয়ায় শর্টকোডের ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের প্রয়োজনে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে আবেদন করে এই নম্বর পেয়ে থাকে। এখন এই প্রক্রিয়ায় লাগাম টানতে যাচ্ছে বিটিআরসি।

এখন চাইলেই আর শর্টকোড পাওয়া যাবে না। আবেদন প্রাপ্তির মধ্যে অধিকতর যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে শর্টকোড বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কিছু শর্তারোপ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিটিআরসি মনে করে, বর্তমানে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন খাতে লক্ষাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে শর্টকোড বরাদ্দ করা সম্ভব নয়, যৌক্তিকও নয়। শর্টকোড একটি সীমিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ। ফলে এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে আরও  শর্তারোপ করা জরুরি।

এই বিষয়টি কমিশনের ২৬৭তম বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস ও স্পেক্ট্রাম বিভাগ) মতামত নিয়ে কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে আরও যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে— শর্টকোডের মাধ্যমে আইভিআর-ভিত্তিক কল সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে চার্জিং সিস্টেম ও সেবা প্রদানের ব্যাপ্তি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সন্তোষজনক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শর্টকোড বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। শর্টকোড একটি সীমিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ, ফলে এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে একই মালিকানাধীন একাধিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শর্টকোড বরাদ্দ নিরুৎসাহিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে উপযুক্ততা যাচাই সাপেক্ষে একাধিক শর্টকোড বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা সীমিত রাষ্ট্রীয় একটি সম্পদ। ফলে সেটা মাথায় রেখেই বরাদ্দ দেওয়া হবে। তাই শর্টকোড বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম থেকে সরে আসতে হচ্ছে।’ তিনি জানান, যে হারে আবেদন আসছে, তাতে করে এটাও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। সে কারণে ভবিষ্যতের ভাবনা ভেবেই এ ধরনের শর্ত দেওয়া হচ্ছে।