ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীর সার্জেন্টের পরিবারের উপর হামলায় আহত-৫, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

লালমনিরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের জের ধরে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলামের মা ও ভাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুইজন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার তিস্তা শিক্ষারটারী নামক এলাকায়।

এ বিষয়ে সদর থানায় দুটি এজাহার দাখিল করা হলেও এখন পর্যন্ত আসামি ধরা তো দূরের কথা মামলার রেকর্ড করা হয়নি। থানায় অভিযোগ করা হলে সন্ত্রাসীরা অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।

সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মামলার বাদী মোঃ রশিদুল হক এজাহারে বলেছেন, আমার বসত বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে অনুমান ২০০ গজ দুরে নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি আমার মরহুম পিতার কবলা খরিদ জমি দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসতেছি। এমতাবস্থায় বিবাদী মোছাঃ আছমা বেগম ও তার স্বামী-মোঃ আনোয়ার হোসেন পিচ্ছি, মোহাম্মদ আবুল (৬৫) তার ভাই মোঃ আব্দুল (৫৫), মোঃ জাহেরুল (৪২) ও তার ভাই মোঃ মামুন (৩৩) মোঃ সোহাগ (২৪) মোঃ হায়দার (৫০) মোঃ রাজ্জাক (৪৫), পিতা-মোঃ আবুলসহ অজ্ঞাত উল্লেখিত বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজস করে আমার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত নিম্ন তফসিল জমির অংশ জবর দখল করার অপচেষ্টাসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। তখন আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া একাধিকবার উক্ত বিবাদীদের সাথে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করিলে, দস্যু প্রকৃতির বিবাদীগণ আপোষ মিমাংসা না মানিয়া বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। অতঃপর ২০/১২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৪:১৫ ঘটিকার সময় আমি ও আমার কাজের লোকজনসহ নিম্ন তফসিল জমিতে ঘর উঠাতে থাকি। ঐ সময় উল্লেখিত বিবাদীরা হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, ছোড়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর তুলতে বাধা প্রদান করে। এ সময় আমার ছোট ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (৪০), উক্ত বিবাদীদের এই অন্যায় কার্যকলাপে প্রতিবাদ করলে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড দ্বারা আমার ভাই রবিউল ইসলামকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা জখম করে। ওই সময় আমার মা রাশেদা বেওয়া (৬৫), ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে আমার ছোট ভাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা আমার মায়ের চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তখন আমার ভাই ও মায়ের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে আমার অসুস্থ্য মা ও রবিউল ইসলামকে রক্ষা করে পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এখন পর্যন্ত আহত দুইজন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার করেছেন।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলাম আরো বলেন, সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু আমার নিকটতম আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তিনি ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে ভিডিও ধারণ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ভূমি দস্যুরা। সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দুটি রেকর্ড ও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাবাহিনীর সার্জেন্টের পরিবারের উপর হামলায় আহত-৫, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

আপডেট সময় ১১:১৫:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের জের ধরে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলামের মা ও ভাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুইজন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার তিস্তা শিক্ষারটারী নামক এলাকায়।

এ বিষয়ে সদর থানায় দুটি এজাহার দাখিল করা হলেও এখন পর্যন্ত আসামি ধরা তো দূরের কথা মামলার রেকর্ড করা হয়নি। থানায় অভিযোগ করা হলে সন্ত্রাসীরা অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।

সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মামলার বাদী মোঃ রশিদুল হক এজাহারে বলেছেন, আমার বসত বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে অনুমান ২০০ গজ দুরে নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি আমার মরহুম পিতার কবলা খরিদ জমি দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসতেছি। এমতাবস্থায় বিবাদী মোছাঃ আছমা বেগম ও তার স্বামী-মোঃ আনোয়ার হোসেন পিচ্ছি, মোহাম্মদ আবুল (৬৫) তার ভাই মোঃ আব্দুল (৫৫), মোঃ জাহেরুল (৪২) ও তার ভাই মোঃ মামুন (৩৩) মোঃ সোহাগ (২৪) মোঃ হায়দার (৫০) মোঃ রাজ্জাক (৪৫), পিতা-মোঃ আবুলসহ অজ্ঞাত উল্লেখিত বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজস করে আমার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত নিম্ন তফসিল জমির অংশ জবর দখল করার অপচেষ্টাসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। তখন আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া একাধিকবার উক্ত বিবাদীদের সাথে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করিলে, দস্যু প্রকৃতির বিবাদীগণ আপোষ মিমাংসা না মানিয়া বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। অতঃপর ২০/১২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৪:১৫ ঘটিকার সময় আমি ও আমার কাজের লোকজনসহ নিম্ন তফসিল জমিতে ঘর উঠাতে থাকি। ঐ সময় উল্লেখিত বিবাদীরা হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, ছোড়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর তুলতে বাধা প্রদান করে। এ সময় আমার ছোট ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (৪০), উক্ত বিবাদীদের এই অন্যায় কার্যকলাপে প্রতিবাদ করলে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড দ্বারা আমার ভাই রবিউল ইসলামকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা জখম করে। ওই সময় আমার মা রাশেদা বেওয়া (৬৫), ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে আমার ছোট ভাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা আমার মায়ের চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তখন আমার ভাই ও মায়ের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে আমার অসুস্থ্য মা ও রবিউল ইসলামকে রক্ষা করে পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এখন পর্যন্ত আহত দুইজন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার করেছেন।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলাম আরো বলেন, সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু আমার নিকটতম আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তিনি ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে ভিডিও ধারণ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ভূমি দস্যুরা। সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দুটি রেকর্ড ও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।