ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা।

যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া বিপদে পড়বে ইউরোপ: ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

পূর্ব ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো যথেষ্ঠ শক্তি ইউরোপের নেই। এ কারণে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে লয়ি ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী। সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপ্রার্থী দেশের এ নেত্রী বলেছেন, ইউরোপকে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।

‘আপনাদের সঙ্গে নির্মম সৎ হয়ে বলছি, ইউরোপ এ মুহূর্তে যথেষ্ঠ শক্তিশালী নয়। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া আমরা হয়ত বিপদে পড়ব।’

রাশিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।

ইউক্রেনকে সহায়তা করায় ইউরোপিয়ান দেশগুলোর অস্ত্রের মজুদ অনেকাংশে কমেছে। ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউরোপের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে আরও কাজ করতে হবে।

লয়ি ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনা মারিন আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অনেক অস্ত্র দিয়েছে। অনেক আর্থিক সহায়তা দিয়েছে,  অনেক মানবিক সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু (এরকম সহায়তা দিতে) ইউরোপ এখন পর্যন্ত যথেষ্ঠ শক্তিশালী হয়নি।’

তিনি আরও বলেছেন, এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে ইউরোপকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সেই সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ন্যাটোভুক্ত ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সমালোচনা করতেন তিনি। তার দাবি ছিল, ইউরোপ সামরিক খাতে পর্যাপ্ত খরচ করে না। ২০২০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র তাদের মোট জিডিপির ৩.৭ ভাগ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে। যেখানে ইউরোপের দেশগুলো ব্যয় করেছিল ১.৭৭ ভাগ।

এছাড়া ইউরোাপের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, জ্বালানির জন্য ইউরোপের কিছু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি

যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া বিপদে পড়বে ইউরোপ: ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

পূর্ব ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো যথেষ্ঠ শক্তি ইউরোপের নেই। এ কারণে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে লয়ি ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী। সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপ্রার্থী দেশের এ নেত্রী বলেছেন, ইউরোপকে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।

‘আপনাদের সঙ্গে নির্মম সৎ হয়ে বলছি, ইউরোপ এ মুহূর্তে যথেষ্ঠ শক্তিশালী নয়। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া আমরা হয়ত বিপদে পড়ব।’

রাশিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।

ইউক্রেনকে সহায়তা করায় ইউরোপিয়ান দেশগুলোর অস্ত্রের মজুদ অনেকাংশে কমেছে। ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউরোপের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে আরও কাজ করতে হবে।

লয়ি ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনা মারিন আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অনেক অস্ত্র দিয়েছে। অনেক আর্থিক সহায়তা দিয়েছে,  অনেক মানবিক সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু (এরকম সহায়তা দিতে) ইউরোপ এখন পর্যন্ত যথেষ্ঠ শক্তিশালী হয়নি।’

তিনি আরও বলেছেন, এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে ইউরোপকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সেই সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ন্যাটোভুক্ত ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সমালোচনা করতেন তিনি। তার দাবি ছিল, ইউরোপ সামরিক খাতে পর্যাপ্ত খরচ করে না। ২০২০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র তাদের মোট জিডিপির ৩.৭ ভাগ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে। যেখানে ইউরোপের দেশগুলো ব্যয় করেছিল ১.৭৭ ভাগ।

এছাড়া ইউরোাপের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, জ্বালানির জন্য ইউরোপের কিছু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।