শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের বৃন্দাবন পূর্বপাড়া এলাকায় খাজার নিজ শয়নকক্ষ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, গতকাল শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকােলে নিহত জামালের স্ত্রী ও ছেলে রিমন গোকুল এলাকায় জামালের শশুর বাড়িতে একটি ওরস মাহফিলে বেড়াতে যায়।
এরপর জামাল সন্ধ্যার পরপর বাসায় এসে শুয়ে পড়ে। আজ সকাল সোয়া ৮ টার দিকে নিহতের ছেলে রিমন নানী বাড়ী থেকে বাসায় এসে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলে ভেতর থেকে জামালের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ীর পেছনের প্রাচীর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখে সে কম্বল গায়ে শুয়ে আছে এবং কম্বল সড়িয়ে দেখে মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও রক্তাক্ত ।
তার মাথার ডান পাশে আঘাত করে তাকে কেউ পাথর দ্বারা আঘাত করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত খাজা ওই এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ফুয়াং ফুডসের পণ্য পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি নূরে আলম। ওসি নূরে আলম জানান, তদন্তের স্বার্থে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন। সিরাজগঞ্জ সিআইডি ক্রাইম সিন টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসার পর মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।