ফুটবল ম্যাচে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া থাকে ৯০ মিনিট। তবে বিভিন্ন কারণে নষ্ট হওয়া সময়ের জন্য রেফারি কিছুটা অতিরিক্ত সময় বা ইনজুরি টাইম যোগ করে থাকেন। যদিও সেই অতিরিক্ত সময়টা কখনো ৫-৭ মিনিটের বেশি দেখা যায় না। তবে এবারের বিশ্বকাপে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা। ইনজুরি টাইমের দৈর্ঘ্য কখনো সখনো পেরিয়ে যাচ্ছে ২০-২৫ মিনিটও। তাই প্রশ্ন উঠছে, কেন এবারের বিশ্বকাপে এত বড় হচ্ছে ইনজুরি টাইম?
বিশ্বকাপে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি) এর সংযুক্তি ছিল আগের আসর থেকেই। রেফারি মাঠের সাইডলাইনে যান, সেখানে রিপ্লে দেখেন ও ভিএআরের সিদ্ধান্ত জানতে পারেন। সবমিলিয়ে ৩-৫ মিনিট সময় তখন খরচ হচ্ছে পুরো প্রক্রিয়ায়। এখানেই শেষ নয়। খেলোয়াড়রা থ্রো ইন, গোল কিক নিতে সময় নেন, সময় নষ্ট হয় গোলের পর উদযাপনের সময়ও। সেই সব সময়ই এখন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইনজুরি সময়ের মোড়কে।
ফলে এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে দীর্ঘ অতিরিক্ত সময়েরও দেখা মিলছে। গতকাল তাই আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচে দেখা গেছে অতিরিক্ত ১৩ মিনিট। এছাড়া পরবর্তী ৩ ম্যাচেও দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত সময়। এর আগে দ্বিতীয় দিনের তিনটি ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৯ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছিল। সেখানের একটি ম্যাচে ইরান খেলোয়াড় বাইরান্দভান্দকে মাঠ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় প্রায় ১৫ মিনিট নষ্ট হয়, তাই প্রথমার্ধ শেষে যুক্ত হয় অতিরিক্ত ১৪ মিনিট। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দীর্ঘতম প্রথমার্ধের রেকর্ড এটি।
এছাড়াও সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত আট মিনিট যোগ করা হয়। এই সময় নেদারল্যান্ডস দ্বিতীয় গোলটি করে। আরেক ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলসের ম্যাচটি চলে অতিরিক্ত ৯ মিনিট চলে।
ফিফার রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইজি কলিনা অতিরিক্ত সময় নিয়ে ইএসপিএনকে বলেন, ‘আমরা সবাইকে আগেই বলেছি, ম্যাচের অতিরিক্ত সময় দেখে যেন কেউ অবাক না হয়। ইলেকট্রনিক বোর্ডে ছয়, সাত বা আট মিনিট বা এর থেকেইও বেশি সময় দেখা যেতে পারে। আপনি যদি আরও সময় চান, আমরা সেটাও দিতে আমরা প্রস্তুত।’