ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা সাভারে রিমান্ড শেষে আসামিকে বিলাসবহুল গাড়িতে আদালতে প্রেরণ -ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ঢাকা আশুলিয়ায় শ্রমিক নেতাদের উপর হামলা আটক ৩  পটুয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জ ঘিওরে জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো রিপোর্টার মাসুমার ইন্তেকাল সালথা থানার ভাবুক দিয়াতে আটক এক ডাকাত জামালপুরে বিভিন্ন জনদাবিতে জেলা বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত কুয়েটে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিল  হরিপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারদের সহায়তায় ইউএনও গোলাপগঞ্জে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে গ্রেফতার ৩

স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা ৪ লাখ মানুষের জন্য ১ জন চিকিৎসক

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের পদ ১৭টি। এর মধ্যে আছেন মাত্র ৪জন। তাদের মধ্যে ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দ্বায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রশাসনিক কাজে রয়েছেন। বাকি তিন মেডিকেল অফিসার ২৪ঘন্টার তিন শিফটে একজন করে নিয়োজিত। সে হিসেবে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা। নার্সসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংকটও। পাশাপাশি রেডিওলজিস্ট ও টেকনোলজিসের অভাবে এক্স-রে, ইসিজি, সিজার সরঞ্জামসহ অচল হয়ে পরে আছে লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি শুধু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন নানান সংকট ও সমস্যার মধ্যে দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় ৯ বছর হল উন্নীত করার কিন্তু এই ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি আজ পর্যন্ত। ফলে ডাক্তার, নার্স ও শয্যার অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না নাগেশ্বরীবাসী ও আশেপাশের স্থানীয় জনগণ।সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ৪ লাখ ২ হাজার ১০১ জন বসতির গরীব, অসহায়, দিনমজুর ও সাধারণ মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে চারতলা ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কাগজে কলমে শয্যা বাড়ালেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দেওয়া হয়নি চাহিদামতো জনবল। হাসপাতালে চিকিৎসকের ১৭টি পদের ১৪টি পদই খালি রয়েছে। যে চারজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন তাদের মধ্যে আছে প্রতিদিনের তিন সিফটিং ডিউটি ভাগ। এর মধ্যে আবার রয়েছে আবাসিক ও অনাবাসিক চিকিৎসাসেবা! সব মিলিয়ে হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার (আবাসিক), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি),
কনসালটেন্ট গাইনী, অর্থোপেডিক্স, পিডিয়াট্রিক্স, নাক কান গলা (ইএনটি), কার্ডিওলজি, অপথালমোলজি, স্কিন অ্যান্ড ভিডি, অ্যানেসথেটিস্ট, ইনডোর মেডিকেল অফিসার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, সহকারী সার্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে চিকিৎসক শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া সংকট রয়েছে নার্সসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরও।হাসপাতালটিতে সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, মেডিকেল টেকনোলজিস, স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের মতো পদও খালি রয়েছে। এ ছাড়া খালি রয়েছে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, স্টোর কিপার, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মালির পদও। সরেজমিন দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন লোকবল দিয়ে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে দ্বায়সাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে। চরম সংকট নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্যরা। রোগীর চাপ সামলাতে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী সংযুক্তি করণ করে জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। মেডিকেল টেকনোলজিস সংকটে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি কমপ্লেক্সটিতে অচল হয়ে পরে আছে। রোগ নির্ণয়ে করা যাচ্ছে না পরিক্ষা-নিরীক্ষা। এ পরিস্থিতিতে মুমূর্ষু রোগীদের রেফার করছে কতৃপক্ষ।
এত সব সংকটের দায়ও নিচ্ছে না হাসপাতাল কতৃপক্ষ। সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও দৃশ্যমান হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। এতে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা। সামর্থ্যবানরা ছুটছেন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আর অর্থাভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন মৌলিক অধিকার চিকিৎসাসেবা থেকে।
জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন ৪৫০-৫০০ রোগী আসতেন সেবা নিতে। জরুরী বিভাগে আসেন শতাধিক। আর শয্যা ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে ভর্তি ছিলেন প্রায় অর্ধশতক। বর্তমানে সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালে সেবার বিপর্যয় ঘটছে। লোকবল না থাকার কারণে কমপ্লেক্সে অপরিচ্ছন্নতা, ওয়ার্ডে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমসহ নানা সমস্যা দেখা গেছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তেলের অভাবে জেনারেটরও চলে না বলে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, সকালবেলা কোমরের বিষ নিয়্যা নাতিক ডাক্তার দ্যাকপার আসছি। এ্যালা শুনি ডাক্তার নাই। নিজের বিষের জন্যে ঔষুধ চাইলোং কয় ওষুধও নাই, শ্যাষ হয়া গেইছে।
চিকিৎসা নিতে আসা সফি মিয়া জানান, জরুরী বিভাগ থেকে ডাক্তার কয়কটি টেস্ট দিয়েছেন। এখানে দুয়েকটি ছাড়া সব টেস্ট বাইরে থেকে করিয়ে আনতে হচ্ছে। আমার তো অতো টাকা-পয়সা নেই। কিভাবে করাবো!
এসবসহ হাসপাতালে ঔষধের টেন্ডার না করার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মন্জুর এ মুর্শেদ বলেন, এ সংকট সমাধানে সময় লাগবে। অনেক নিয়োগের বিষয় আছে। আর ঔষধের টেন্ডার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এলেই করা হবে। জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা সাভারে রিমান্ড শেষে আসামিকে বিলাসবহুল গাড়িতে আদালতে প্রেরণ -ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা ৪ লাখ মানুষের জন্য ১ জন চিকিৎসক

আপডেট সময় ০৩:৩৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের পদ ১৭টি। এর মধ্যে আছেন মাত্র ৪জন। তাদের মধ্যে ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দ্বায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রশাসনিক কাজে রয়েছেন। বাকি তিন মেডিকেল অফিসার ২৪ঘন্টার তিন শিফটে একজন করে নিয়োজিত। সে হিসেবে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা। নার্সসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংকটও। পাশাপাশি রেডিওলজিস্ট ও টেকনোলজিসের অভাবে এক্স-রে, ইসিজি, সিজার সরঞ্জামসহ অচল হয়ে পরে আছে লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি শুধু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন নানান সংকট ও সমস্যার মধ্যে দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় ৯ বছর হল উন্নীত করার কিন্তু এই ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি আজ পর্যন্ত। ফলে ডাক্তার, নার্স ও শয্যার অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না নাগেশ্বরীবাসী ও আশেপাশের স্থানীয় জনগণ।সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ৪ লাখ ২ হাজার ১০১ জন বসতির গরীব, অসহায়, দিনমজুর ও সাধারণ মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে চারতলা ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কাগজে কলমে শয্যা বাড়ালেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দেওয়া হয়নি চাহিদামতো জনবল। হাসপাতালে চিকিৎসকের ১৭টি পদের ১৪টি পদই খালি রয়েছে। যে চারজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন তাদের মধ্যে আছে প্রতিদিনের তিন সিফটিং ডিউটি ভাগ। এর মধ্যে আবার রয়েছে আবাসিক ও অনাবাসিক চিকিৎসাসেবা! সব মিলিয়ে হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার (আবাসিক), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি),
কনসালটেন্ট গাইনী, অর্থোপেডিক্স, পিডিয়াট্রিক্স, নাক কান গলা (ইএনটি), কার্ডিওলজি, অপথালমোলজি, স্কিন অ্যান্ড ভিডি, অ্যানেসথেটিস্ট, ইনডোর মেডিকেল অফিসার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, সহকারী সার্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে চিকিৎসক শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া সংকট রয়েছে নার্সসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরও।হাসপাতালটিতে সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, মেডিকেল টেকনোলজিস, স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের মতো পদও খালি রয়েছে। এ ছাড়া খালি রয়েছে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, স্টোর কিপার, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মালির পদও। সরেজমিন দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন লোকবল দিয়ে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে দ্বায়সাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে। চরম সংকট নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্যরা। রোগীর চাপ সামলাতে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী সংযুক্তি করণ করে জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। মেডিকেল টেকনোলজিস সংকটে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি কমপ্লেক্সটিতে অচল হয়ে পরে আছে। রোগ নির্ণয়ে করা যাচ্ছে না পরিক্ষা-নিরীক্ষা। এ পরিস্থিতিতে মুমূর্ষু রোগীদের রেফার করছে কতৃপক্ষ।
এত সব সংকটের দায়ও নিচ্ছে না হাসপাতাল কতৃপক্ষ। সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও দৃশ্যমান হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। এতে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা। সামর্থ্যবানরা ছুটছেন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আর অর্থাভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন মৌলিক অধিকার চিকিৎসাসেবা থেকে।
জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন ৪৫০-৫০০ রোগী আসতেন সেবা নিতে। জরুরী বিভাগে আসেন শতাধিক। আর শয্যা ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে ভর্তি ছিলেন প্রায় অর্ধশতক। বর্তমানে সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালে সেবার বিপর্যয় ঘটছে। লোকবল না থাকার কারণে কমপ্লেক্সে অপরিচ্ছন্নতা, ওয়ার্ডে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমসহ নানা সমস্যা দেখা গেছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তেলের অভাবে জেনারেটরও চলে না বলে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, সকালবেলা কোমরের বিষ নিয়্যা নাতিক ডাক্তার দ্যাকপার আসছি। এ্যালা শুনি ডাক্তার নাই। নিজের বিষের জন্যে ঔষুধ চাইলোং কয় ওষুধও নাই, শ্যাষ হয়া গেইছে।
চিকিৎসা নিতে আসা সফি মিয়া জানান, জরুরী বিভাগ থেকে ডাক্তার কয়কটি টেস্ট দিয়েছেন। এখানে দুয়েকটি ছাড়া সব টেস্ট বাইরে থেকে করিয়ে আনতে হচ্ছে। আমার তো অতো টাকা-পয়সা নেই। কিভাবে করাবো!
এসবসহ হাসপাতালে ঔষধের টেন্ডার না করার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মন্জুর এ মুর্শেদ বলেন, এ সংকট সমাধানে সময় লাগবে। অনেক নিয়োগের বিষয় আছে। আর ঔষধের টেন্ডার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এলেই করা হবে। জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।