পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা খাদ্যগুদাম সংস্কার কাজে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
জানাগেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় সরকারি খাদ্যগুদাম ৩ টি ভবন সংস্কার, বালু ভরাট ও সীমানার মধ্যের রাস্তা সংস্কার বাবৎ ১ কোটি, ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। স্থানীয় সংশ্লিষ্টরা এ সংস্কার কাজের সিডিউল তৈরী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করলে কর্তৃপক্ষ এ বরাদ্দের অনুমোদন দেন। এবং কার্যাদেশ পান মেসার্স তাহা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী মো. হাবিবুর রহমান। গত ৩ সপ্তাহ ধরে সংস্কার কার্য্ক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধ্বসে যাওয়া দেয়াল ও সিলিং প্লাস্তার সম্পূর্ণ না উঠিয়ে খন্ড-খন্ড স্থানে প্লাস্তার করেছেন। যাতে সিমেন্ট নাম মাত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে এতেই রং করে নতুন সংস্কার দেখানো হবে। মেঝেতে দায়সাড়া মেগাডম করছেন।
এ ব্যাপারে খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আহসান বলেন, আমরাই চাহিদা তৈরী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করলে কর্তৃপক্ষ এ বরাদ্দের অনুমোদন দেন। বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে। কাজে অসংগতি দেখা গেলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের সাথে ক্ষিপ্তস্বরে বলেন, আবাসিক এলাকায় কার অনুমোতি নিয়ে প্রবেশ করেছেন ? স্থানীয়রা মনে করেন কর্মকর্তার এমন আচারনে ঠিকাদারের সাথে তার যোগসাজস রয়েছে।
মেসার্স তাহা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী মো. হাবিবুর রহমান কোন বক্তব্য না দিয়ে, সময় নিয়ে স্থানীয় পারভেজ ফরাজী নামে এক কিশোরকে (০১৭৭৩১৮০৩৩০) দিয়ে সাংবাদিক প্রতিনিধিকে ফোন দেন। ওই কিশোর সাংবাদিক প্রতিনিধিকে বলে, ঠিকাদারের সাথে আপনাদের কি? থানায় নিয়ে আপনাদের ঝুলিয়ে পেটাবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, সংস্কার কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল বিভাগীয় প্রকৌশলী (খাদ্য অধিদপ্তর) মো. আনিসুর রহমান ১ কোটি, ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাজে অনিয়ম করার কথা নয়। কাজে যদি অনিয়ম করে থাকে. তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।