অতিরিক্ত সময় বাদ দিলে ফুটবল ম্যাচের জন্য নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিট। ইনজুরি এবং খেলোয়াড় পরিবর্তনের কারণে যে সময়টা দেওয়া হয় দুই অর্ধ মিলিয়ে, সেটাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দশ মিনিটের বেশি হয় না। তাই যেকোনো টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো ১০০ মিনিটের বেশি গড়াতে দেখা যায় না খুব একটা। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-ইরানের ম্যাচটা যেন সেসব পরিসংখ্যানকে পাত্তাই দেয়নি।
সোমবার রাতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-ইরান। আল খলিফা স্টেডিয়ামের ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে ইংলিশরা। ম্যাচের ফলাফল অনেকটা অনুমিতই ছিল কিন্তু সময়ের পরিধিটা অবাক করেছে সবাইকে। এক পর্যায়ে অনেকটা অধৈর্যও হয়ে গিয়েছিলেন মাঠে উপস্থিত থাকা অনেক দর্শক। কারণ ৯০ মিনিটের ম্যাচটা যে গড়িয়েছে পাক্কা ১১৭ মিনিট, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের চেয়েও ২৭ মিনিট বেশি।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে ২৭ মিনিট বেশি খেলা হওয়ার পেছেন অবশ্য কারণও ছিল বেশকিছু। ম্যাচের অষ্টম মিনিটের মাথায় গোলমুখে একটা ক্রস ঠেকাতে গিয়ে ডিফেন্ডার হোসাইনির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পান ইরানের গোলরক্ষক আলী রেজা। গুরুতর সে আঘাতের পর মাঠেই তার চিকিৎসা চলে বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু রেজাকে মাঠে ফেরানোর জন্য সে চিকিৎসাও পর্যাপ্ত ছিল না, শেষমেষ মাঠ ছাড়তেই হয় তাকে। বদলি হিসেবে পরে মাঠে নামেন হোসেইন হোসেইনি। এ প্রক্রিয়ায় সময় নষ্ট হয় প্রায় ১৫ মিনিটের মতো। তাই প্রথমার্ধ শেষে যুক্ত হয় অতিরিলত ১৪ মিনিট।
দ্বিতীয়ার্ধেও বিরতি এসেছে খেলায়। ৭০তম মিনিটে চোট পান ইংলিশ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার শুশ্রূষার জন্যও মাঠের খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ। এছাড়া নিয়মিত পানিপানের বিরতির কারণেও এ অর্ধে অতিরিক্ত সময় লেগেছে। তাই রেফারিকে ১৩ মিনিটের অতিরিক্ত সময় দিতে হয়েছে এ অর্ধেও।
দীর্ঘতম এ ম্যাচ গড়েছে বেশকিছু রেকর্ড। প্রথমার্ধ শেষে যুক্ত হওয়া ১৪ মিনিট বিশ্বকাপের ইতিহাসে দীর্ঘতম প্রথমার্ধের রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হিসেবে এটিই এখন বিশ্বকাপের দীর্ঘতম ম্যাচ। বড় জয়ে দীর্ঘ এ ম্যাচ রাঙিয়েছেন হ্যারি কেন- বুকায়ো সাকারা।