৬৪ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়েলস। তবে শুরুটা একটুও আশানুরূপ হলো না ইউরোপীয় দলটির। ৮১ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফেরার আশা যখন একদমই তলানির দিকে, তখনই ত্রাণকর্তা হিসেবে গ্যারেথ বেলের আবির্ভাব। স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফিরিয়ে প্রত্যাবর্তনটা মলিন হতে দিলেন না সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
আল রায়ান স্টেদিয়ামে সোমবার রাতের ম্যাচটা অবশ্য জিততে পারেনি ওয়েলস। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বেলদের লড়াইটা শেষ হয়েছে ১-১ গোলের ড্রয়ে। তবে প্রথমার্ধের খেলা চলাকালে একটা সময় মনে হচ্ছিল বড় ব্যবধানে হারতে পারে ওয়েলস। সেই ব্যবধানটাই যে আমেরিকানদের গড়তে দেননি বেল।
কয়েক প্রজন্ম পরে বিশ্বকাপের মঞ্চে মাঠে নামার পর প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাত্তাই পায়নি ওয়েলস। বল দখলয়ের লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ৩৬তম মিনিটে লিড পেয়ে যায় ওয়েহের গোলে। আমেরিকানরা সুযোগ না হারালে ব্যবধানটা হয়তো আরও বাড়তে পারতো। এদিকে, ওয়েলস তো প্রথমার্ধে তেমন কোনো আক্রমণই করতে পারেনি। হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে রব পেজের শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে মাঠে নামে ওয়েলস। খুব একটা নিখুঁত আক্রমণ না করতে পারলেও এ অর্ধের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে বেশ চাপে রেখেছে বেলরা। ফলাফলও মিলেছে তার। ৮২ তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বেলকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়ে যায় ওয়েলস। স্পটকিক থেকে ম্যাচে সমতা ফেরাতে ভুল করেননি বেল। এ গোলে বড় মঞ্চে ওয়েলসের ত্রাণকর্তার পদটা আরও একটু পাকাপোক্ত করলেন ৩৩ বছর বয়সী এ তারকা।
ওয়েলসকে এবারের বিশ্বকাপে তোলার অন্যতম নায়কও ছিলেন বেল। বাছাইয়ের প্লে-অফে দুই ম্যাচে তিন গোল করে দলকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপের টিকিট। বিশ্বকাপের এই গোলে জাতীয় দলের হয়ে তার গোলের সখ্যাটা দাঁড়াল ৪১এ। এই ৪১ গোলের মধ্যে ৩৫টিই তিনি করেছেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে।