বিশ্বকাপ অভিষেকে আলো কাড়ার ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। বড় মঞ্চের অনভিজ্ঞতা আর বিশ্বকাপের চাপ- এই দুই মিলে নতুনদের জন্য বিষয়টিকে করে তোলে বেশ কঠিন। তবে এসব কোনোকিছুকেই পাত্তা দিলেন না ইংলিশ ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকা। বিশ্বকাপ অভিষেকেই জোড়া গোল করে ইরানকে গোলবন্যায় ভাসানোয় বিরাট অবদান রাখলেন ২১ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
মাঠের ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়টা তেমন ভালো কাটছিল না ইংল্যান্ডের। কিন্তু বিশ্বকাপের শুরুতেই সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলল হ্যারি কেনের দল। কাতারের আল খলিফা স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
ইরানের চেয়ে লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের প্রথম গোল পেতে সময় লেগেছে ৩৫ মিনিট। লুক শর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হন জুড বিলিংহ্যাম। ম্যাচের নায়কের আগমনটা হয়েছে তারও ৮ মিনিট পর। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষের মাত্র ২ মিনিট আগে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইরানের জালে বল জড়ান সাকা।
৪৩ তম মিনিটে সাকার প্রথম গোলটি এসেছে হ্যারি ম্যাগুয়েরের পাসে। আর ৬২তম মিনিটে স্টার্লিংয়ের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড। এবারের গোলে দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছেন সাকা। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়ান তরুণ এ ফরোয়ার্ড।
নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এর আগে মাত্র ৪টি গোল ছিল সাকার। আর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে সেই সাকাই করলেন জোড়া গোল। আর তাতে সমালোচনার জবাবটাও দেওয়া হল ঠিকঠাকভাবেই। কারণ ২০২০ সালে ইউরোর ফাইনালে টাইব্রেকার মিস করে দেশের মানুষের কাছে একরকম খলনায়কই যে হয়ে উঠেছিলেন সাকা।
দল ও নিজের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সাকা ম্যাচশেষে বলেন, ‘এই অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। অসাধারণ। আমি খুব খুশি, অনেক গর্বিত, জয়ও পেয়েছি আমরা। আমাদের ভালো শুরুর প্রয়োজন ছিল। টুর্নামেন্টে আসার আগে আমরা সেরাটা খেলতে পারিনি। এখানে আমরা সবাইকে দেখিয়েছি, আমাদের মান কী এবং আমরা কী করতে পারি।’