ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজউক কর্মচারী কামরুলের দু’দপ্তরে হাজিরা সহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ । তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে শেরপুরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন প্রেসক্লাব মিঠাপুকুরের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুর রহমান সাহেব মিয়ার শোক স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত এবার রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের ৭ দাবি কুমিল্লায় ১৬-তম মিডিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ৬দলের জার্সি উন্মোচন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা ভারত-বিরোধিতার অভিযোগ নিয়ে আনন্দবাজারকে যা বললেন জামায়াত আমির ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ গ্রেফতার পটুয়াখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন পশ্চিমা আদর্শ-সংস্কৃতির বিষয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন বায়তুল মোকাররমের খতিব

অদ্ভুত এক নিমন্ত্রণপত্র! চবিতে তোলপাড়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইঞ্জিনিয়ার অফিসের এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির ভাতিজা দেশে এসেছেন ফ্রান্স থেকে। এ উপলক্ষে চলছে ধুমধাম আয়োজন। ইঞ্জিনিয়ার অফিসের সবাইকে দাওয়াত দিতে চান তিনি।

তবে জনে জনে দাওয়াত দেওয়াটা বেশ সময়সাপেক্ষ। ঝামেলারও বটে। তাই শর্টকাট উপায় অনুসরণ করেছেন তিনি। আর তাতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

ব্যক্তিগত এ নিমন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার অফিসের অফিসিয়াল প্যাড। প্যাডে যিনি স্বাক্ষর করেছেন, সেই শ্যামল কান্তি বড়ুয়াও ব্যবহার করেছেন তার অফিসিয়াল পদবি। যা হাস্যকর ও অনৈতিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওই পত্রে লেখা হয়, প্রকৌশল দপ্তরে কর্মরত প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১১/১১/২০২৪ তারিখ রোজ সোমবার দুপুর বেলায় অত্র অফিসের কর্মরত বিদ্যুৎ মিস্ত্রী রনজিত বড়ুয়ার ভাতিজা ফ্রান্স থেকে আগমন উপলক্ষ্যে তার নিজ বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সকলকে নিমন্ত্রণ করেছেন। উক্ত নিমন্ত্রণে সকলকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

পত্রের নিচে ডেপুটি রেজিস্ট্রার শ্যামল কান্তি বড়ুয়া গত ৭ নভেম্বর স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া ওপরে বামে ‘প্রধান প্রকৌশলী’ লেখা, মাঝে চবির লোগো ও ডানে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ’ লেখা রয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার অফিসের একটি সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত দাওয়াতের কাজে অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করা হাস্যকর। আবার এতে স্বাক্ষর করেছেন এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার। ডেপুটি রেজিস্ট্রারেরও বোঝা উচিত তিনি কোথায় স্বাক্ষর করবেন আর কোথায় করবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোল্যা খালেদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, রনজিত আমাদের অফিসে চাকরি করে, অফিসের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। যারা যেতে পারে যাবে অথবা অলটারনেট করে গিয়ে খেয়ে আসবে। এটা অফিসের বাইরে কোথাও দিইনি আমরা। প্যাডে স্বাক্ষর করা ডেপুটি রেজিস্ট্রার শ্যামল কান্তি বড়ুয়াকে কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমি এধরনের কোনো চিঠি এখনও দেখিনি। যদি অফিসিয়াল ডেজিগনেশন ও প্যাড ব্যবহার করে থাকে তাহলে সেটা অনৈতিক ও আপত্তিকর। আমি বিষয়টা দেখবো।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজউক কর্মচারী কামরুলের দু’দপ্তরে হাজিরা সহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ।

অদ্ভুত এক নিমন্ত্রণপত্র! চবিতে তোলপাড়

আপডেট সময় ০৪:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইঞ্জিনিয়ার অফিসের এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির ভাতিজা দেশে এসেছেন ফ্রান্স থেকে। এ উপলক্ষে চলছে ধুমধাম আয়োজন। ইঞ্জিনিয়ার অফিসের সবাইকে দাওয়াত দিতে চান তিনি।

তবে জনে জনে দাওয়াত দেওয়াটা বেশ সময়সাপেক্ষ। ঝামেলারও বটে। তাই শর্টকাট উপায় অনুসরণ করেছেন তিনি। আর তাতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

ব্যক্তিগত এ নিমন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার অফিসের অফিসিয়াল প্যাড। প্যাডে যিনি স্বাক্ষর করেছেন, সেই শ্যামল কান্তি বড়ুয়াও ব্যবহার করেছেন তার অফিসিয়াল পদবি। যা হাস্যকর ও অনৈতিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওই পত্রে লেখা হয়, প্রকৌশল দপ্তরে কর্মরত প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১১/১১/২০২৪ তারিখ রোজ সোমবার দুপুর বেলায় অত্র অফিসের কর্মরত বিদ্যুৎ মিস্ত্রী রনজিত বড়ুয়ার ভাতিজা ফ্রান্স থেকে আগমন উপলক্ষ্যে তার নিজ বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সকলকে নিমন্ত্রণ করেছেন। উক্ত নিমন্ত্রণে সকলকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

পত্রের নিচে ডেপুটি রেজিস্ট্রার শ্যামল কান্তি বড়ুয়া গত ৭ নভেম্বর স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া ওপরে বামে ‘প্রধান প্রকৌশলী’ লেখা, মাঝে চবির লোগো ও ডানে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ’ লেখা রয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার অফিসের একটি সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত দাওয়াতের কাজে অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করা হাস্যকর। আবার এতে স্বাক্ষর করেছেন এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার। ডেপুটি রেজিস্ট্রারেরও বোঝা উচিত তিনি কোথায় স্বাক্ষর করবেন আর কোথায় করবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোল্যা খালেদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, রনজিত আমাদের অফিসে চাকরি করে, অফিসের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। যারা যেতে পারে যাবে অথবা অলটারনেট করে গিয়ে খেয়ে আসবে। এটা অফিসের বাইরে কোথাও দিইনি আমরা। প্যাডে স্বাক্ষর করা ডেপুটি রেজিস্ট্রার শ্যামল কান্তি বড়ুয়াকে কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমি এধরনের কোনো চিঠি এখনও দেখিনি। যদি অফিসিয়াল ডেজিগনেশন ও প্যাড ব্যবহার করে থাকে তাহলে সেটা অনৈতিক ও আপত্তিকর। আমি বিষয়টা দেখবো।