জীবন অনিশ্চিত, এই অনিশ্চয়তাটাই যেন জীবনের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। এই ধরুন আর্জেন্টাইন ফুটবলার তিয়াগো আলমাদার কথা। হোয়াকিন কোরেয়ার ইনজুরিতে কপাল জোরে সুযোগ পেয়ে গেলেন আলবিসেলেস্তেদের হয়ে বিশ্বকাপ দলে। যেখানে মিনিট দশেক আগেও জানতেন না বিশ্বকাপ দলে নিজের খেলার কথা, সেখান এখন তিনি অবস্থান করছেন আয়োজক দেশ কাতারে।
হোয়াকিন কোরেয়ার বদলি হিসেবে বিশ্বকাপে দলে যখন সুযোগ পান আলমাদা, তখন তিনি ছিলেন দাঁতের ডাক্তারের কাছে। বিশ্বকাপ শুরুর একদিন আগে গতকাল শনিবার কাতার পৌঁছে নিজের জীবনের সেই শ্রেষ্ঠতম অনুভূতির কথা জানান আলামাদা।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটি। একজন খেলোয়াড়ের বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াটা স্বপ্নের মতো। আমি যখন ডেন্টিস্টের কাছে ছিলাম ঠিক তখনই কোচ স্কালোনি আমাকে ফোন দিয়ে জানায়। আমি আনন্দে চিৎকার করছিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই আমি পরিবারকে ফোন দিয়ে খবরটি জানাই।’
এদিকে আর্জেন্টিনার আরেক ফুটবলার নিকো গঞ্জালেসের ইনজুরিতে বিশ্বকাপে সুযোগ পান আনহেল কোররেয়া। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই তারকা এক মনে খেয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই যখন জানতে পারেন নিজের বিশ্বকাপ দলে সুযোগের কথা। কোররেয়াও গতকাল কাতার পৌঁছে বিশ্বকাপে আচমকা সুযোগ পাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে খুব হতাশ হয়েছিলাম বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে। আমি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু যখন তারা আমাকে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার খবরটি জানালো আমি তখন খাচ্ছিলাম। রোজারিওতে তখন ঐ মুহূর্তটা ছিল অভাবনীয়।’