ক্লাব ফুটবলে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো বিশ্বের নামি তারকাদের একসঙ্গে দেখা মেলে কেবল বিশ্বকাপে। তবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-খ্যাত এ আয়োজনে প্রতিবছরই কোনো না কোনো তারকাকে মিস করতে হয় ভক্তদের। বিশ্বমঞ্চে খেলার জন্য নিজের জাতীয় দলের কোয়ালিফাই না করা কিংবা ইনজুরির কারণে ছিটকে যেতে হয় অনেক তারকাকে।
পর্দা উঠতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপও সেখান থেকে ব্যতিক্রম নয়। আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে), সাদিও মানে (সেনেগাল), মোহাম্মদ সালাহ-র (মিশর) মতো বিশ্বখ্যাত তারকা ফুটবলারদের নৈপুণ্য বঞ্চিত হবেন এবারের ফুটবলপ্রেমীরা।
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা, এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা হালান্ডের অনুপস্থিতি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তার দেশ নরওয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করেনি। যে কারণে তার স্বদেশি মার্টিন ওডেগার্ডও কাতারে থাকছেন না।
লিভারপুল তারকা এবং বর্তমানে বিশ্বে সেরা খেলোয়াড়দের একজন মোহাম্মদ সালাহ একই কারণে এবারের বিশ্বকাপে থাকছেন না।আফ্রিকায় গত এক দশকে এত সফল হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বকাপে যে দলগুলো খেলবে তার মধ্যে সালাহর মিশর নেই।
থাকছেন না সাদিও মানে। ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ব আসরের এ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে তাকে বাদ দিতে হয়েছে সেনেগাল দল থেকে।
পল পগবা, এন’গোলো কান্তে এবং প্রেসনেল কিম্পেম্বে-২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের এ খেলোয়াড়দের মিস করবে ফ্রান্স ও তাদের ভক্তরা।
রিয়াল মাদ্রিদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ও আছেন যারা বিশ্বকাপে নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। ডেভিড আলাবার অস্ট্রিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন না করায় তাকেও দেখা যাবে না বিশ্বকাপে।
ইতালি, কোয়ালিফাই না করায় বিশ্বকাপ জয়ী এ দলটিতে এবার পাচ্ছেন না ফুটবলপ্রেমীরা। যে কারণে মার্কো ভেরাতি, নিকোলো বারেলা, ফেদেরিকো চিয়েসার মতো বড় তারকাদের এবার থাকতে হচ্ছে মাঠের বাইরে।
কাতার বিশ্বকাপে কলম্বিয়া না থাকায় লুইস দিয়াজ, রাদামেল ফালকাও এবং জেমস রদ্রিগেজদেরও দেখা যাবে না।