ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নাবিল গ্রুপ: সরকারি জমি দখলে নিয়ে করেছে ডেইরী ফার্ম

ব্যাংক লুটের অন্যতম হোতা এস আলমের অন্যতম সহযোগী রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুল্যবান ২০ কাঠা জমি দখল করে ডেইরি ফার্ম স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাবিল গ্রুপ ২০২০ সালে নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার মাহিন্দ্রা এলাকায় নাবা ডেইরী অ্যান্ড ক্যাটল ফার্ম নামের একটি গবাদিপশু খামার গড়ে তোলেন।

অভিযোগে জানা গেছে, খামার স্থাপনের সময় নাবিল গ্রুপ মাহিন্দ্রা এলাকায় কিছু জমি ক্রয় করেন। সেই সঙ্গে সড়ক বিভাগের মুল্যবান ২০ কাঠা জমিও দখল করে নেন। এই দখল করা জমিতে ২০২২ সালে একতলা ভবন তৈরি করেন।

উল্লেখ্য, ইসলামি ব্যাংকের ঋণ কেলেংকারির অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নাবিল গ্রুপের এমডি আমিনুল ইসলাম স্বপন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আমিনুল ইসলাম স্বপনের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার ভেকতাপাড়া গ্রামে।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আমিনুল ইসলাম স্বপন ছাত্রজীবন থেকে ইসলামি ছাত্রশিবির ও পরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থাকলেও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে রাজশাহী ও আশেপাশের এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি শিল্প প্রসারের নামে নির্বিচারে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জোরপূর্বক জমি ক্রয় ও ক্ষেত্র বিশেষে দখল করেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ব্যবসায়ী সামুজ্জামান আওয়ালকে ব্যবসার অংশীদার বানিয়ে নেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজশাহীজুড়ে রাতারাতি গড়ে তোলেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সড়কের জমি দখলও ছিল এর অংশ।

এলাকাবাসীর অভিযোগে আরও জানা গেছে, ২০২০ সালে নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের মাহিদ্রা এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২১ বিঘা জমি ক্রয় করে নাবিল গ্রুপ। নাবিলের মালিক আমিনুল ইসলাম স্বপনের ক্ষমতা আর অর্থের দাপটে অনেকটা পানির দরে এসব জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন মালিকরা। রাজশাহী বাইপাস সড়ক সংলগ্ন এলাকাটিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২০ কাঠা জমি রয়েছে। ডেইরী অ্যান্ড ক্যাটল ফার্ম করার সময় সড়কের জমিও নাবিল গ্রুপ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে নেন।

হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সড়কের জায়গা দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণের সময় আমরা বাধা দিলেও তাতে কর্ণপাত করেননি নাবিল গ্রুপের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। পরে দখল করা জায়গাতে পাকা স্থাপনা তৈরি করেন।

রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়াডাঙ্গা থেকে বেলপুকুর পর্যন্ত রাজশাহী বাইপাস সড়ক নির্মাণের সময় ১৯৯৫ সালে জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হয়। ২৪ ফুট প্রশস্ত সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় ২০০০ সালে। তবে সড়কের উভয় পাশের ৯০ ফুট করে ১৮০ ফুট জায়গা থেকে ফাঁকা থেকে যায়। ফাঁকা এসব জমিতে ভবিষ্যতে সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে বলে জায়গাগুলি ব্যক্তি পর্যায়ে লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকে সওজ। এই অব্যবহৃত জায়গাগুলি দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দিয়েছেন নাবিল গ্রুপ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নাবিল গ্রুপের মালিকানাধীন নাবা ডেইরী অ্যান্ড ক্যাটল ফার্মটিতে গরু মোটাতাজা করা হয় এবং এখানে উৎপাদিত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্যাকেজিং করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। প্রথমে ৩০০ টি গবাদিপশু দিয়ে ফার্মটি শুরু করা হলেও বর্তমানে হাজার খানেক গবাদিপশু রয়েছে। এসব গবাদিপশু দেখভালের জন্য বেশ কিছু কর্মচারী রয়েছে। সড়কের যে ২০ কাঠা জমি দখল করে কারখানাটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে সেখানে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনে দুগ্ধজাত পণ্যের প্যাকেজিং করা হয়ে থাকে।

ওই একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ২১ বিঘা মূল ফার্ম লাগোয়া সড়কের ২০ কাঠা জমি অব্যবহৃত পড়ে ছিল। ২০২২ সালে মালিক এই জমিটি ঘিরে দিয়ে একতলা ভবন নির্মাণ করেন। জমিটি সড়কের এটা জেনেই দখলে নেওয়া হয়েছিল। তবে নাবিল গ্রুপ জমিটি লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করে রেখেছেন। এখনও লিজ দেয়নি সড়ক বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, সড়ক নির্মাণ বা সম্প্রসারণের জন্য আমরা অনেক সময় জমি অধিগ্রহণ করি। তবে সবসময় পুরো জমি কাজে লাগে না। সড়কের দুই পাশের জমিগুলো অনেক সময় স্বল্প মেয়াদি লিজ দেওয়া হয়ে থাকে। শর্ত দেওয়া হয় লিজ নেওয়া জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা করার। তবে মাহিন্দ্রা এলাকার জমি লিজের জন্য নাবিল গ্রুপ আবেদন করেছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ লিজের অনেক আবেদন থাকে। যদি লিজ ছাড়া নাবিল গ্রুপ জমি দখলে নিয়ে ভবন করে থাকে সে ক্ষেত্রে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা নোটিশ দেব। তাতে কাজ না হলে আমরা যথাযথ আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করব।

সড়কের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রসঙ্গে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, সড়কের ২০ কাঠা পরিমাণ জমি লিজ নেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করে রেখেছি। এরপর আমরা সেখানে অস্থায়ী স্থাপনা করেছি। সওজ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বললে আমরা সরিয়ে নেবো। এটা দখল নয় বলে দাবি করেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

নাবিল গ্রুপ: সরকারি জমি দখলে নিয়ে করেছে ডেইরী ফার্ম

আপডেট সময় ০৪:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

ব্যাংক লুটের অন্যতম হোতা এস আলমের অন্যতম সহযোগী রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুল্যবান ২০ কাঠা জমি দখল করে ডেইরি ফার্ম স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাবিল গ্রুপ ২০২০ সালে নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার মাহিন্দ্রা এলাকায় নাবা ডেইরী অ্যান্ড ক্যাটল ফার্ম নামের একটি গবাদিপশু খামার গড়ে তোলেন।

অভিযোগে জানা গেছে, খামার স্থাপনের সময় নাবিল গ্রুপ মাহিন্দ্রা এলাকায় কিছু জমি ক্রয় করেন। সেই সঙ্গে সড়ক বিভাগের মুল্যবান ২০ কাঠা জমিও দখল করে নেন। এই দখল করা জমিতে ২০২২ সালে একতলা ভবন তৈরি করেন।

উল্লেখ্য, ইসলামি ব্যাংকের ঋণ কেলেংকারির অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নাবিল গ্রুপের এমডি আমিনুল ইসলাম স্বপন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আমিনুল ইসলাম স্বপনের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার ভেকতাপাড়া গ্রামে।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আমিনুল ইসলাম স্বপন ছাত্রজীবন থেকে ইসলামি ছাত্রশিবির ও পরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থাকলেও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে রাজশাহী ও আশেপাশের এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি শিল্প প্রসারের নামে নির্বিচারে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জোরপূর্বক জমি ক্রয় ও ক্ষেত্র বিশেষে দখল করেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ব্যবসায়ী সামুজ্জামান আওয়ালকে ব্যবসার অংশীদার বানিয়ে নেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজশাহীজুড়ে রাতারাতি গড়ে তোলেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সড়কের জমি দখলও ছিল এর অংশ।

এলাকাবাসীর অভিযোগে আরও জানা গেছে, ২০২০ সালে নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের মাহিদ্রা এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২১ বিঘা জমি ক্রয় করে নাবিল গ্রুপ। নাবিলের মালিক আমিনুল ইসলাম স্বপনের ক্ষমতা আর অর্থের দাপটে অনেকটা পানির দরে এসব জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন মালিকরা। রাজশাহী বাইপাস সড়ক সংলগ্ন এলাকাটিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২০ কাঠা জমি রয়েছে। ডেইরী অ্যান্ড ক্যাটল ফার্ম করার সময় সড়কের জমিও নাবিল গ্রুপ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে নেন।

হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সড়কের জায়গা দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণের সময় আমরা বাধা দিলেও তাতে কর্ণপাত করেননি নাবিল গ্রুপের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। পরে দখল করা জায়গাতে পাকা স্থাপনা তৈরি করেন।

রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়াডাঙ্গা থেকে বেলপুকুর পর্যন্ত রাজশাহী বাইপাস সড়ক নির্মাণের সময় ১৯৯৫ সালে জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হয়। ২৪ ফুট প্রশস্ত সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় ২০০০ সালে। তবে সড়কের উভয় পাশের ৯০ ফুট করে ১৮০ ফুট জায়গা থেকে ফাঁকা থেকে যায়। ফাঁকা এসব জমিতে ভবিষ্যতে সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে বলে জায়গাগুলি ব্যক্তি পর্যায়ে লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকে সওজ। এই অব্যবহৃত জায়গাগুলি দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দিয়েছেন নাবিল গ্রুপ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নাবিল গ্রুপের মালিকানাধীন নাবা ডেইরী অ্যান্ড ক্যাটল ফার্মটিতে গরু মোটাতাজা করা হয় এবং এখানে উৎপাদিত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্যাকেজিং করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। প্রথমে ৩০০ টি গবাদিপশু দিয়ে ফার্মটি শুরু করা হলেও বর্তমানে হাজার খানেক গবাদিপশু রয়েছে। এসব গবাদিপশু দেখভালের জন্য বেশ কিছু কর্মচারী রয়েছে। সড়কের যে ২০ কাঠা জমি দখল করে কারখানাটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে সেখানে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনে দুগ্ধজাত পণ্যের প্যাকেজিং করা হয়ে থাকে।

ওই একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ২১ বিঘা মূল ফার্ম লাগোয়া সড়কের ২০ কাঠা জমি অব্যবহৃত পড়ে ছিল। ২০২২ সালে মালিক এই জমিটি ঘিরে দিয়ে একতলা ভবন নির্মাণ করেন। জমিটি সড়কের এটা জেনেই দখলে নেওয়া হয়েছিল। তবে নাবিল গ্রুপ জমিটি লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করে রেখেছেন। এখনও লিজ দেয়নি সড়ক বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, সড়ক নির্মাণ বা সম্প্রসারণের জন্য আমরা অনেক সময় জমি অধিগ্রহণ করি। তবে সবসময় পুরো জমি কাজে লাগে না। সড়কের দুই পাশের জমিগুলো অনেক সময় স্বল্প মেয়াদি লিজ দেওয়া হয়ে থাকে। শর্ত দেওয়া হয় লিজ নেওয়া জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা করার। তবে মাহিন্দ্রা এলাকার জমি লিজের জন্য নাবিল গ্রুপ আবেদন করেছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ লিজের অনেক আবেদন থাকে। যদি লিজ ছাড়া নাবিল গ্রুপ জমি দখলে নিয়ে ভবন করে থাকে সে ক্ষেত্রে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা নোটিশ দেব। তাতে কাজ না হলে আমরা যথাযথ আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করব।

সড়কের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রসঙ্গে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, সড়কের ২০ কাঠা পরিমাণ জমি লিজ নেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করে রেখেছি। এরপর আমরা সেখানে অস্থায়ী স্থাপনা করেছি। সওজ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বললে আমরা সরিয়ে নেবো। এটা দখল নয় বলে দাবি করেন তিনি।