ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ রাজবাড়ীতে জমির দখল বুঝে পেতে সংবাদ সম্মেলন তজুমদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে শিশু বলাৎকার মামলার মূল হোতা আটক হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে? গণপূর্তে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সিন্ডিকেট গড়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’

রাজধানীতে ফ্ল্যাটে চলছে শাহানাজ বেগমের রমরমা দেহ ব্যবসা

  • রাজু আহমেদ, ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:২১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮২৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মহানগরীর নিরিবিলি পরিবেশ ভাটারা থানাধীন কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার মিয়া বাড়ি (মজলু মিয়ার বাড়ি)তে নিজের ফ্ল্যাটে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। উক্ত ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় তলায় মজলু মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম সুন্দরী মেয়েদের রেখে ব্যাপক ভাবে চলাচ্ছে অবৈধ দেহ ব্যবসা।

আর এই ব্যবসায় শাহানাজের সহযোগী হিসাবে কাজ করছে খোদ তার স্বামী মজলু মিয়া ও ছেলে শাকিব মিয়া এবং আড়ালে থেকে সহযোগীতা করছে শাহনাজ বেগমের ভাই আকতার হোসেন। এ ব্যাপারে এলাকায় জানাজানি হলে শাহানাজ বেগম ধাম্বীকতার সাথে উত্তর দেন, আমি থানায় প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা মাশোয়ারা দেই। পারলে কেউ কিছু করে দেখান। এভাবেই প্রকাশ্যে পুলিশের মাশোয়ারার কথা বলে নির্বিগ্নে চালাচ্ছেন অবৈধ দেহ ব্যবসা।

তারা উক্ত এলাকার স্থানীয় আদিবাসী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সাহস করেন না। সূত্রে জানা যায়, তার বাসায় দিনের বিভিন্ন সময় অহরহ অপরিচিত মানুষের যাতায়াত থাকে। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই হল শাহনাজের দেহ ব্যবসার খদ্দের। এদের মধ্যে আছে ভি আই পি কাস্টমার যাদের কাছ থেকে প্রতি রাতে মেয়েদের সাথে রাত্রী যাপনের বিনিময়ে শাহনাজ আদায় করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আছে খন্ডকালীন খদ্দের যারা ১ থেকে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে সময় কাটান নিজ পছন্দের মেয়েদের সাথে।

আর এসব মেয়েদের যোগানদাতাও হলেন শাহনাজ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ থেকে ৩০ বছরের মেয়েদের চাকরির কথা বলে নিয়ে আসেন তার ফ্ল্যাটে। একসময় ওইসব মেয়েদের বাধ্য করান দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হতে। এছাড়াও আছে স্বেচ্ছায় আসা ১৫ থেকে ৩০ বছরের মেয়ে ও মহিলারা। যারা শাহনাজ বেগমের ফ্ল্যাটে আসা খদ্দেরদের যোগান দিয়ে চলেন। এসব কার্মকান্ড করে শাহনাজ প্রতি মাসে আয় করে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, বিত্তবান কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সাথে পতিতাদের উলঙ্গ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে শাহানাজ বেগম।

এ ব্যাপারে শাহনাজের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে চলতে থাকেন। একসময় সরজমিনে প্রতিবেদক তার ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত হলে বিভিন্ন প্রকার নারী ও পুরুষদের দেখতে পান। এ সময় শাহনাজ বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তার ছেলে শাকিব মিয়া প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান। পরে সাংবাদিক জানতে পেরে শাকিব মিয়া বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একসময় প্রতিবেদকের গায়ে হাত তুলতে চড়াও হন। ওই সময় শাহনাজ বেগম বলতে থাকেন, আমরা থানায় টাকা দিয়ে ব্যবসা চালাই, কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ

রাজধানীতে ফ্ল্যাটে চলছে শাহানাজ বেগমের রমরমা দেহ ব্যবসা

আপডেট সময় ০৬:২১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকা মহানগরীর নিরিবিলি পরিবেশ ভাটারা থানাধীন কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার মিয়া বাড়ি (মজলু মিয়ার বাড়ি)তে নিজের ফ্ল্যাটে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। উক্ত ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় তলায় মজলু মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম সুন্দরী মেয়েদের রেখে ব্যাপক ভাবে চলাচ্ছে অবৈধ দেহ ব্যবসা।

আর এই ব্যবসায় শাহানাজের সহযোগী হিসাবে কাজ করছে খোদ তার স্বামী মজলু মিয়া ও ছেলে শাকিব মিয়া এবং আড়ালে থেকে সহযোগীতা করছে শাহনাজ বেগমের ভাই আকতার হোসেন। এ ব্যাপারে এলাকায় জানাজানি হলে শাহানাজ বেগম ধাম্বীকতার সাথে উত্তর দেন, আমি থানায় প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা মাশোয়ারা দেই। পারলে কেউ কিছু করে দেখান। এভাবেই প্রকাশ্যে পুলিশের মাশোয়ারার কথা বলে নির্বিগ্নে চালাচ্ছেন অবৈধ দেহ ব্যবসা।

তারা উক্ত এলাকার স্থানীয় আদিবাসী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সাহস করেন না। সূত্রে জানা যায়, তার বাসায় দিনের বিভিন্ন সময় অহরহ অপরিচিত মানুষের যাতায়াত থাকে। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই হল শাহনাজের দেহ ব্যবসার খদ্দের। এদের মধ্যে আছে ভি আই পি কাস্টমার যাদের কাছ থেকে প্রতি রাতে মেয়েদের সাথে রাত্রী যাপনের বিনিময়ে শাহনাজ আদায় করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আছে খন্ডকালীন খদ্দের যারা ১ থেকে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে সময় কাটান নিজ পছন্দের মেয়েদের সাথে।

আর এসব মেয়েদের যোগানদাতাও হলেন শাহনাজ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ থেকে ৩০ বছরের মেয়েদের চাকরির কথা বলে নিয়ে আসেন তার ফ্ল্যাটে। একসময় ওইসব মেয়েদের বাধ্য করান দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হতে। এছাড়াও আছে স্বেচ্ছায় আসা ১৫ থেকে ৩০ বছরের মেয়ে ও মহিলারা। যারা শাহনাজ বেগমের ফ্ল্যাটে আসা খদ্দেরদের যোগান দিয়ে চলেন। এসব কার্মকান্ড করে শাহনাজ প্রতি মাসে আয় করে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, বিত্তবান কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সাথে পতিতাদের উলঙ্গ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে শাহানাজ বেগম।

এ ব্যাপারে শাহনাজের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে চলতে থাকেন। একসময় সরজমিনে প্রতিবেদক তার ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত হলে বিভিন্ন প্রকার নারী ও পুরুষদের দেখতে পান। এ সময় শাহনাজ বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তার ছেলে শাকিব মিয়া প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান। পরে সাংবাদিক জানতে পেরে শাকিব মিয়া বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একসময় প্রতিবেদকের গায়ে হাত তুলতে চড়াও হন। ওই সময় শাহনাজ বেগম বলতে থাকেন, আমরা থানায় টাকা দিয়ে ব্যবসা চালাই, কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না।