নওগাঁর সাপাহারে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রাণকেন্দ্র মসজিদ ভাঙচুর করায় থানায় অভিযোগ, অতঃপর সোহেল (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। মসজিদ ভাঙচুরের সাথে জড়িত আটক সোহেল রানা উপজেলার বাদ-উপরইল গ্রামের আ. আজিজের ছেলে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের বাদ-উপরইল (চকান্দি) গ্রামের জামে মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনায় বাদী হয়ে বাদ উপরইল গ্রামের বাবা-ছেলে সহ তিনজনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন।
বিবাদীরা হলেন আ. আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০) ও জুয়েল (৩২) এবং একই গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে আ. আজিজ (৫৫) । অভিযোগ সূত্রে ও সরজমিনে জানা যায় গ্রামের জামে মসজিদের পাশে কার্ণিশের সাথে লাগানো আঃ আজিজের একটি বড় মেহগনি গাছ আছে। ঝড় বাতাসে ওই গাছের ডাল-পালা লেগে প্রায়’সময় মসজিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত বছরে ঝড়ে মসজিদের কার্ণিশের সাথে লেগে কার্ণিশ ভেঙ্গে যায়।
যাতে করে মসজিদ কর্তৃপক্ষের ৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।বার বার গাছটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও বিবাদীরা কর্ণপাত করেন না। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ২৮ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মুসল্লীদের নিয়ে মসজিদের সাথে লাগানো গাছটির বর্ধিত ডালপালা কেটে দেয়। সেই সূত্র ধরে ১নং আসামী সোহেল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে মুনল্লীদেরকে কটাক্ষ ও দেলোয়ার নামে একজনকে হাতল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। সে সময় গুরতর আহত হন ওই গ্রামের মুসল্লী দেলোয়ার।
এসময় সোহেলের বাবা ও ভাই কুড়াল,শাবল, রড ইত্যাদি দিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে মসজিদের সম্মুখভাগে মিনার ভাঙচুর করে। এঘটনায় মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ১নং আসামী সোহেলকে আটক করে থানা পুলিশ। পরের দিন আসামী সোহেল রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।