পাবনা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মিলন হোসেন মধু (৪৫) ও মঞ্জু প্রামাণিক (৪৪) নামের দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের বাস টার্মিনালের হালিম হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মিলন হোসেন মধু পাবনা শহরের পূর্ব শালগাড়িয়ার মুজাহিদ ক্লাবের বাংলা বিড়ির গলির আরমান শেখের ছেলে এবং পূর্ব রাঘবপুর এলাকার নুর আলীর ছেলে। মধু পরিবহনের শ্রমিক আর মঞ্জু অটোরিকশা চালক।
নিহতদের স্বজন ও হোটেল কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে হোটেলে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন। হোটেলের সামনে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তারা হোটেলের সামনে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে থাকা অনেকেই ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও তারা যেটা জানিয়েছেন সেটা হল যারা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তারা প্রত্যেকেই কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী এটা সংঘবদ্ধ চক্র কবিরপুর গ্রামের মিরাজের ছেলে সম্রাট নাহিদ, মৃত আছর উদ্দিন শেখ এর ছেলে মোহাম্মদ আলী কেলে আলমগীর হোসেন চাঁদু, রনি সহ বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ চক্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় য় উপস্থিত থেকে এটনা ঘটিয়েছে বলে জানা । ইতিপূর্বে এই সম্রাট ও নাহিদ মোহাম্মদ আলী কেলে ,আলমগীর হোসেন চাঁদু ,এদের নামে একাধিক মাদক মামলা ও হত্যা মামলা রয়েছে যা পাবনা আদালতে বিচারাধীন। এই মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের টিপু শেখ পাবনা র্যাব১২ এর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। আব্দুর রহমান শেখ ও মাদক ব্যবসার কারণে পাবনা ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এই মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের একটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে যারা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।।।
পাবনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একজন অটোরিকশা শ্রমিক আরেকজন পরিবহনের শ্রমিক। ঠিক কি কারনে এ ঘটনা ঘটছে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি তারপরে বিস্তারিত বলা যাবে।