বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশ যখন উত্তাল তখন ঢাকাতেই ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। গত ২ আগস্ট কারফিউ চলাকালে ঢাকায় বসে দেখেছেন ছাত্রদের বিক্ষোভ ও শেষমেশে সরকার পতন। ছাত্রদের এমন আত্মত্যাগ অবাক করেছে হাথুরুকে। এখন তার চাওয়া যেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এতগুলো তাজা প্রাণ ঝড়ে গেল রাস্তায়। সেই প্রশ্নের উত্তর পাক শিক্ষার্থীরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশের সর্বক্ষেত্রেই পরিবর্তনের হওয়া লেগেছে। বিসিবিতেও পরিবর্তন আসতে চলেছে। বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। আরও বেশ কয়েকজন পদত্যাগ করতে পারেন বলে গুঞ্জন। দাবি উঠেছে হাথুরুকেও বিদায় করে দেওয়ার। যা নিয়েও রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে কথা বলেছেন এই লংকান মাস্টার মাইন্ড।
তবে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে ও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রশ্নের উত্তর পাবে বলে আশা করছেন হাথুরু। বলেন, ‘আমার প্রার্থনা, তাদের পরিবারের জন্য যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। এটি সত্যিই কঠিন ছিল…আমি আশা করি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা ছিল। আমি আশা করি, দেশটি শিগগিরই স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে বাংলাদেশকে এক করতে খেলাধুলার শক্তির গুরুত্বের কথা বলেন হাথুরু। বলেন, ‘আমরা জানি খেলাধুলার একটি সত্যিকারের শক্তি আছে যা দিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা যায় এবং যা মানুষের মধ্যে আশা জাগায়।’
দেশের ক্রিকেট থেকে হাথুরুকে বিদায় করার দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে হাথুরুর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই বাংলাদেশে (ক্রিকেট বোর্ডে) কী চলছে। আমার ভবিষ্যতের কথা বললে, যত দিন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ আছে, আমি দায়িত্ব পালনের দিকে তাকিয়ে আছি। তবে বোর্ড যদি বদলে যায় এবং তারা যদি পরিবর্তন চায়, আমার তাতে সমস্যা নেই। তারা যদি আমাকে চালিয়ে নিতে বলে, আমাকে নিয়ে খুশি থাকে, আমিও খুশি মনে দায়িত্ব পালন করব।’