অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেনী-২ আসনের এমপি নিজামউদ্দিন হাজারী, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও এমপির দেহরক্ষী পিএস মানিক আটক করেছে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় পরশুরামের আমজাদ হাট ইউনিয়নের খানা মিয়ার বাড়ি এলাকা দিয়ে আত্মগোপনে যাবার পথে তারা আটক হয়েছেন। জেলার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরের ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সোমবার বিকাল ৩টার দিকে শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায় বাড়িতে উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
নিজাম হাজারীর পাশাপাশি ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, ফেনী পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। দুপুরের পর থেকে জাতীয় পতাকা হাতে লাখো মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে বিজয় উল্লাসের পাশাপাশি একশ্রেণির লোকজন বিভিন্ন ভবন ও কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উত্তেজিত জনতা দুপুর থেকে মাস্টারপাড়ায় এমপি নিজাম হাজারীর কাছারি, পুরাতন বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত শত শত জনতা আলিসান বাগান বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাগানবাড়ী থেকে যে যার মতো করে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এর আগেই বাড়ি থেকে সটকে পড়েন নিজাম হাজারী।
এছাড়া শহরের বাঁশপাড়ায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলের গ্রামের বাড়ি, রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও পাঠাগার, পিটিআই স্কুল, ফেনী পৌরসভা, স্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, ফেনী, দাগনভূঞা-ছাগলনাইয়া থানা ও শহরের আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।