ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের বাংলাদেশকে সস্তায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি কুমিল্লা মুরাদনগর বাঙ্গরা বাজার থানা ১৫ কেজি গাঁজা সহ দুইজন আটক” ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ নিপাত যাক: সর্বহারা পার্টি গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে গেলেন তারেক রহমান ঢাকা দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বোনদের জমি না দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সূচনা শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে – হাসনাত আবুল্লাহ বিআরটিএ ড্রাইভিং ইন্টারভিউয়ে নতুন গাড়ি না পাওয়া: লক্কর ঝক্কর গাড়ির কারণে বিপাকে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা

ফরিদগঞ্জের গুলিবিদ্ধ শিশু রবিউলের ১৩ দিন পর সন্ধান পেলেন বাবা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকার নাখালপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ ফরিদগঞ্জের শিশু রবিউল হোসেন (১৩) অবশেষে তার পরিবারের খোঁজ পেলেন।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার ১৩ দিন পর ছেলের খোঁজে দিশাহারা বাবা বিল্লাল ছেলের সন্ধান পেয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে গুলিবিদ্ধ ক্ষত পা নিয়ে চিকিৎসাধীন রবিউল তার বাবা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গেই রয়েছেন।

৩ আগস্ট শনিবার মোবাইল ফোনে বিল্লাল হোসেন জানান, তার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে। রবিউল তার ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। গত তিন বছর ধরে সে ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী চাচা হেলালের সঙ্গে থাকে। গত ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে তিনি ও তার ভাই হেলালসহ কেউই রবিউলের খোঁজ পাননি। দিশাহারা হয়ে এতদিন খোঁজার পর গত দুদিন আগে সন্ধান পান। এখন তিনি ছেলের সঙ্গে রয়েছেন। রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালানো বিল্লাল হোসেন বর্তমানে অর্থাভাবে রয়েছেন বলে জানান। ছেলেকে খুঁজে পেয়ে তিনি খুশি।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসারের সহকারী কমান্ডার শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও এলাকার নাখালপাড়া রেললাইনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সময় বাসা থেকে বের হলে রেললাইনে গুলিবিদ্ধ হয় রবিউল হোসেন। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
সেই থেকে হাসপাতালের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে গুলিবিদ্ধ ক্ষত পা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিল সে। ইন্টারনেট সচল হওয়ার পর গত ২৮ জুলাই তিনি রবিউলের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে ফরিদগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে রবিউলের তথ্য দেন।

তার দেওয়ার তথ্যানুযায়ী পুলিশ খোঁজ নিয়ে রবিউলের পরিবারের সন্ধান পায় এবং রবিউল বর্তমানে তার বাবার সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে গত ১৩ দিন তার পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানত না পরিবারের কেউ-ই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের

ফরিদগঞ্জের গুলিবিদ্ধ শিশু রবিউলের ১৩ দিন পর সন্ধান পেলেন বাবা।

আপডেট সময় ১১:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকার নাখালপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ ফরিদগঞ্জের শিশু রবিউল হোসেন (১৩) অবশেষে তার পরিবারের খোঁজ পেলেন।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার ১৩ দিন পর ছেলের খোঁজে দিশাহারা বাবা বিল্লাল ছেলের সন্ধান পেয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে গুলিবিদ্ধ ক্ষত পা নিয়ে চিকিৎসাধীন রবিউল তার বাবা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গেই রয়েছেন।

৩ আগস্ট শনিবার মোবাইল ফোনে বিল্লাল হোসেন জানান, তার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে। রবিউল তার ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। গত তিন বছর ধরে সে ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী চাচা হেলালের সঙ্গে থাকে। গত ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে তিনি ও তার ভাই হেলালসহ কেউই রবিউলের খোঁজ পাননি। দিশাহারা হয়ে এতদিন খোঁজার পর গত দুদিন আগে সন্ধান পান। এখন তিনি ছেলের সঙ্গে রয়েছেন। রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালানো বিল্লাল হোসেন বর্তমানে অর্থাভাবে রয়েছেন বলে জানান। ছেলেকে খুঁজে পেয়ে তিনি খুশি।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসারের সহকারী কমান্ডার শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও এলাকার নাখালপাড়া রেললাইনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সময় বাসা থেকে বের হলে রেললাইনে গুলিবিদ্ধ হয় রবিউল হোসেন। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
সেই থেকে হাসপাতালের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে গুলিবিদ্ধ ক্ষত পা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিল সে। ইন্টারনেট সচল হওয়ার পর গত ২৮ জুলাই তিনি রবিউলের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে ফরিদগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে রবিউলের তথ্য দেন।

তার দেওয়ার তথ্যানুযায়ী পুলিশ খোঁজ নিয়ে রবিউলের পরিবারের সন্ধান পায় এবং রবিউল বর্তমানে তার বাবার সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে গত ১৩ দিন তার পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানত না পরিবারের কেউ-ই।