রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৪ কেজি ৮২০ গ্রাম ওজনের কষ্টি পাথরের একটি থালাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এটির দাম কয়েক লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার পেঙ্গুয়ারী গ্রামের মৃত মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. গোলাম সাকলাইন (৪৩), সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার কামাউড়া গ্রামের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে মো মাসুদ রানা (৩৫), জামালপুর সদর উপজেলার তুলশির চর গ্রামের সফুর উদ্দিনের ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৪২) ও গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার মুদাফা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ (৪৫)।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি জানান, শনিবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাতে গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কয়েকজন ব্যাক্তি ঝিনাইদহ থেকে কষ্টি পাথরের থালা নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় যাচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর গেটের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করা হয়। রাত পৌনে ৪ টার দিকে ঢাকাগামী একটি সিলভার কালারের প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো জ-৩৯-২০৯৫) চেকপোস্টের কাছে এলে প্রাইভেটকারটি সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে প্রাইভেটকারের মধ্যে থাকা ৪ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের কাছে কষ্টি পাথরের থালা থাকার কথা স্বীকার করে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় খবরের কাগজ, কার্বন, পলিথিন ও সাদা কাপড় দিয়ে মোড়ানো ও ময়দার আঠা দিয়ে আটকানো অবস্থায় একটি কালো রঙ্গের বড় গোলাকার কথিত কষ্টি পাথরের বড় থালা উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৪ কেজি ৮২০ গ্রাম। পরে প্রাইভেটকারটি জব্দ করার পাশাপাশি ৪ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায় যে, তারা অবৈধভাবে প্রত্নতত্ত্বটি সংগ্রহ করে অবৈধ পন্থায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে প্রত্নতত্ত্বটির মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে গোয়ালন্দঘাট থানায় বিশেষ ক্ষমতায়নে একটি মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার ৪ আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।