দীর্ঘ ৭০ বছরের শোষণ-বঞ্চনা, অত্যাচার-নিপীড়ন ও গুম-ঘুনের প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলে গিয়ে হামলায় চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গ্রুপ হামাসের যোদ্ধারা। এতে ১২০০ এর মতো লোক নিহত হয় বলে দাবি করা হয় ইসরাইলের পক্ষ থেকে। ওই সময় ইসরাইল থেকে প্রায় ২৫০ লোককে জিম্মি করে গাজায় ফিরে আসে যোদ্ধারা।
এর জবাবে ওই দিন থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল,
দীর্ঘ ৭০ বছরের শোষণ-বঞ্চনা, অত্যাচার-নিপীড়ন ও গুম-ঘুনের প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলে গিয়ে হামলায় চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গ্রুপ হামাসের যোদ্ধারা। এতে ১২০০ এর মতো লোক নিহত হয় বলে দাবি করা হয় ইসরাইলের পক্ষ থেকে। ওই সময় ইসরাইল থেকে প্রায় ২৫০ লোককে জিম্মি করে গাজায় ফিরে আসে যোদ্ধারা।
এর জবাবে ওই দিন থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল, যা আজও অব্যাহত আছে। দীর্ঘ সময়ের ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। তাছাড়া উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এখন কত ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তাছাড়া ইসরাইলের পক্ষ থেকেও এ ধরনের তথ্য খুব কমই জানানো হয়।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে ৩২৪ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার সেনাসদস্য।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধের সময় নিহত ৬৮০ সেনা, অফিসার এবং রিজার্ভ ফোর্সের সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। নিহতদের মধ্যে কয়েক ডজন স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছেন, তাদের প্রায় অর্ধেকই গাজা সীমান্তে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৩২৪ জন সেনা হামাস পরিচালিত ভূখণ্ড এবং সীমান্তে স্থল অভিযানের সময় নিহত হয়েছে।
অপরদিকে ইসরাইলি পুলিশ জানিয়েছে, গাজা সীমান্তে ‘সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে মোকাবিলায় ৫৮ জন অফিসার নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের সীমান্তে হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের সদস্যদের হামলায় অন্তত ১৩ জন সৈন্য এবং একজন স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এছাড়া পশ্চিম তীর ও ইসরাইলে সন্ত্রাসী হামলায় ৮ সেনা নিহত হয়েছে। পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে দুই সেনা নিহত হয়েছেন।
তবে এর আগে বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা থেকে অনুমান করা যায় যে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হবে।
এদিকে গতকাল রোববার গাজায় জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় অবস্থিত ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা লোকজন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর তাণ্ডব থামছেই না।
এছাড়া গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল জাউনি স্কুলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৭৫ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
যা আজও অব্যাহত আছে। দীর্ঘ সময়ের ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। তাছাড়া উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এখন কত ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তাছাড়া ইসরাইলের পক্ষ থেকেও এ ধরনের তথ্য খুব কমই জানানো হয়।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে ৩২৪ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার সেনাসদস্য।
তবে এর আগে বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা থেকে অনুমান করা যায় যে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হবে।
এদিকে গতকাল রোববার গাজায় জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় অবস্থিত ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা লোকজন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর তাণ্ডব থামছেই না।
এছাড়া গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল জাউনি স্কুলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৭৫ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। পুরো তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।