ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রমোশন না হলেও ডিডি পদায়ন নিয়ে থাকতে চান আবারো প্রধান কার্যালয়ে

সেই বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট মৎস্য অধিদপ্তরের দাপুটে অফিসার দুই যুগ ধরে প্রধান কার্যালয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত মাছুদ আরা মমি। সামনের ডিডি প্রমোশন না হলেও চলতি দ্বায়িত্বে ডিডি পদায়ন চান এবং একই সাথে থাকতে চান আবারো প্রধান কার্যালয়ে। এ যেন মমির জন্য পুরোপুরি একটা প্যাকেজ। তার এত ক্ষমতার উৎস্য কোথায় ? অনেক কর্মকর্তার কাছে এমনটাই প্রশ্ন। মমি ক্ষমতার দাপটেই এখন প্রমোশন না হলেও ডিডি পদ বাগিয়ে নিতে ব্যাস্ত রয়েছেন। করছেন নানান তদবির।

সূত জানায় মাসুদ আরা মমি ২১বিসিএস এর কর্মকর্তা। উপ-পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দিতে ৮ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় নিজের নাম নেয় সেটা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন মমি। তিনি এই প্রমোশনের ডিডি হতে পারছেন না। কিন্তু ডিডি হতে না পারলেও ডিডি পদটি তার দখলে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে আবারো নিজ পদ ধরে রাখতে মরিয়া এই তদবিরবাজ কর্মকর্তা যে কারনে তিনি দুই যুগ ধরে রাজধানীর মৎস্য ভবনে চাকরি করে যাচ্ছেন। চলতি দায়িত্বে উপ-পরিচালক থাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তদবির করছেন।

সূত্র জানায় উপ-পরিচালক হিসেবে সুপারিশের তালিকায় প্রথম রয়েছেন মোল্লা এমদাদুল্যাহ, দুই নম্বরে আছেন মোঃ আশরাফুজ্জামান, তিন নম্বরে আছে মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম, চার নম্বরে আছে মোঃ বদরুজ্জামান মানিক, পাঁচ নাম্বার আছে এস এম মনিরুজ্জামান, ছয় নম্বরে আছেন বরুন চন্দ্র বিশ্বাস, সাত নম্বরে আছেন এস এম খালেকুজ্জামান এবং সর্বশেষ আট নম্বরে আনিছুর রহমান। এরপরেই সিরিয়াল মাসুদ আরা মমি। অপর একটি সূত্র জানায়, আগামী জুনে অবসরে যাবেন অনিল কুমার সাহা নামের একজন উপ-পরিচালক। তিনি চাঁদপুরের মৎস্য ডিপ্লোমা ইষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ। নিজ বেতনে সেই পদটি দখল করার জন্য অনেকটা আদাজল খেয়ে নেমেছেন মাসুদ আরা মমি। নাম প্রকাশ করার না শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান হেডকোয়ার্টারে চাকরি করে যাবে তার ক্ষমতার উৎস কোথায় ? মৎস্য অধিদপ্তরের কে এই প্রভাবশালী দাপুটে কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমি।

বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট মমির ক্ষমতার উৎস্য বা কোথায় ? তিনি বিশাল দায়িত্ববান কর্মকর্তাও বটে, তবে তার দায়িত্ব শুধু সিনিয়র অফিসার, সচিব আর মন্ত্রীদের সাথে ফটো সেশন আর সেলফিবাজিতে। তিনি বর্তমানে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপ-প্রধান হিসাবে ইলিশ শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে সরকার মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষ, অভয় আশ্রম স্থাপন করা, জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, বিভিন্ন অভিজান পরিচালনাসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহন করেন। এসকল র্কাক্রমে তিনি রিমোট এলাকা পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলা, বরিশালসহ দুরবর্তী এলাকাতে অভিযান কিংবা কোন কার্যক্রমে যাননা বলে অনেকেরই অভিযোগ। তবে তিনি রাজধানীর আশেপাশে বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জে ইলিশের কার্যক্রমে গিয়ে ভুল করেননা মন্ত্রী, সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে ফটো সেশনে অংশ নিতে। বলা যেতে পারে তিনি শুধুমাত্র ফটো সেশনে অংশ নিতেই এ নিকটবর্তী এলাকায় যান। একই সাথে মমির তেলবাজিও নেহাত ফেলে দেওয়ার মত না। তারই ধারাবাহিকতায় গত মৎস্য সপ্তাহের সমাপনি অনুষ্ঠানে মন্ত্রনালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আরা মমিকে ইলিশের মা বলে আখ্যা দিলেন।

বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে অতিথিরা অনেকেই মুকটিপে হাসলেও সিনিয়র অফিসারের এমন মন্তবে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেননি। তবে ঐ অনুষ্ঠান স্থলের অনেকেরই প্রশ্ন ? মৎস্য অফিসার মাসুদ আরা মমি কি এমন বিশেষ কাজ করেছেন বা তিনি ছাড়া ঐ কাজ আর কেউ কোনদিন করেননি যার কারনে তাকে ইলিশের মা বলে আখ্যা দিলেন সিনিয়র কর্মকর্তা। আর একজন মানুষ কিভাবে মাছের মা হতে পারে ? নাম মাসুদ আরা মমি। জেলা মৎস্য অফিসার হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। নিজ জেলা ময়মনসিংহ। সরকারী চাকুরীতে প্রথম যোগদান করেন ৩১ মে ২০০৩ তারিখে সেই সুবাদে মৎস্য অধিদপ্তরে তার চাকুরীকাল ২১ বছর প্রায়। ক্ষমতার দাপটে চাকুরীকালের প্রায় শতভাগ সময় আছেন প্রধান কার্যালয়ে।

এমনকি তাবে বদলী করতেও কোন উদ্যোগ নেয়না কর্তৃপক্ষ। মৎস্য অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তারই অভিযোগ মমি একজন বিএনপি-জামায়াত ঘরনার কর্মকর্তা হয়েও একাই কিভাবে এতো সুবিধা ভোগ করছেন। তার এই ক্ষমতার উৎস্য কোথায় ? তবে বিভিন্ন কৌশলে সিনিয়রদের ম্যানেজ করে মৎস্য ভবনের প্রধান কার্যালয়ে আছেনই প্রায় ২১ বছর। প্রমোশন হয় নিয়মিত কিন্তু তার রুম আর চেয়ার টেবিল বদল হয়না। সামনে প্রমোশন হলে ডিএফও থেকে ডিডি হবেন। এরই মধ্যে তিনি তার পোষ্টিং হেডকোয়াটারে রাখতে ব্যাস্ত। সরকার আসে, সরকার যায়, বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট ২১ বিসিএসের এই নারী কর্মকর্তার কোন পরিবর্তন নেই। বহাল তবিয়াতে প্রধান কার্যালয়ে রাজত্ব করেই চলেছেন তিনি। একই ভবনে প্রায় দুই দশক রাজত্ব করেই চলেছেন। সরকারী চাকুরীতে সাধারনত একই স্থানে ৩ বছরের অধিক সময় থাকার বিধান না থাকলেও এই নারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে ঘটে চলেছে ঠিক এর উল্টো। ৫ বছর পর পর যথা নিয়মে সরকার পরিবর্তন হলেও। তিনি ঠিকই থেকে যাচ্ছেন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে।

মৎস্য অধিদপ্তরের চাকুরীর সুবাদে সকলকে ফিল্ডে চাকুরী করলেও বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তিনি প্রধান কার্যালয়ে করে নিয়েছেন যেন চাকুরীর স্থায়ী নিবাস। জনশ্রুতি আছে তিনি নিজ কর্মের থেকেও উর্দ্ধতনদের ম্যানেজ করতে বেশি বিজি থাকেন। যার কারনে যুগের পর যুগ, ধরে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে একের পর এক সুবিধাজনক চেয়ার লাফিয়ে লাফিয়ে পার করছেন দীর্ঘ কার্যকাল। আর এক এক করে প্রমোশন বাগিয়ে নিতেও তার কোন অসুবিধা নেই। যথা নিয়মেই তার প্রমোশন হচ্ছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আমি বছরের পর বছর ঢাকার বাইরে মাঠ পর্যায়ে চাকুরী করে চলেছি, আমার হেড কোয়াটারের চাকুরী করার ইচ্ছা থাকলেও সেটা হবেনা। যাদের ক্ষমতার জোর আছে তারাই হেড কোয়াটারে চাকুরী করবে বলেও আক্ষেপের সাথে কথাগুলো বলেন এই কর্মকর্তা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রমোশন না হলেও ডিডি পদায়ন নিয়ে থাকতে চান আবারো প্রধান কার্যালয়ে

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

সেই বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট মৎস্য অধিদপ্তরের দাপুটে অফিসার দুই যুগ ধরে প্রধান কার্যালয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত মাছুদ আরা মমি। সামনের ডিডি প্রমোশন না হলেও চলতি দ্বায়িত্বে ডিডি পদায়ন চান এবং একই সাথে থাকতে চান আবারো প্রধান কার্যালয়ে। এ যেন মমির জন্য পুরোপুরি একটা প্যাকেজ। তার এত ক্ষমতার উৎস্য কোথায় ? অনেক কর্মকর্তার কাছে এমনটাই প্রশ্ন। মমি ক্ষমতার দাপটেই এখন প্রমোশন না হলেও ডিডি পদ বাগিয়ে নিতে ব্যাস্ত রয়েছেন। করছেন নানান তদবির।

সূত জানায় মাসুদ আরা মমি ২১বিসিএস এর কর্মকর্তা। উপ-পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দিতে ৮ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় নিজের নাম নেয় সেটা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন মমি। তিনি এই প্রমোশনের ডিডি হতে পারছেন না। কিন্তু ডিডি হতে না পারলেও ডিডি পদটি তার দখলে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে আবারো নিজ পদ ধরে রাখতে মরিয়া এই তদবিরবাজ কর্মকর্তা যে কারনে তিনি দুই যুগ ধরে রাজধানীর মৎস্য ভবনে চাকরি করে যাচ্ছেন। চলতি দায়িত্বে উপ-পরিচালক থাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তদবির করছেন।

সূত্র জানায় উপ-পরিচালক হিসেবে সুপারিশের তালিকায় প্রথম রয়েছেন মোল্লা এমদাদুল্যাহ, দুই নম্বরে আছেন মোঃ আশরাফুজ্জামান, তিন নম্বরে আছে মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম, চার নম্বরে আছে মোঃ বদরুজ্জামান মানিক, পাঁচ নাম্বার আছে এস এম মনিরুজ্জামান, ছয় নম্বরে আছেন বরুন চন্দ্র বিশ্বাস, সাত নম্বরে আছেন এস এম খালেকুজ্জামান এবং সর্বশেষ আট নম্বরে আনিছুর রহমান। এরপরেই সিরিয়াল মাসুদ আরা মমি। অপর একটি সূত্র জানায়, আগামী জুনে অবসরে যাবেন অনিল কুমার সাহা নামের একজন উপ-পরিচালক। তিনি চাঁদপুরের মৎস্য ডিপ্লোমা ইষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ। নিজ বেতনে সেই পদটি দখল করার জন্য অনেকটা আদাজল খেয়ে নেমেছেন মাসুদ আরা মমি। নাম প্রকাশ করার না শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান হেডকোয়ার্টারে চাকরি করে যাবে তার ক্ষমতার উৎস কোথায় ? মৎস্য অধিদপ্তরের কে এই প্রভাবশালী দাপুটে কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমি।

বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট মমির ক্ষমতার উৎস্য বা কোথায় ? তিনি বিশাল দায়িত্ববান কর্মকর্তাও বটে, তবে তার দায়িত্ব শুধু সিনিয়র অফিসার, সচিব আর মন্ত্রীদের সাথে ফটো সেশন আর সেলফিবাজিতে। তিনি বর্তমানে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপ-প্রধান হিসাবে ইলিশ শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে সরকার মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষ, অভয় আশ্রম স্থাপন করা, জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, বিভিন্ন অভিজান পরিচালনাসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহন করেন। এসকল র্কাক্রমে তিনি রিমোট এলাকা পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলা, বরিশালসহ দুরবর্তী এলাকাতে অভিযান কিংবা কোন কার্যক্রমে যাননা বলে অনেকেরই অভিযোগ। তবে তিনি রাজধানীর আশেপাশে বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জে ইলিশের কার্যক্রমে গিয়ে ভুল করেননা মন্ত্রী, সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে ফটো সেশনে অংশ নিতে। বলা যেতে পারে তিনি শুধুমাত্র ফটো সেশনে অংশ নিতেই এ নিকটবর্তী এলাকায় যান। একই সাথে মমির তেলবাজিও নেহাত ফেলে দেওয়ার মত না। তারই ধারাবাহিকতায় গত মৎস্য সপ্তাহের সমাপনি অনুষ্ঠানে মন্ত্রনালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আরা মমিকে ইলিশের মা বলে আখ্যা দিলেন।

বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে অতিথিরা অনেকেই মুকটিপে হাসলেও সিনিয়র অফিসারের এমন মন্তবে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেননি। তবে ঐ অনুষ্ঠান স্থলের অনেকেরই প্রশ্ন ? মৎস্য অফিসার মাসুদ আরা মমি কি এমন বিশেষ কাজ করেছেন বা তিনি ছাড়া ঐ কাজ আর কেউ কোনদিন করেননি যার কারনে তাকে ইলিশের মা বলে আখ্যা দিলেন সিনিয়র কর্মকর্তা। আর একজন মানুষ কিভাবে মাছের মা হতে পারে ? নাম মাসুদ আরা মমি। জেলা মৎস্য অফিসার হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। নিজ জেলা ময়মনসিংহ। সরকারী চাকুরীতে প্রথম যোগদান করেন ৩১ মে ২০০৩ তারিখে সেই সুবাদে মৎস্য অধিদপ্তরে তার চাকুরীকাল ২১ বছর প্রায়। ক্ষমতার দাপটে চাকুরীকালের প্রায় শতভাগ সময় আছেন প্রধান কার্যালয়ে।

এমনকি তাবে বদলী করতেও কোন উদ্যোগ নেয়না কর্তৃপক্ষ। মৎস্য অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তারই অভিযোগ মমি একজন বিএনপি-জামায়াত ঘরনার কর্মকর্তা হয়েও একাই কিভাবে এতো সুবিধা ভোগ করছেন। তার এই ক্ষমতার উৎস্য কোথায় ? তবে বিভিন্ন কৌশলে সিনিয়রদের ম্যানেজ করে মৎস্য ভবনের প্রধান কার্যালয়ে আছেনই প্রায় ২১ বছর। প্রমোশন হয় নিয়মিত কিন্তু তার রুম আর চেয়ার টেবিল বদল হয়না। সামনে প্রমোশন হলে ডিএফও থেকে ডিডি হবেন। এরই মধ্যে তিনি তার পোষ্টিং হেডকোয়াটারে রাখতে ব্যাস্ত। সরকার আসে, সরকার যায়, বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট ২১ বিসিএসের এই নারী কর্মকর্তার কোন পরিবর্তন নেই। বহাল তবিয়াতে প্রধান কার্যালয়ে রাজত্ব করেই চলেছেন তিনি। একই ভবনে প্রায় দুই দশক রাজত্ব করেই চলেছেন। সরকারী চাকুরীতে সাধারনত একই স্থানে ৩ বছরের অধিক সময় থাকার বিধান না থাকলেও এই নারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে ঘটে চলেছে ঠিক এর উল্টো। ৫ বছর পর পর যথা নিয়মে সরকার পরিবর্তন হলেও। তিনি ঠিকই থেকে যাচ্ছেন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে।

মৎস্য অধিদপ্তরের চাকুরীর সুবাদে সকলকে ফিল্ডে চাকুরী করলেও বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তিনি প্রধান কার্যালয়ে করে নিয়েছেন যেন চাকুরীর স্থায়ী নিবাস। জনশ্রুতি আছে তিনি নিজ কর্মের থেকেও উর্দ্ধতনদের ম্যানেজ করতে বেশি বিজি থাকেন। যার কারনে যুগের পর যুগ, ধরে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে একের পর এক সুবিধাজনক চেয়ার লাফিয়ে লাফিয়ে পার করছেন দীর্ঘ কার্যকাল। আর এক এক করে প্রমোশন বাগিয়ে নিতেও তার কোন অসুবিধা নেই। যথা নিয়মেই তার প্রমোশন হচ্ছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আমি বছরের পর বছর ঢাকার বাইরে মাঠ পর্যায়ে চাকুরী করে চলেছি, আমার হেড কোয়াটারের চাকুরী করার ইচ্ছা থাকলেও সেটা হবেনা। যাদের ক্ষমতার জোর আছে তারাই হেড কোয়াটারে চাকুরী করবে বলেও আক্ষেপের সাথে কথাগুলো বলেন এই কর্মকর্তা।