ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের হিসাব রক্ষক শেখ নাসির উদ্দিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগামীকাল শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে , পৃথিবীর সবাইকে ক্ষমা করা গেলেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা যাবে না এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বাষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ২০২৫-২৬ সালের কমিটি গঠন সম্পন্ন। রাতের আঁধারে ভাঙচুর করে বাড়ি আসবাবপত্র ফেললো পুকুরে, বাড়ি ছাড়া পরিবার বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন এবি ব্যাংকের এমডি প্রয়োজনে সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জনপ্রতিনিধিদের, কিন্তু কেন?

কাউন্সিলর আতিকুরের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা মহানগরের দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এরমধ্যে তারাবতে চার শতক জমির ওপর নির্মিত চারতলা ও সাড়ে সাত শতক জমির ওপর নির্মিত ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া তারাবতে ৫ শতক জমির ওপর আতিকুরের আরেকটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের পক্ষ থেকে আতিকুরের বাড়ি ও জমির তালিকা তুলে ধরে সেগুলো ক্রোক (জব্দ) করার আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে তারাব পৌরসভায় আতিকুর ২৮ শতক জমি কেনেন। ২০১৮ সালে তিনি তারাব এলাকায় আরও চার শতক জমি কেনেন। একই বছর আতিকুর আরও দেড় শতক জমি কেনেন। আতিকুর রহমান ২০১৫ সালে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আরও একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

২০২০ সালে তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ২০২১ সালে কাউন্সিলর আতিকুরকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে দুদক কার্যালয়ে তিনি সম্পদের বিবরণী জমা দেন। আতিকুরের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে, আতিকুর স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কাউন্সিলর আতিকুরের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।

অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৪ মার্চ কাউন্সিলর আতিকুরের রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আতিকুরের গ্রহণযোগ্য বৈধ আয় ৪০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ বুধবার

কাউন্সিলর আতিকুরের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ

আপডেট সময় ০৩:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা মহানগরের দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এরমধ্যে তারাবতে চার শতক জমির ওপর নির্মিত চারতলা ও সাড়ে সাত শতক জমির ওপর নির্মিত ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া তারাবতে ৫ শতক জমির ওপর আতিকুরের আরেকটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের পক্ষ থেকে আতিকুরের বাড়ি ও জমির তালিকা তুলে ধরে সেগুলো ক্রোক (জব্দ) করার আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে তারাব পৌরসভায় আতিকুর ২৮ শতক জমি কেনেন। ২০১৮ সালে তিনি তারাব এলাকায় আরও চার শতক জমি কেনেন। একই বছর আতিকুর আরও দেড় শতক জমি কেনেন। আতিকুর রহমান ২০১৫ সালে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আরও একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

২০২০ সালে তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ২০২১ সালে কাউন্সিলর আতিকুরকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে দুদক কার্যালয়ে তিনি সম্পদের বিবরণী জমা দেন। আতিকুরের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে, আতিকুর স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কাউন্সিলর আতিকুরের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।

অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৪ মার্চ কাউন্সিলর আতিকুরের রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আতিকুরের গ্রহণযোগ্য বৈধ আয় ৪০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।