ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
১১ টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত ! সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার দৈনিক জনবানীর সম্পদকসহ ৪ জন ভারতে আটক ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের নার্স আছমাকে আল-হারামাইন থেকে বহিস্কার পাবনা সার্কিট হাউজের ফলক উম্মোচন করলেন ব্যারিস্টার নজিবুর রহমান মোমেন বিজিবি-শিক্ষক পরিবারকে নিয়ে মাদক সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রচার, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গোয়াইনঘাটে গরুচোর সন্দেহে দিনমজুর হেলালকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাইলেই পাওয়া যাবে ১৩ বছর পর ২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে বিএনপি-ছাত্রদল

কাউন্সিলর আতিকুরের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা মহানগরের দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এরমধ্যে তারাবতে চার শতক জমির ওপর নির্মিত চারতলা ও সাড়ে সাত শতক জমির ওপর নির্মিত ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া তারাবতে ৫ শতক জমির ওপর আতিকুরের আরেকটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের পক্ষ থেকে আতিকুরের বাড়ি ও জমির তালিকা তুলে ধরে সেগুলো ক্রোক (জব্দ) করার আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে তারাব পৌরসভায় আতিকুর ২৮ শতক জমি কেনেন। ২০১৮ সালে তিনি তারাব এলাকায় আরও চার শতক জমি কেনেন। একই বছর আতিকুর আরও দেড় শতক জমি কেনেন। আতিকুর রহমান ২০১৫ সালে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আরও একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

২০২০ সালে তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ২০২১ সালে কাউন্সিলর আতিকুরকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে দুদক কার্যালয়ে তিনি সম্পদের বিবরণী জমা দেন। আতিকুরের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে, আতিকুর স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কাউন্সিলর আতিকুরের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।

অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৪ মার্চ কাউন্সিলর আতিকুরের রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আতিকুরের গ্রহণযোগ্য বৈধ আয় ৪০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১১ টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত !

কাউন্সিলর আতিকুরের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ

আপডেট সময় ০৩:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা মহানগরের দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এরমধ্যে তারাবতে চার শতক জমির ওপর নির্মিত চারতলা ও সাড়ে সাত শতক জমির ওপর নির্মিত ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া তারাবতে ৫ শতক জমির ওপর আতিকুরের আরেকটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের পক্ষ থেকে আতিকুরের বাড়ি ও জমির তালিকা তুলে ধরে সেগুলো ক্রোক (জব্দ) করার আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে তারাব পৌরসভায় আতিকুর ২৮ শতক জমি কেনেন। ২০১৮ সালে তিনি তারাব এলাকায় আরও চার শতক জমি কেনেন। একই বছর আতিকুর আরও দেড় শতক জমি কেনেন। আতিকুর রহমান ২০১৫ সালে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আরও একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

২০২০ সালে তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ২০২১ সালে কাউন্সিলর আতিকুরকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে দুদক কার্যালয়ে তিনি সম্পদের বিবরণী জমা দেন। আতিকুরের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে, আতিকুর স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কাউন্সিলর আতিকুরের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।

অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৪ মার্চ কাউন্সিলর আতিকুরের রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আতিকুরের গ্রহণযোগ্য বৈধ আয় ৪০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।