মাগুরায় আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তীর্থ রুদ্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ শহরের দরিমাগুরা এতিমখানার পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তীর্থ শহরের পুরাতন বাজার রুদ্র স্টোরের মালিক নিমাই রুদ্রর ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও ওই এলাকাটি মাদক ব্যবসার কারণে বেশ আলোচিত। সেখানে অতীতের একাধিক হত্যাকাণ্ডের মতো এ খুনের পেছনে মাদকের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, পুলিশ সেটি খতিয়ে দেখছে।
জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় তীর্থ রুদ্র নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের আতর আলী সড়কের বাড়ি থেকে বের হয়। সে সময় বাড়ির সামনেই তার জন্য চার বন্ধু অপেক্ষা করছিল। তাদের সঙ্গে সে রওয়ানা দিলেও দীর্ঘ সময়েও বাড়ি না ফেরায় রাত দেড়টার দিকে থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও সেটির কোনো হদিস মেলেনি।
এছাড়া রাতে পরীক্ষার পড়া ছেড়ে হঠাৎ বাড়ি থেকে বের হওয়া এবং তার মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের পরও আগের রাতে বাড়ির সামনে অপেক্ষারত চার বন্ধুর অনুপস্থিতির বিষয়টি যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা।
নিমাই রুদ্র বলেন, আমাদের পরিবারের কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। ইতোপূর্বে মোবাইল নিয়ে শহরের দুটি ছেলের সঙ্গে তীর্থর বিরোধ তৈরি হলেও সেটি নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটবে কিনা জানি না।
শহরের দরিমাগুরা দোয়ারপাড় এলাকাটি মাদকের ঘাঁটি হিসাবে বেশ পরিচিত। এর আগে ২০১৫ সালে মাদক ব্যবসাসংক্রান্ত আধিপত্য বিস্তারের জেরে মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনা ও বোমার আঘাতে মমিন ভূঁইয়া নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত, আজিবার নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ক্রসফায়ার এবং ছুরিকাঘাতে লিসান নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি বেশ আলোচিত। একই এলাকায় এ হত্যার পেছনে মাদকের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, সেটিও খুঁজে দেখছে পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেহেদি রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সেটি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।