নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ষান্মাসিক মূল্যায়ন আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে। এতে দৈবচয়নের ভিত্তিতে সারা দেশের নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম সম্পন্ন করার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে পর্যন্ত শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সেই পর্যন্ত ষান্মাসিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ঈদের আগে যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত অংশের শিখন কার্যক্রম শেষ না হয়, প্রয়োজনে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ছুটির মধ্যেও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এনসিটিবির ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী চিঠিতে সই করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, এনসিটিবির পাঠানো চিঠির আলোকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সিলেবাস ও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এনসিটিবির নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি প্রতি সারাদেশ থেকে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে এনসিটিবি। সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বইয়ের কতটুকু পড়ানো হয়েছে, সেই তথ্য নিয়ে একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। তাতে ষান্মাসিক মূল্যায়নে বইয়ের শুরু থেকে কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঈদুল আজহার আগে ১২ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে। এর মধ্যে নির্ধারিত অংশ শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছে এনসিটিবি। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তা করতে সক্ষম না হয়, সেক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দিকনির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে। অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপ, মোবাইল গ্রুপে নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে করা কাজ শিক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং ফিডব্যাক দেবেন।
তাছাড়া স্কুল বন্ধের আগেই ছুটির মধ্যে শিক্ষার্থীর করণীয় অভিজ্ঞতার ধাপগুলো সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিতেও শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।