ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মিঠাপুকুরের চাঞ্চল্যকর ডাকাতি হত্যা লুন্ঠন মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করলো পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ নুর আলম সিদ্দিক

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের শিক্ষক দম্পত্তির বাড়িতে ডাকাতি,হত্যা, লুন্ঠন মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ নুর আলম সিদ্দিক

শনিবার(৮ জুন) রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম।

প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুর জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলপন,গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতের আধারে মিঠাপুকুর থানাধীন বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের মৃত মোঃ হোসেন সরকারের পুত্র আবু রায়হান ওরফে মোঃ মিজানুর রহমান এর বাড়ীতে একটি খুনসহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।মুখোশধারী ছয়/সাত জনের একটি ডাকাত দলের সদস্য তারা বাড়ীর প্রাচীর টপকে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে এলোপাথারী মারপিট করে মোছাঃ মোর্শেদা বেগম এর মাথায় আঘাত করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মামলার বাদীকে মারপিট,মৃত্যুভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, জমির দলিলসহ মোট ৪,৩৪,৫০০/-(চার লক্ষ চৌত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা সহ মালামাল লুণ্ঠন করে অবাদে। উল্লেখ্য উক্ত বাড়ীতে শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী থাকার কারনে ডাকাত দলের সদস্যরা নির্বিঘ্নে তাদের অপারেশন পরিচালনা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরের দিন ০৮ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭,৩০মিনিটের সময় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশের একাধীক এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টিকে নিয়ে কাজ করেন।সিআইডি এর ক্রাইম সিন টিম,পিবিআই, ডিবি রংপুর।
রংপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী,বিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিঠাপুকুর থানা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ নুর আলম সিদ্দিক ঘটনার ০৬ দিনের মধ্যেই খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে আরও ০৫জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। যার মধ্যে ০৩ জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত পেশাদার দূর্ধর্ষ ডাকাত মোঃ জাকির হোসেন ঘটনার পর থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে এতদিন ছিলেন। শুক্রবার (০৭ জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক, ৭.৩০ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার মোঃ নূর আলম সিদ্দিকের নেতৃত্বে বদরগঞ্জ থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট বাজার এলাকা হতে খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামী দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার কুশদহ মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের পুত্র মোঃ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত আসামি একজন পেশাদার অপরাধী।তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক সংক্রান্ত মোট ০৯টি মামলা রয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ”

মিঠাপুকুরের চাঞ্চল্যকর ডাকাতি হত্যা লুন্ঠন মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করলো পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ নুর আলম সিদ্দিক

আপডেট সময় ১১:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের শিক্ষক দম্পত্তির বাড়িতে ডাকাতি,হত্যা, লুন্ঠন মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ নুর আলম সিদ্দিক

শনিবার(৮ জুন) রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম।

প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুর জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলপন,গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতের আধারে মিঠাপুকুর থানাধীন বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের মৃত মোঃ হোসেন সরকারের পুত্র আবু রায়হান ওরফে মোঃ মিজানুর রহমান এর বাড়ীতে একটি খুনসহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।মুখোশধারী ছয়/সাত জনের একটি ডাকাত দলের সদস্য তারা বাড়ীর প্রাচীর টপকে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে এলোপাথারী মারপিট করে মোছাঃ মোর্শেদা বেগম এর মাথায় আঘাত করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মামলার বাদীকে মারপিট,মৃত্যুভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, জমির দলিলসহ মোট ৪,৩৪,৫০০/-(চার লক্ষ চৌত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা সহ মালামাল লুণ্ঠন করে অবাদে। উল্লেখ্য উক্ত বাড়ীতে শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী থাকার কারনে ডাকাত দলের সদস্যরা নির্বিঘ্নে তাদের অপারেশন পরিচালনা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরের দিন ০৮ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭,৩০মিনিটের সময় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশের একাধীক এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টিকে নিয়ে কাজ করেন।সিআইডি এর ক্রাইম সিন টিম,পিবিআই, ডিবি রংপুর।
রংপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী,বিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিঠাপুকুর থানা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ নুর আলম সিদ্দিক ঘটনার ০৬ দিনের মধ্যেই খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে আরও ০৫জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। যার মধ্যে ০৩ জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত পেশাদার দূর্ধর্ষ ডাকাত মোঃ জাকির হোসেন ঘটনার পর থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে এতদিন ছিলেন। শুক্রবার (০৭ জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক, ৭.৩০ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার মোঃ নূর আলম সিদ্দিকের নেতৃত্বে বদরগঞ্জ থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট বাজার এলাকা হতে খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামী দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার কুশদহ মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের পুত্র মোঃ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত আসামি একজন পেশাদার অপরাধী।তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক সংক্রান্ত মোট ০৯টি মামলা রয়েছে।