ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে ভোলায় শীতার্তদের মাঝে কোস্টগার্ডের শীতবস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মাদক সহ কারবারীকে আটক গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর সোনারহাট রাস্তা ওয়ার্ক ওয়ার্ডার না হওয়ায় কাজ হচ্ছেনা চরম জনদূর্ভোগ: ইসহাক চৌধুরী আলিম ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে শীত বস্ত্র প্রদান করেন রাজশাহীতে আধুনিক প্রযুক্তি চিকিৎসা সেবায় পপুলার আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে:আমিনুল হক ফেসবুক আইডি ফিরে পেলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মনোহরগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবসে ওয়াকাথন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে মুক্ত আড্ডা

প্রেসিডেন্ট হলে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমন করার অঙ্গীকার ট্রাম্পের

আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় গেলে দেশটিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনের অঙ্গীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিজের নির্বাচনি প্রচারণায় তহবিলদাতা একদল ইহুদির সঙ্গে আলাপকালে এমন অঙ্গীকার করেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, ইহুদি তহবিলদাতাদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরও বহিষ্কারের হুমকি দেন ট্রাম্প। এ সময় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এই প্রতিবাদকারীরা এক ধরনের ‘কট্টর বিপ্লব’ করার চেষ্টা করছে।

বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইহুদি তহবিলদাতাদের সঙ্গে গোপন ওই বৈঠক ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন…তেমনটাই করা উচিত আপনাদের—তাহলে আমরা এই (ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকে) ২৫ থেকে ৩০ বছর পিছিয়ে দেব।

গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য নিউইয়র্ক পুলিশের প্রশংসাও করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, অন্যান্য শহরগুলোর উচিত নিউইয়র্ককে অনুসরণ করা। এই আন্দোলন এখনই এখন বন্ধ করতে হবে।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন দমনে পুলিশ নামানো হয় এবং এসব আন্দোলন থেকে ২ হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, এক জরিপ অনুসারে দেখা গেয়েছে—৩০ বছরের কম বয়সী মার্কিনিদের অধিকাংশই গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের পক্ষে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে

প্রেসিডেন্ট হলে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমন করার অঙ্গীকার ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১০:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় গেলে দেশটিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনের অঙ্গীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিজের নির্বাচনি প্রচারণায় তহবিলদাতা একদল ইহুদির সঙ্গে আলাপকালে এমন অঙ্গীকার করেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, ইহুদি তহবিলদাতাদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরও বহিষ্কারের হুমকি দেন ট্রাম্প। এ সময় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এই প্রতিবাদকারীরা এক ধরনের ‘কট্টর বিপ্লব’ করার চেষ্টা করছে।

বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইহুদি তহবিলদাতাদের সঙ্গে গোপন ওই বৈঠক ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন…তেমনটাই করা উচিত আপনাদের—তাহলে আমরা এই (ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকে) ২৫ থেকে ৩০ বছর পিছিয়ে দেব।

গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য নিউইয়র্ক পুলিশের প্রশংসাও করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, অন্যান্য শহরগুলোর উচিত নিউইয়র্ককে অনুসরণ করা। এই আন্দোলন এখনই এখন বন্ধ করতে হবে।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন দমনে পুলিশ নামানো হয় এবং এসব আন্দোলন থেকে ২ হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, এক জরিপ অনুসারে দেখা গেয়েছে—৩০ বছরের কম বয়সী মার্কিনিদের অধিকাংশই গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের পক্ষে।