ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ রাজবাড়ীতে জমির দখল বুঝে পেতে সংবাদ সম্মেলন তজুমদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে শিশু বলাৎকার মামলার মূল হোতা আটক হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে? গণপূর্তে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সিন্ডিকেট গড়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’

৫৬ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, মঠবাড়িয়া পৌরসভার কাছে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার কাছে ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা রয়েছে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের। পৌরসভার মূল ভবন, পানি পরিশোধনাগার, বহুমুখী বাজার ও সড়ক লাইনসহ বিদ্যুৎ সংযোগের অন্তত ১১টি হিসাব নম্বর রয়েছে বকেয়া বিলের আওতায়।

এসব হিসাব নম্বরের কোনোটিতেই ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিছু বিল পরিশোধ ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় সংযোগ চালু করা হয়।

মঠবাড়িয়া পৌরসভা ও পল্লী বিদ্যুতের মঠবাড়িয়ায় জোনাল অফিস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পল্লী বিদ্যুতের মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোতালেব হোসেন বলেন, ১৭ দফা নোটিশ করার পরও অর্ধ কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হওয়ায় মঙ্গলবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর পরপরই পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুণ অর রশিদের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী দুটি ময়লার ট্রাকসহ আমাদের অফিস ঘোরাও করেন। পরবর্তীতে তিনি ১২-১৫ জন নারী কর্মচারীসহ আমার অফিস কক্ষে এসে অশ্লীল আচরণ করেন। এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার রাতে থানায় জিডি করেছেন বলেও জানান।

তিনি বলেন, দুপুরে ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ পরিশোধ করে বাকি টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়।

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুণ অর রশিদ বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সদ্য বিদায়ী পৌর প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম থাকাকালে ৬ মাসের বিভিন্ন সময় ৩০ লাখ ৩ হাজার ২৭৩ টাকা পরিশোধ করেছি। সংযোগ কেটে দেওয়ার পর ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ পরিশোধ করেছি। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ

৫৬ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, মঠবাড়িয়া পৌরসভার কাছে

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার কাছে ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা রয়েছে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের। পৌরসভার মূল ভবন, পানি পরিশোধনাগার, বহুমুখী বাজার ও সড়ক লাইনসহ বিদ্যুৎ সংযোগের অন্তত ১১টি হিসাব নম্বর রয়েছে বকেয়া বিলের আওতায়।

এসব হিসাব নম্বরের কোনোটিতেই ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিছু বিল পরিশোধ ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় সংযোগ চালু করা হয়।

মঠবাড়িয়া পৌরসভা ও পল্লী বিদ্যুতের মঠবাড়িয়ায় জোনাল অফিস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পল্লী বিদ্যুতের মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোতালেব হোসেন বলেন, ১৭ দফা নোটিশ করার পরও অর্ধ কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হওয়ায় মঙ্গলবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর পরপরই পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুণ অর রশিদের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী দুটি ময়লার ট্রাকসহ আমাদের অফিস ঘোরাও করেন। পরবর্তীতে তিনি ১২-১৫ জন নারী কর্মচারীসহ আমার অফিস কক্ষে এসে অশ্লীল আচরণ করেন। এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার রাতে থানায় জিডি করেছেন বলেও জানান।

তিনি বলেন, দুপুরে ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ পরিশোধ করে বাকি টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়।

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুণ অর রশিদ বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সদ্য বিদায়ী পৌর প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম থাকাকালে ৬ মাসের বিভিন্ন সময় ৩০ লাখ ৩ হাজার ২৭৩ টাকা পরিশোধ করেছি। সংযোগ কেটে দেওয়ার পর ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ পরিশোধ করেছি। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।