র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারির পৃথক অভিযানে ২৫৮ (দুইশত আটান্ন) বোতল ফেন্সিডিল এবং ১২৫ (একশত পঁচিশ) বোতল স্ক্যাফসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসাহী গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, প্রতারক, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে র্যাবের ব্যাপক অভিযান অব্যাহত থাকে।
এরেই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২, নীলফামারীর একটি অভিযানিক দল সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানাধীন ৭নং মর্নেয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নরসিংহ গ্রামের আসামি মোঃ হামিদুল ইসলাম (৫০), পিতা-মৃত নুরুল হক এর বসত বাড়ির পিছনে খড়ের গাদার নিচে অদ্য ১৩ মে ২০২৪ খ্রিঃ সকাল ০৫.০০ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে ১২৫ (একশত পঁচিশ) বোতল স্ক্যাফসহ ০১ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ হামিদুল ইসলাম (৫০) পিতা-মৃত নুরুল হক, সাং-নরসিংহ, থানা-গঙ্গাচড়া, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। একই তারিখ সকাল ০৭.০০ ঘটিকার সময় লালমণিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানাধীন ১০ নং ভেলগুড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর জাওরানি (মাঝিপাড়া) বড়দল ব্রীজের পশ্বিম পার্শ্বে তিন মাথার মোড়ে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ২৫৮ (দুইশত আটান্ন) বোতল ফেন্সিডিলসহ আরও একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সুশান্ত চন্দ্র (২৫), পিতা-স্বপন চন্দ্র, সাং-কাদমা, থানা-হাতিবান্ধা, জেলা-লালমণিরহাট’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত এবং বহুদিন ধরে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান পার্শ্ববর্তী দেশ হতে পাচার করে রংপুর এবং লালমণিরহাট জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে। ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানা এবং লালমণিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদক মামলা রুজু পূর্বক আসামী দ্বয়কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।