ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালের লিফটে ৪৫ মিনিট আটকা, রোগীর মৃত্যু

গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। লিফটটি ৪৫ মিনিট যাবত আটক পড়ে ছিল বলে স্বজনদের অভিযোগ।

রোববার সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মমতাজ বেগম কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।

মমতাজের মামা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, আজ সকাল ৬টার দিকে অসুস্থতার কারণে মমতাজকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন তিনি ও মমতাজের ছেলে মান্নান (২৫) ও মেয়ে শারমিন (২০)। মমতাজের শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে ভর্তি নেওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালের ১১ তলা থেকে চতুর্থ তলায় ডাক্তার দেখাতে লিফটে করে নামার সময় হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা ৪৫ মিনিট লিফটের মধ্যে আটকে থাকি। পরে হাসপাতালের লোকজন নয় তলায় লিফট ফাঁকা করে আমাদের বের করে আনেন। তবে বের হওয়ার আগেই মমতাজ মারা যায়।

এ সময় লিফটটিতে থাকা আলাউদ্দিন নামে হাসপাতালের এক কর্মী মমতাজকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি। এ সময় লিফটে ১৮ থেকে ২০ জন মানুষ ছিলেন।

গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ থেকে ৪ তলায় নেওয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকেন। পরে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে উদ্ধার করেন। লিফটে আটকা সবাই সুস্থ ছিলেন, কিন্তু উনি অসুস্থ থাকায় মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কারও কোনো গাফিলতি আছে কিনা, সেটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসপাতালের লিফটে ৪৫ মিনিট আটকা, রোগীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৩:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। লিফটটি ৪৫ মিনিট যাবত আটক পড়ে ছিল বলে স্বজনদের অভিযোগ।

রোববার সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মমতাজ বেগম কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।

মমতাজের মামা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, আজ সকাল ৬টার দিকে অসুস্থতার কারণে মমতাজকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন তিনি ও মমতাজের ছেলে মান্নান (২৫) ও মেয়ে শারমিন (২০)। মমতাজের শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে ভর্তি নেওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালের ১১ তলা থেকে চতুর্থ তলায় ডাক্তার দেখাতে লিফটে করে নামার সময় হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা ৪৫ মিনিট লিফটের মধ্যে আটকে থাকি। পরে হাসপাতালের লোকজন নয় তলায় লিফট ফাঁকা করে আমাদের বের করে আনেন। তবে বের হওয়ার আগেই মমতাজ মারা যায়।

এ সময় লিফটটিতে থাকা আলাউদ্দিন নামে হাসপাতালের এক কর্মী মমতাজকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি। এ সময় লিফটে ১৮ থেকে ২০ জন মানুষ ছিলেন।

গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ থেকে ৪ তলায় নেওয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকেন। পরে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে উদ্ধার করেন। লিফটে আটকা সবাই সুস্থ ছিলেন, কিন্তু উনি অসুস্থ থাকায় মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কারও কোনো গাফিলতি আছে কিনা, সেটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।