চট্টগ্রামে বৌদ্ধবিহারের দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন নন্দনকানন এলাকায় বৌদ্ধবিহারে দুপুর ২টা থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে বিকালে এক পক্ষকে বিহার থেকে বের করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ঘটনায় আহত ও অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নেতারা এসে বিহারের আসন থেকে বৌদ্ধমূর্তি সরিয়ে তারা সেখানেই বসে পড়েন। তালা ঝুলিয়ে দেন বিহারের গেটে। দেওয়ালে টাঙিয়ে দেয় ব্যানার।
দুপুর ২টার পরপর ভিক্ষু নেতারা বিহারে এসে জড়ো হলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ লিপ্ত হয় মারামারিতে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষ ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, বিহারে থাকবে ভিক্ষুরা, নেতারা নয়।
এদিকে সন্ধ্যার দিকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে বিহারের সামনে মানববন্ধন করা হয়। তারা জানান, দুমাস আগে বিহারের কিছু সম্পত্তি নিয়ে বৌদ্ধ সমিতির নেতাদের সঙ্গে তাদের বিরোধ হয়। এটা নিয়ে ৮ মার্চ মারামারির পর বিহার থেকে বৌদ্ধ সমিতির নেতাদের বের করে দেওয়া হয়। শনিবার তারা আবার বিহারের দখল নিতে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ভিক্ষুসহ কয়েকজনের মাথা ফেটে গেছে।
নন্দনকানন বিহারের উপাধাক্ষ্য ড. জিনুবোধি ভিক্ষু বলেন, বৌদ্ধবিহার কারও সম্পত্তি নয়। কোনো সংগঠন করার জায়গাও নয়। কিন্তু একটা সংগঠন ভিক্ষুদের ওপর হামলা করে বিহার দখলে নিতে চায়। তারা বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে ভিক্ষুদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করেছে ভিক্ষুর কক্ষ। লুট করেছে দানবক্সের টাকা।
তবে বৌদ্ধ সমিতির নেতারা দাবি করেন, কয়েকজন ভিক্ষুর নেতৃত্বে কিছু কুচক্রী বিহারটি কুক্ষিগত করে রাখতে চাইছে। আমরা এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছি।
সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।